সম্পাদকীয়
নিজস্ব ঘরানার চিত্রশিল্প দিয়ে শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, যামিনী রায়ের সুনাম ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে। এই শিল্পীর জন্ম ১৮৮৭ সালের ১১ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা রামতরণ রায় নিজেই যখন শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি দুর্বল, তখন পুত্র যামিনীর ওপর সেই প্রভাব পড়া তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার!
আর দশটা বাচ্চার মতোই যামিনী ছোটবেলায় ঘরের দেয়ালে কিংবা মেঝেতে পুতুল, বাঘ, হাতি, পাখি আঁকতেন। তবে তাঁর এই প্রতিভা একটু অন্য রকমই ছিল। ফলে ১৬ বছর বয়সে ভর্তি হন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে। ১৯১৪ সালে সেখান থেকে ফাইন আর্টে ডিপ্লোমা করেন। ভারতবর্ষ তখনো ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত। তাই চিত্রকলা শিখতে গিয়ে ইউরোপীয় রীতি আয়ত্ত করতে হয়েছে যামিনীকে।
পাশ্চাত্যের বিখ্যাত শিল্পী পল সেজান, ভ্যান গঘ, পাবলো পিকাসো ও গগ্যাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি চিত্রকলার চর্চা শুরু করেছিলেন। পোর্ট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ, তেলচিত্র—এসব স্টাইল ও মাধ্যম ব্যবহার করতেন। তাঁর অঙ্কন দিয়ে নজর কেড়েছিলেন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলের তৎকালীন অধ্যক্ষ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। যামিনী রায় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর প্রিয় শিষ্য।
পাশ্চাত্য ধারায় ছবি আঁকতে আঁকতে একটা সময় যেন হাঁপিয়ে উঠলেন তিনি। আগ্রহ জন্মে দেশীয় সংস্কৃতি, মানুষের জীবনাচার ও প্রকৃতির ওপর। বিলেতি ঘরানা একপাশ করে তিনি শুরু করেন শিল্পের লোকায়ত ধারা। কলকাতার কালীঘাটের পটশিল্পীদের চিত্রে মুগ্ধ হয়ে তিনি নিজস্ব আঙ্গিকে পটচিত্রকে নিয়ে এলেন তাঁর আঁকা ছবিতে। পটচিত্রের মতোই তাঁর আঁকায় দেখা যায় পৌরাণিক, ধর্মীয়, পশুপাখি বা গ্রামীণ দৃশ্য। চৈতন্যের জীবনী, ক্রুশবিদ্ধ যিশুর জীবন, রাধা-কৃষ্ণ ইত্যাদি ছাড়াও তিনি এঁকেছেন কিশোরীর হাসি, লাঙল হাতে চাষি কিংবা বাঘ-মাছ-বিড়াল। তিনি সাঁওতালদের জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর তুলির আঁচড়ে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যামিনী রায়ের চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল নিউইয়র্ক-লন্ডনেও। পদ্মভূষণ, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পী প্রয়াত হন ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল।
নিজস্ব ঘরানার চিত্রশিল্প দিয়ে শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, যামিনী রায়ের সুনাম ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে। এই শিল্পীর জন্ম ১৮৮৭ সালের ১১ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা রামতরণ রায় নিজেই যখন শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি দুর্বল, তখন পুত্র যামিনীর ওপর সেই প্রভাব পড়া তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার!
আর দশটা বাচ্চার মতোই যামিনী ছোটবেলায় ঘরের দেয়ালে কিংবা মেঝেতে পুতুল, বাঘ, হাতি, পাখি আঁকতেন। তবে তাঁর এই প্রতিভা একটু অন্য রকমই ছিল। ফলে ১৬ বছর বয়সে ভর্তি হন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে। ১৯১৪ সালে সেখান থেকে ফাইন আর্টে ডিপ্লোমা করেন। ভারতবর্ষ তখনো ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত। তাই চিত্রকলা শিখতে গিয়ে ইউরোপীয় রীতি আয়ত্ত করতে হয়েছে যামিনীকে।
পাশ্চাত্যের বিখ্যাত শিল্পী পল সেজান, ভ্যান গঘ, পাবলো পিকাসো ও গগ্যাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি চিত্রকলার চর্চা শুরু করেছিলেন। পোর্ট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ, তেলচিত্র—এসব স্টাইল ও মাধ্যম ব্যবহার করতেন। তাঁর অঙ্কন দিয়ে নজর কেড়েছিলেন কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলের তৎকালীন অধ্যক্ষ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। যামিনী রায় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর প্রিয় শিষ্য।
পাশ্চাত্য ধারায় ছবি আঁকতে আঁকতে একটা সময় যেন হাঁপিয়ে উঠলেন তিনি। আগ্রহ জন্মে দেশীয় সংস্কৃতি, মানুষের জীবনাচার ও প্রকৃতির ওপর। বিলেতি ঘরানা একপাশ করে তিনি শুরু করেন শিল্পের লোকায়ত ধারা। কলকাতার কালীঘাটের পটশিল্পীদের চিত্রে মুগ্ধ হয়ে তিনি নিজস্ব আঙ্গিকে পটচিত্রকে নিয়ে এলেন তাঁর আঁকা ছবিতে। পটচিত্রের মতোই তাঁর আঁকায় দেখা যায় পৌরাণিক, ধর্মীয়, পশুপাখি বা গ্রামীণ দৃশ্য। চৈতন্যের জীবনী, ক্রুশবিদ্ধ যিশুর জীবন, রাধা-কৃষ্ণ ইত্যাদি ছাড়াও তিনি এঁকেছেন কিশোরীর হাসি, লাঙল হাতে চাষি কিংবা বাঘ-মাছ-বিড়াল। তিনি সাঁওতালদের জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর তুলির আঁচড়ে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যামিনী রায়ের চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল নিউইয়র্ক-লন্ডনেও। পদ্মভূষণ, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পী প্রয়াত হন ১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল।
গান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
১ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৫ দিন আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পানাম নগর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। ঐতিহাসিক এই নগর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়, বিশেষত এর নানা নান্দনিক স্থাপনার কারণে। তেমনি একটি প্রাচীন স্থাপনা পানাম-দুলালপুর সেতু। ইট-সুড়কির এই সেতুটি সতের শ শতকে নির্মিত হয়েছে পানাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পঙ্খীরাজ খালের ওপর।
৬ দিন আগে