সম্পাদকীয়
প্রবোধচন্দ্র সেন ছিলেন ছন্দবিশারদ, ঐতিহাসিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল কুমিল্লার মনিয়ন্দ গ্রামে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা গ্রামে ছিল তাঁর আদি বাড়ি। তিনি স্থানীয় গিরিধারী পাঠশালা ও ইউসুফ হাই ইংলিশ স্কুলে প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রাবস্থায় তিনি অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। এ কারণে রাজদ্রোহী সন্দেহে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় খুলনার দৌলতপুর কলেজে ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে। তারপর ১৯৪২ সালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহ্বানে তিনি বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনে রবীন্দ্র-অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হন। অবসরের পর তাঁকে বিশ্বভারতীর প্রফেসর ইমেরিটাস করা হয়।
তিনি সারা জীবন ছন্দ-চর্চায় নিবিষ্ট ছিলেন এবং বাংলা ছন্দের আদ্যন্ত ইতিহাস বিজ্ঞানসম্মতরূপে রচনা করেন। বাংলা ছন্দবিষয়ক তাঁর গ্রন্থগুলো হলো: বাংলা ছন্দে রবীন্দ্রনাথের দান, ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ, ছন্দ পরিক্রমা, ছন্দ-জিজ্ঞাসা, বাংলা ছন্দচিন্তার ক্রমবিকাশ, ছন্দ সোপান, আধুনিক বাংলা ছন্দ-সাহিত্য, বাংলা ছন্দে রূপকার রবীন্দ্রনাথ, নূতন ছন্দ পরিক্রমা ইত্যাদি।
তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়েও পণ্ডিত ছিলেন। এমএ পাস করার পর তিনি প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা আরম্ভ করেন প্রথমে ঐতিহাসিক রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর এবং পরে হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে।
তাঁর ‘বাংলার ইতিহাস সাধনা’ গ্রন্থটি বিশেষ মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইতিহাস বিষয়ে তাঁর অপর তিনটি গ্রন্থ—বাংলায় হিন্দু রাজত্বের শেষ যুগ, ধর্মবিজয়ী অশোক, ধম্মপদ-পরিচয়। তাঁর গভীর আকর্ষণ ছিল সম্রাট অশোক ও বৌদ্ধধর্মের প্রতি।
প্রবোধচন্দ্র সেন শান্তিনিকেতনে ১৯৮৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
প্রবোধচন্দ্র সেন ছিলেন ছন্দবিশারদ, ঐতিহাসিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৭ এপ্রিল কুমিল্লার মনিয়ন্দ গ্রামে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা গ্রামে ছিল তাঁর আদি বাড়ি। তিনি স্থানীয় গিরিধারী পাঠশালা ও ইউসুফ হাই ইংলিশ স্কুলে প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রাবস্থায় তিনি অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। এ কারণে রাজদ্রোহী সন্দেহে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় খুলনার দৌলতপুর কলেজে ইতিহাস ও বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে। তারপর ১৯৪২ সালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আহ্বানে তিনি বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনে রবীন্দ্র-অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হন। অবসরের পর তাঁকে বিশ্বভারতীর প্রফেসর ইমেরিটাস করা হয়।
তিনি সারা জীবন ছন্দ-চর্চায় নিবিষ্ট ছিলেন এবং বাংলা ছন্দের আদ্যন্ত ইতিহাস বিজ্ঞানসম্মতরূপে রচনা করেন। বাংলা ছন্দবিষয়ক তাঁর গ্রন্থগুলো হলো: বাংলা ছন্দে রবীন্দ্রনাথের দান, ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ, ছন্দ পরিক্রমা, ছন্দ-জিজ্ঞাসা, বাংলা ছন্দচিন্তার ক্রমবিকাশ, ছন্দ সোপান, আধুনিক বাংলা ছন্দ-সাহিত্য, বাংলা ছন্দে রূপকার রবীন্দ্রনাথ, নূতন ছন্দ পরিক্রমা ইত্যাদি।
তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়েও পণ্ডিত ছিলেন। এমএ পাস করার পর তিনি প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা আরম্ভ করেন প্রথমে ঐতিহাসিক রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর এবং পরে হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে।
তাঁর ‘বাংলার ইতিহাস সাধনা’ গ্রন্থটি বিশেষ মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইতিহাস বিষয়ে তাঁর অপর তিনটি গ্রন্থ—বাংলায় হিন্দু রাজত্বের শেষ যুগ, ধর্মবিজয়ী অশোক, ধম্মপদ-পরিচয়। তাঁর গভীর আকর্ষণ ছিল সম্রাট অশোক ও বৌদ্ধধর্মের প্রতি।
প্রবোধচন্দ্র সেন শান্তিনিকেতনে ১৯৮৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
১ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগেমাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
৩ দিন আগে