সম্পাদকীয়
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৩০ সালের ১৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবারে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার সুন্দর পরিবেশ ছিল। সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল তাঁদের বাড়িতে।
তিনি বর্ধমানের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। যৌবনের শুরুতেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সূত্রে তিনি লোকনাট্য দল ‘আলকাপ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। দলে তিনি বাঁশি বাজাতেন এবং লোকনাট্য ও লোকনৃত্যের ওপর প্রশিক্ষণ দিতেন।
১৯৬২ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ভালোবাসা ও ডাউন ট্রেন’ গল্পটি। ১৯৬৯ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখির সুযোগ হয়। এরপর ১৯৭১ সালে এই পত্রিকার বার্তা বিভাগে চাকরি শুরু করেন।
তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘অলীক মানুষ’। এই উপন্যাস লেখার প্রস্তুতিপর্বে ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, নানা ধর্মের ধর্মশাস্ত্র, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ের ওপর তিনি গভীর পড়াশোনা করেন। চতুরঙ্গ পত্রিকার আমন্ত্রণে তিনি উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ভুয়ালকা, সাহিত্য আকাদেমি ও বঙ্কিম পুরস্কার পান, সম্মানিত হন আন্তর্জাতিক সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কারেও।
তিনি ১৫০টির মতো উপন্যাস এবং ৩০০টির মতো ছোটগল্প লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ‘ইন্তিপিসি ও ঘাটবাবু’, ‘ভালোবাসা ও ডাউন ট্রেন’, ‘মানুষের জন্ম’, ‘রণভূমি’, ‘রক্তের প্রত্যাশা’, ‘মাটি’ প্রভৃতি ছোটগল্প এবং ‘অলীক মানুষ’, ‘কৃষ্ণা বাড়ি ফেরেনি’ প্রভৃতি উপন্যাস উল্লেখযোগ্য। তিনি গোয়েন্দা চরিত্র কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের স্রষ্টা। এই চরিত্র সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজকে খ্যাতির তুঙ্গে নিয়ে যায়।
তাঁর গল্প ও একাধিক গ্রন্থ ভারতের অনেক আঞ্চলিক ভাষাসহ বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ ছাড়া অঞ্জন দাস তাঁর ‘রাণীঘাটের বৃত্তান্ত’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘ফালতু’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।
২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই মহান সাহিত্যস্রষ্টার মহাপ্রয়াণ ঘটে কলকাতায়।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৩০ সালের ১৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের খোশবাসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবারে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার সুন্দর পরিবেশ ছিল। সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল তাঁদের বাড়িতে।
তিনি বর্ধমানের গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। যৌবনের শুরুতেই তিনি বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সূত্রে তিনি লোকনাট্য দল ‘আলকাপ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। দলে তিনি বাঁশি বাজাতেন এবং লোকনাট্য ও লোকনৃত্যের ওপর প্রশিক্ষণ দিতেন।
১৯৬২ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ‘ভালোবাসা ও ডাউন ট্রেন’ গল্পটি। ১৯৬৯ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখির সুযোগ হয়। এরপর ১৯৭১ সালে এই পত্রিকার বার্তা বিভাগে চাকরি শুরু করেন।
তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘অলীক মানুষ’। এই উপন্যাস লেখার প্রস্তুতিপর্বে ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, নানা ধর্মের ধর্মশাস্ত্র, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ের ওপর তিনি গভীর পড়াশোনা করেন। চতুরঙ্গ পত্রিকার আমন্ত্রণে তিনি উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ভুয়ালকা, সাহিত্য আকাদেমি ও বঙ্কিম পুরস্কার পান, সম্মানিত হন আন্তর্জাতিক সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কারেও।
তিনি ১৫০টির মতো উপন্যাস এবং ৩০০টির মতো ছোটগল্প লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ‘ইন্তিপিসি ও ঘাটবাবু’, ‘ভালোবাসা ও ডাউন ট্রেন’, ‘মানুষের জন্ম’, ‘রণভূমি’, ‘রক্তের প্রত্যাশা’, ‘মাটি’ প্রভৃতি ছোটগল্প এবং ‘অলীক মানুষ’, ‘কৃষ্ণা বাড়ি ফেরেনি’ প্রভৃতি উপন্যাস উল্লেখযোগ্য। তিনি গোয়েন্দা চরিত্র কর্নেল নীলাদ্রি সরকারের স্রষ্টা। এই চরিত্র সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজকে খ্যাতির তুঙ্গে নিয়ে যায়।
তাঁর গল্প ও একাধিক গ্রন্থ ভারতের অনেক আঞ্চলিক ভাষাসহ বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ ছাড়া অঞ্জন দাস তাঁর ‘রাণীঘাটের বৃত্তান্ত’ ছোটগল্প অবলম্বনে ‘ফালতু’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।
২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই মহান সাহিত্যস্রষ্টার মহাপ্রয়াণ ঘটে কলকাতায়।
গান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
১ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৫ দিন আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পানাম নগর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। ঐতিহাসিক এই নগর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়, বিশেষত এর নানা নান্দনিক স্থাপনার কারণে। তেমনি একটি প্রাচীন স্থাপনা পানাম-দুলালপুর সেতু। ইট-সুড়কির এই সেতুটি সতের শ শতকে নির্মিত হয়েছে পানাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পঙ্খীরাজ খালের ওপর।
৬ দিন আগে