সম্পাদকীয়
বিপ্লবী গোলাম আম্বিয়ার পুরো নাম গোলাম আম্বিয়া খান লুহানী। তাঁর জন্ম ১৮৯২ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জের আমলাপাড়ায়। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপের নানা শহরে রুশ বিপ্লবের সপক্ষে কাজ করেন। প্যারিসে অবস্থানকালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘দ্য মাসেস অব ইন্ডিয়া’ সম্পাদনা করেছেন। ফ্রান্সে থাকাকালে আরও দুজনের সঙ্গে মিলে ‘ভারত ও বিশ্ববিপ্লব’ থিসিস লিখে পাঠান রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদেমির লেনিনের কাছে। ভারতের ব্রিটিশ শাসনবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর তিনি মস্কোয় চলে যান। সেখানে কাজ করতেন রুশ সরকারের ‘কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক’-এর তথ্য বিভাগে। মস্কোয় দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ীভাবে থাকাকালে তিনি বহু ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন। তিনি মস্কোর কৃষক আন্তর্জাতিক (পেজেন্টস ইন্টারন্যাশনাল) সংগঠনে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের সাহায্য করার আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘মোপার’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মস্কো পাবলিশিং হাউসে অনুবাদকের দায়িত্ব পালনসহ মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের দেখভাল করতেন।
গোলাম আম্বিয়া লাভ করেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ এবং সোভিয়েত নাগরিকত্ব। রুশ ভাষায় তাঁকে ‘গুলিয়াম লুগানি’ নামে ডাকা হতো।
স্তালিনের শাসনকালে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে যখন দমন-পীড়ন চলছিল, তখন রুশ দেশে আরও অনেকের মতো তাঁকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেটি কার্যকর হয় ১৯৩৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ভারতের স্বাধীনতার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা এই বাঙালি বিপ্লবী আর কোনো দিন মাতৃভূমিতে ফিরতে পারেননি।
বিপ্লবী গোলাম আম্বিয়ার পুরো নাম গোলাম আম্বিয়া খান লুহানী। তাঁর জন্ম ১৮৯২ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জের আমলাপাড়ায়। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপের নানা শহরে রুশ বিপ্লবের সপক্ষে কাজ করেন। প্যারিসে অবস্থানকালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘দ্য মাসেস অব ইন্ডিয়া’ সম্পাদনা করেছেন। ফ্রান্সে থাকাকালে আরও দুজনের সঙ্গে মিলে ‘ভারত ও বিশ্ববিপ্লব’ থিসিস লিখে পাঠান রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদেমির লেনিনের কাছে। ভারতের ব্রিটিশ শাসনবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর তিনি মস্কোয় চলে যান। সেখানে কাজ করতেন রুশ সরকারের ‘কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক’-এর তথ্য বিভাগে। মস্কোয় দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ীভাবে থাকাকালে তিনি বহু ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন। তিনি মস্কোর কৃষক আন্তর্জাতিক (পেজেন্টস ইন্টারন্যাশনাল) সংগঠনে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের সাহায্য করার আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘মোপার’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মস্কো পাবলিশিং হাউসে অনুবাদকের দায়িত্ব পালনসহ মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের দেখভাল করতেন।
গোলাম আম্বিয়া লাভ করেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ এবং সোভিয়েত নাগরিকত্ব। রুশ ভাষায় তাঁকে ‘গুলিয়াম লুগানি’ নামে ডাকা হতো।
স্তালিনের শাসনকালে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে যখন দমন-পীড়ন চলছিল, তখন রুশ দেশে আরও অনেকের মতো তাঁকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেটি কার্যকর হয় ১৯৩৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ভারতের স্বাধীনতার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা এই বাঙালি বিপ্লবী আর কোনো দিন মাতৃভূমিতে ফিরতে পারেননি।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিনের অবদান অসামান্য। তিনি এ দেশে বিজ্ঞানকে ছোটদের মধ্যে জনপ্রিয় করার পথিকৃৎ।
২ দিন আগে১৯৪৭ সালে মোহাম্মদ তোয়াহা এ দেশে প্রথম বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
৩ দিন আগে১৯৯০ সাল। ঢাকার রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমে এসেছিল সব মত ও পেশার মানুষ। লক্ষ্য একটাই ছিল—এরশাদ স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তাই ঢাকা শহর সে সময় পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ২৩ দফার ভিত্তিতে
৫ দিন আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৬ দিন আগে