
মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
ফ্রান্সের সেই যুদ্ধ ইতিহাসে ‘দ্য ওয়ার অব দ্য কাউ’ নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায় যেটিকে বলে ‘গেরে দু লা ভাশে।’ যুদ্ধটি চলে ১২৭২ থেকে ১২৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। রোমান সাম্রাজ্যের বিশপ জন অব এনগিয়েনের অধীন এলাকা প্রিন্স-বিশপ্রিক অব লিয়েজ এবং মার্কুইস গাই অব দাম্পিয়েরের অধীন মারকুইসেট অব নামুরের মধ্যে এই সংঘাত বাধে।
গরু চুরি যাওয়া নিয়ে এক এলাকার একজন কৃষক এবং আরেক এলাকার পৌর কর্মকর্তার মধ্যে বিরোধের সূচনা। এই সংঘাত ক্রমেই একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় ফিলিপ সেটিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। ১২৭৮ সালে রাজা ওই অঞ্চলে শান্তি পুনঃস্থানের নির্দেশ জারি করেন।
যুদ্ধের কারণ ছিল কনদ্রোজের আঞ্চলিক রাজধানী সিনি শহরে একটি জাস্টিং টুর্নামেন্ট (শক্তি পরীক্ষার জন্য যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা) চলাকালীন একজন কৃষক একটি গরু চুরি করেন। এনগোরান্ত দে জলহে নামে ওই কৃষক ধরা পড়েন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে গরু ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্মকর্তারা কোনো কারণে ভুলক্রমে কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেন। এরপর ওই কৃষকের মনিব ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এরপর ব্রাবান্তের ডিউক প্রথম জন এবং দারবুয়ের লর্ড জেরার্ডের সহায়তায় হেসবায়ে আক্রমণ করেন মারকুইস অব নামুর। তাঁর মিত্র লুক্সেমবার্গের কাউন্ট পঞ্চম হেনরি পুরো কনদ্রোজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
হেনরি যখন রাজধানী সিনিতে পৌঁছান, সেটি ছিল ১২৭৬ সালের ১৭ এপ্রিল। তখন তিনি স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ২ হাজার ৪০০ জনের এক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এর অর্ধেকই ছিল অশ্বারোহী, বাকি অর্ধেক পদাতিক।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহরের মেয়র জ্যঁ দু হ্যালোয়। তিনি আবার কনদ্রোজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনিই এনগোরান্ত দে জালহে নামে ওই কৃষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
সেদিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনদ্রোজের বাহিনী পরাজিত হয়। জ্যঁ দু হ্যালয়সহ ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
আর লুক্সেমবার্গে নিহত হয় ১ হাজার ৪০০ মানুষ। এই দৃশ্য দেখে কাউন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘একজন শয়তানের বিপরীতে তিনজন ভদ্রলোক!’
বিশপের মার্শাল রবার্ট ডি ফোরভি পরবর্তীকালে শক্তি বৃদ্ধি করে এসে দেখেন সিনি শহরকে কাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরও শক্তিবৃদ্ধির আশায় নামুর প্রদেশের (বর্তমানে বেলজিয়াম) দিনান্ত শহরে ফিরে যান।
পরদিন ১৮ এপ্রিল শহরটিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে নটর ডেম গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল ডিউক অব ব্রাবান্ত মেফে শহরে লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান।
পরের বছর ১২৭৭ সালে লা ওয়ার্দে দে স্তেপসের যুদ্ধে লিজোয়াঁ মিলিশিয়াদের একটি জোট নামুর জয় করে।
যুদ্ধের পুরো কাহিনি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন লিজোয়াঁ বিশ্লেষক জ্যঁ দু আঅতরেমিউস এবং জ্যঁ দু হোকসেম। অন্যরা বলেছেন, ওই যুদ্ধে শুধু সিনি (চেনি) শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা নিয়ে ১৮৫২ সালে ওয়ালুনের কবি চার্লস দু ভিভিয়ের দু স্ত্রিলের লেখা একটি কমিক কবিতা প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ১৯৩১ সালে গরুকেন্দ্রিক একটি সংঘাত দেখা দিয়েছিল। মূলত গৃহপালিত পশুর যক্ষ্মা রোগের জন্য গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
কৃষকেরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা। নানাভাবে নিবৃত্ত করার চেষ্টার করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করেন।
খামারিদের বিশ্বাস ছিল, এ ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা উল্টো গরুকে যক্ষ্মার জীবাণুতে সংক্রামিত করতে পারে। এতে গাভিন গরুর গর্ভপাত হতে পারে। পরীক্ষাটি বেআইনি বলেও মনে করছিলেন তাঁরা।
এর মধ্যে আইওয়ার মাস্কাটাইন শহরের রেডিও স্টেশন কেটিএনটির মালিক নর্মান জি বেকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেন। যার ফলে কৃষকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কোথাও কোথাও সহিংসতাও হয়েছে। সহিংস বিক্ষোভ থামাতে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩১টি ইউনিট মোতায়েন করতে হয়েছিল। দুজন কৃষক গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
২৮ জুন ২০২৩
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
২৮ জুন ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
২৮ জুন ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

মধ্যযুগে ফ্রান্সে একবার গরু চুরি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজার হস্তক্ষেপে সেটির মীমাংসা হয়। এটি এমন এক মহাকাব্যিক ঘটনা ছিল যে, এ নিয়ে পরবর্তীকালে কবিতাও লেখা হয়েছে।
২৮ জুন ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে