আজকের পত্রিকা ডেস্ক
নজরুলের মতো প্রাণোচ্ছল মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। হইহই করতে করতে কোথায় কখন গিয়ে বসে পড়ছেন আড্ডায়, তা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। লিখতে বসলেই তিনি অন্য মানুষ। বিস্তর চা আর পান তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিতে পারত অনবদ্য সব লেখা। নজরুলের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ তখন ধারাবাহিকভাবে বের হচ্ছে সওগাতে। উপন্যাসের পরবর্তী অংশ আর একটা গান না লিখেই দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নজরুল।
তাই সওগাত অফিসে ধরে আনা হলো নজরুলকে। চা, পান আর জর্দা দিয়ে তুষ্ট করা হলো। তারপর তাঁকে বুঝিয়ে বলা হলো, উপন্যাসের পরবর্তী অংশ আর গানটা না পেলে সওগাত ছাপা যাচ্ছে না।নজরুল বললেন, ‘আজ জরুরি কাজ আছে। কাল এসে লিখে দেব।’কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দিলে আবার বাগে পাওয়া যাবে, এ ভরসা কম। তাই একটা আলাদা কামরায় নিয়ে যাওয়া হলো কবিকে। পান-জর্দা দেওয়া হলো। তারপর বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে দিলেন সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। এরপরও বাইরে যাওয়ার নানা রকম ফন্দিফিকির করেছিলেন নজরুল; কিন্তু নাসিরউদ্দীন তাতে টলেননি। অবশেষে লেখা শেষ করে বের হলেন কবি। ততক্ষণে সওগাত অফিসে অন্যরাও চলে এসেছেন। সেখানেই নজরুল জমিয়ে ফেললেন আড্ডা। সদ্য যা লিখলেন, তা পড়ে শোনাতে লাগলেন মুগ্ধ শ্রোতাদের।
একটা দারুণ ব্যাপার হলো, নজরুলের প্রথম লেখা ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’ ছাপা হয়েছিল সওগাত পত্রিকায়। সেটি ছিল বাংলা ১৩২৬ সনের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা। এরপর বহু লেখা লিখেছেন নজরুল। নজরুলের শেষ লেখা ‘কবির মুক্তি’ও ছাপা হয় ১৩৪৮ সনের চৈত্র মাসের সওগাতে। এর পরের মাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিন মাসের মাথায়। সওগাতেই নজরুলের প্রথম ও শেষ লেখা ছাপা হয়।
সূত্র: মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, নজরুল: এক অম্লান স্মৃতি
নজরুলের মতো প্রাণোচ্ছল মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। হইহই করতে করতে কোথায় কখন গিয়ে বসে পড়ছেন আড্ডায়, তা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। লিখতে বসলেই তিনি অন্য মানুষ। বিস্তর চা আর পান তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিতে পারত অনবদ্য সব লেখা। নজরুলের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ তখন ধারাবাহিকভাবে বের হচ্ছে সওগাতে। উপন্যাসের পরবর্তী অংশ আর একটা গান না লিখেই দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নজরুল।
তাই সওগাত অফিসে ধরে আনা হলো নজরুলকে। চা, পান আর জর্দা দিয়ে তুষ্ট করা হলো। তারপর তাঁকে বুঝিয়ে বলা হলো, উপন্যাসের পরবর্তী অংশ আর গানটা না পেলে সওগাত ছাপা যাচ্ছে না।নজরুল বললেন, ‘আজ জরুরি কাজ আছে। কাল এসে লিখে দেব।’কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দিলে আবার বাগে পাওয়া যাবে, এ ভরসা কম। তাই একটা আলাদা কামরায় নিয়ে যাওয়া হলো কবিকে। পান-জর্দা দেওয়া হলো। তারপর বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে দিলেন সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। এরপরও বাইরে যাওয়ার নানা রকম ফন্দিফিকির করেছিলেন নজরুল; কিন্তু নাসিরউদ্দীন তাতে টলেননি। অবশেষে লেখা শেষ করে বের হলেন কবি। ততক্ষণে সওগাত অফিসে অন্যরাও চলে এসেছেন। সেখানেই নজরুল জমিয়ে ফেললেন আড্ডা। সদ্য যা লিখলেন, তা পড়ে শোনাতে লাগলেন মুগ্ধ শ্রোতাদের।
একটা দারুণ ব্যাপার হলো, নজরুলের প্রথম লেখা ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’ ছাপা হয়েছিল সওগাত পত্রিকায়। সেটি ছিল বাংলা ১৩২৬ সনের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা। এরপর বহু লেখা লিখেছেন নজরুল। নজরুলের শেষ লেখা ‘কবির মুক্তি’ও ছাপা হয় ১৩৪৮ সনের চৈত্র মাসের সওগাতে। এর পরের মাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিন মাসের মাথায়। সওগাতেই নজরুলের প্রথম ও শেষ লেখা ছাপা হয়।
সূত্র: মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, নজরুল: এক অম্লান স্মৃতি
গান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
১ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৫ দিন আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পানাম নগর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। ঐতিহাসিক এই নগর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়, বিশেষত এর নানা নান্দনিক স্থাপনার কারণে। তেমনি একটি প্রাচীন স্থাপনা পানাম-দুলালপুর সেতু। ইট-সুড়কির এই সেতুটি সতের শ শতকে নির্মিত হয়েছে পানাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পঙ্খীরাজ খালের ওপর।
৬ দিন আগে