সম্পাদকীয়
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক গল্পের রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও সাংবাদিক।
তাঁর জন্ম ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা গ্রামে। তিনি নাসিরাবাদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ এবং ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতার রিপন ল কলেজ থেকে বিএল পাস করে ময়মনসিংহে এসে আইন পেশায় যুক্ত হন।
তিনি ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা নিয়ে তিনি দেশভাগের চার বছর আগেই ১৯৪৩ সালের দিকে নানা গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেছেন। তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে সুলতান, মোহাম্মদী, দি মুসলমান, কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর তিনি চিত্তরঞ্জন দাশের স্বরাজ পার্টির রাজনীতির সমর্থক হন। বেঙ্গল প্যাক্টের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন তিনি।
আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এর সহসভাপতি ছিলেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালির রাজনীতির তিন নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার ২১ দফা রচনা করেছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা ছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দাবির প্রথম পূর্ণাঙ্গ দলিল। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেন।
তাঁর ব্যঙ্গরচনার মধ্যে আছে ‘আয়না’, ‘গালিভারের সফরনামা’ ও ‘ফুড কনফারেন্স’। ‘আসমানী পর্দা’, ‘বাংলাদেশের কালচার’সহ আরও কিছু রচনাও লিখেছিলেন তিনি। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আত্মকথা’ ও ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’।
আবুল মনসুর আহমদ ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক গল্পের রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও সাংবাদিক।
তাঁর জন্ম ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা গ্রামে। তিনি নাসিরাবাদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ এবং ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতার রিপন ল কলেজ থেকে বিএল পাস করে ময়মনসিংহে এসে আইন পেশায় যুক্ত হন।
তিনি ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা নিয়ে তিনি দেশভাগের চার বছর আগেই ১৯৪৩ সালের দিকে নানা গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেছেন। তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে সুলতান, মোহাম্মদী, দি মুসলমান, কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর তিনি চিত্তরঞ্জন দাশের স্বরাজ পার্টির রাজনীতির সমর্থক হন। বেঙ্গল প্যাক্টের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন তিনি।
আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এর সহসভাপতি ছিলেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালির রাজনীতির তিন নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার ২১ দফা রচনা করেছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা ছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দাবির প্রথম পূর্ণাঙ্গ দলিল। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেন।
তাঁর ব্যঙ্গরচনার মধ্যে আছে ‘আয়না’, ‘গালিভারের সফরনামা’ ও ‘ফুড কনফারেন্স’। ‘আসমানী পর্দা’, ‘বাংলাদেশের কালচার’সহ আরও কিছু রচনাও লিখেছিলেন তিনি। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আত্মকথা’ ও ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’।
আবুল মনসুর আহমদ ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
১ ঘণ্টা আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
১ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগে