সম্পাদকীয়
শহীদ কাদরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি। তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে নাগরিক-জীবনবোধ ও আধুনিকতাবোধ। পাশাপাশি আধুনিক নাগরিক জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, স্বদেশচেতনার পাশাপাশি বিশ্ব-নাগরিকবোধের সম্মিলন ঘটেছে তাঁর কবিতায়।
শহীদ কাদরী ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট ভারতের কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। এই শহরে তাঁর শৈশব কেটেছে। ১৯৫২ সালে কৈশোরে ঢাকায় চলে আসেন। প্রায় তিন দশক ঢাকায় অবস্থান করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি প্রবাসজীবন কাটাতে শুরু করেন। চলে যান জার্মানিতে। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসজীবন কাটান। জীবনের প্রায় তিন দশক তিনি প্রবাসে বসবাস করেন।
শহীদ কাদরী মাত্র ১১ বছরে লিখেছিলেন প্রথম ‘পরিক্রমা’ কবিতাটি, যা ‘স্পন্দন’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এরপর ‘জলকন্যার জন্য’ শিরোনামে কবিতা লেখেন এবং একই পত্রিকায় ছাপা হয়। ২৫ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’।
বাংলা কবিতার শক্তিশালী কবি শহীদ কাদরী। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও ত্রিশের দশকে পঞ্চপাণ্ডবের হাত ধরে এবং মধ্য চল্লিশের দশকে ঢাকাকেন্দ্রিক কবিতার যে চর্চা শুরু হয়, তারই পরবর্তী দশকের কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি। ভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে কবিতার যে বাঁকবদল ঘটে, শহীদ কাদরী ছিলেন সেই বাঁকেরই একজন।
জীবদ্দশায় শহীদ কাদরীর মাত্র চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। ‘উত্তরাধিকার’ (১৯৬৭), ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ (১৯৭৪), ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’ (১৯৭৮), ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ (২০০৯)—এই চারটি কাব্যগ্রন্থ বাংলা কাব্যসাহিত্যে এক নতুন সংযোজন। তাঁর সেই চারটি গ্রন্থে কবিতা রয়েছে ১৫০টি। শহীদ কাদরীর মৃত্যুর পর অগ্রন্থিত ২৩টি কবিতা নিয়ে পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির নাম ‘গোধূলির গান’।
দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমন শহীদ কাদরীর কবিতা ‘ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা...’ নিয়ে গান রচনা করেছেন।
২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট শহীদ কাদরী নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
শহীদ কাদরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি। তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে নাগরিক-জীবনবোধ ও আধুনিকতাবোধ। পাশাপাশি আধুনিক নাগরিক জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, স্বদেশচেতনার পাশাপাশি বিশ্ব-নাগরিকবোধের সম্মিলন ঘটেছে তাঁর কবিতায়।
শহীদ কাদরী ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট ভারতের কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। এই শহরে তাঁর শৈশব কেটেছে। ১৯৫২ সালে কৈশোরে ঢাকায় চলে আসেন। প্রায় তিন দশক ঢাকায় অবস্থান করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি প্রবাসজীবন কাটাতে শুরু করেন। চলে যান জার্মানিতে। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসজীবন কাটান। জীবনের প্রায় তিন দশক তিনি প্রবাসে বসবাস করেন।
শহীদ কাদরী মাত্র ১১ বছরে লিখেছিলেন প্রথম ‘পরিক্রমা’ কবিতাটি, যা ‘স্পন্দন’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এরপর ‘জলকন্যার জন্য’ শিরোনামে কবিতা লেখেন এবং একই পত্রিকায় ছাপা হয়। ২৫ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’।
বাংলা কবিতার শক্তিশালী কবি শহীদ কাদরী। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও ত্রিশের দশকে পঞ্চপাণ্ডবের হাত ধরে এবং মধ্য চল্লিশের দশকে ঢাকাকেন্দ্রিক কবিতার যে চর্চা শুরু হয়, তারই পরবর্তী দশকের কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি। ভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে কবিতার যে বাঁকবদল ঘটে, শহীদ কাদরী ছিলেন সেই বাঁকেরই একজন।
জীবদ্দশায় শহীদ কাদরীর মাত্র চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। ‘উত্তরাধিকার’ (১৯৬৭), ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ (১৯৭৪), ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’ (১৯৭৮), ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ (২০০৯)—এই চারটি কাব্যগ্রন্থ বাংলা কাব্যসাহিত্যে এক নতুন সংযোজন। তাঁর সেই চারটি গ্রন্থে কবিতা রয়েছে ১৫০টি। শহীদ কাদরীর মৃত্যুর পর অগ্রন্থিত ২৩টি কবিতা নিয়ে পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির নাম ‘গোধূলির গান’।
দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমন শহীদ কাদরীর কবিতা ‘ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা...’ নিয়ে গান রচনা করেছেন।
২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট শহীদ কাদরী নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
১ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগেমাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
৩ দিন আগে