জিয়া হায়দার

সম্পাদকীয়
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭: ৫০
জিয়া হায়দার

জিয়া হায়দারের পুরো নাম শেখ ফয়সাল আব্দুর রউফ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন হায়দার। কবি হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের বড় সারথি ছিলেন।

তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৮ নভেম্বর পাবনার দোহারপাড়া গ্রামে। লেখাপড়া শুরু করেন বাবার প্রতিষ্ঠিত আরিফপুর প্রাথমিক স্কুলে। কিছুদিন পাবনা জিলা স্কুলে পড়ার পর গোপালচন্দ্র ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। রাজশাহী কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলায় এমএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সার্টিফিকেট ইন শেক্‌সপিয়ার থিয়েটার’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

জিয়ার পেশাজীবন শুরু হয় ‘সাপ্তাহিক চিত্রালী’তে সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এরপর শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে। মাঝে কিছুদিন কাজ করেন বাংলা একাডেমিতে। তারপর পাকিস্তান টেলিভিশনে। ১৯৭০ সালে তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ। প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়’ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)।

১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় জিয়া হায়দারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একতারাতে কান্না’। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ‘কৌটার ইচ্ছেগুলো’, ‘দূর থেকে দেখা’, ‘আমার পলাতক ছায়া’, ‘দুই ভুবনের সুখ-দুঃখ’, ‘লোকটি ও তার পেছনের মানুষেরা’, ‘ভালোবাসার পদ্য’ উল্লেখযোগ্য। তাঁর রচিত প্রথম নাটক ‘শুভ্রা সুন্দর কল্যাণী আনন্দ’। আরও আছে ‘এলেবেলে’, ‘সাদা গোলাপে আগুন’ ও ‘পঙ্কজ বিভাস’। ‘পঙ্কজ বিভাস’ নাটকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত এক নারীকে নিয়ে ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে। তাঁর রচিত নাট্যবিষয়ক মূল্যবান গ্রন্থগুলো হলো: ‘নাট্যবিষয়ক নিবন্ধ’, ‘নাট্য ও নাটক’, ‘বাংলাদেশ থিয়েটার ও অন্যান্য রচনা’, ‘স্ট্যানিসলাভস্কি ও তার অভিনয় তত্ত্ব’, ‘নাট্যকলার বিভিন্ন ইজম ও এপিক থিয়েটার’, ‘বিশ্বনাট্য সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ এবং ‘থিয়েটারের কথা’। ২০০৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত