ইসরায়েল–ফিলিস্তিন : দীর্ঘ সংঘাতের নির্মম ইতিহাস

ইয়াসিন আরাফাত 
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০৮: ৩০
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫০

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে চলমান সংঘাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও দীর্ঘতম হচ্ছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে চলা এই সংঘাতের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। সেই একই প্রস্তাব অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা।

কালের পরিক্রমায় ইসরায়েল এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হলেও ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনতা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন। ওই সময়টায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশ সুবিধা পেয়েছে। ট্রাম্পের আমলের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের মিত্র দেশ বাহরাইন, আমিরাতের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে ইসরায়েলে। এ ছাড়া আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কোর সঙ্গেও ইসরায়েল শান্তি চুক্তি করতে পেরেছে। তবে অধিকাংশ মুসলিম দেশ মনে করে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। আর এ জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্রকে তারা স্বীকৃতি দেয়নি।

যেভাবে সংঘাতের শুরু
উনিশ শতকের আশির দশকে ইউরোপে বসবাসকারী ইহুদিরা ব্যাপক বিদ্বেষ ও নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন। এই নির্যাতনই ইহুদিদের মধ্যে এক মতবাদের জন্ম দেয়, যার নাম জায়নবাদ। এই জায়নবাদই আজকের ইসরায়েলের আধিপত্যবাদী চরিত্রটি নির্ধারণ করে দিয়েছে। মূলত জেরুজালেম ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে এটি ছিল এক দীর্ঘ আন্দোলনের সূচনা। এই সূচনা সাংগঠনিক রূপ পেতে সময় লাগেনি। ১৮৯৭ সালে গড়ে ওঠে জায়নবাদী সংঘ। প্রথম জায়োনিস্ট কংগ্রেসে ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র পত্তনের লক্ষ্য ধার্য করা হয়।

এই লক্ষ্য অনুযায়ী ১৯০২ সালের মধ্যেই ৩৫ হাজার ইহুদি চলে আসে ফিলিস্তিনে। তাদের হাতেই জন্ম হয় আজকের ইসরায়েল। তখন ইসরায়েলে ছিল মুসলিম নিয়ন্ত্রিত একটি ভূখণ্ড। ১৯১৪ সালের মধ্যেই আরও ৪০ হাজার ইহুদি এ এলাকায় আসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিরা সমর্থন দেয় জার্মানিকে। কারণ, তারা শত্রু রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছিল।
জায়নবাদীরা চাইছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সমর্থন পেতে। ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লয়েড জর্জ তত দিনে ইহুদিদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর ইহুদি কমিউনিটির নেতা রথসচাইল্ডকে চিঠি দেন, যা বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। ব্রিটিশরা ১৯১৭ সালে এই বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য ‘ইসরায়েল’ রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করে।

১৯২২ সালে বেলফোর ঘোষণায় পরোক্ষ সমর্থন দেয় তৎকালীন লিগ অব ন্যাশনস। ১৯২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃতীয় আলিয়ার (সারা বিশ্ব থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে আসা) ঘটনা ঘটে। এই পর্যায়ে ৪০ হাজার ইহুদি ফিলিস্তিনে আসে। আর ১৯২৯ সালের মধ্যে চতুর্থ আলিয়া হয়। এই পর্যায়ে আসে আরও ৮২ হাজার ইহুদি।

ইসরায়েল-হামাসের লড়াইয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষের সামনে এক ফিলিস্তিনি মেয়ে এক ছেলেকে কোলে নিয়ে আছে। ২৩ মে,২০২১

ইহুদি–মুসলিম দাঙ্গা
এই সময়েই ইহুদি–মুসলিম প্রথম বড় দাঙ্গা হয়। সময়টা ১৯২৯ সাল। জেরুজালেমের ওয়েইলিং ওয়াল বা বুরাক দেয়াল নিয়ে এই দাঙ্গা হয়। এই সংঘাতের পর ১৯৩১ সালে জায়নবাদীরা ইর্গুন জাই লিউমি নামে এক মিলিশিয়া প্রতিষ্ঠা করে। এই বাহিনী ১৯৪৬ সালে জেরুজালেমের কিং ডেভিড হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ করে। ১৯৪৮ সালে ইহুদি অধিকার আদায়ের নামে তারা দেইর ইয়াসিন গ্রামে গণহত্যা চালায়।

এর আগেই অবশ্য ১৯৩৮ সালে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি চলে আসে ফিলিস্তিনে। ফিলিস্তিনের জনমিতি দ্রুত বদলাতে থাকে। সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতিও তৈরি হতে থাকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেভাবে লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়, তাতে ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চাপ বাড়তে থাকে। ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে থাকা অঞ্চলটি তখন ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা
এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ১৯৪৮ সালের ১৪ মে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল। এর পরদিনই মিসর, জর্ডান, সিরিয়া ও ইরাক মিলে অভিযান চালায় ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের অধীনে থাকা অঞ্চলে। সেটিই ছিল প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। ইহুদিদের কাছে এটি স্বাধীনতার যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। তখনো সদ্যোজাত ইসরায়েলের কোনো ভারী অস্ত্র ছিল না। চেকোস্লোভাকিয়া ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে। ওই বছরের ১১ জুন এক মাসের শান্তিচুক্তিতে বাধ্য করে জাতিসংঘ।

সুয়েজ খাল সংকট
১৯৫৬ সালে যখন সুয়েজ খাল নিয়ে সংকট তৈরি হয়, তখন ইসরায়েল মিসরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কিন্তু সেই সংকটে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ব্রিটেন, ইসরায়েল ও ফ্রান্সকে পিছু হটতে হয়। এ সময় ইসরায়েল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি হত্যাকারী নাৎসিদের খুঁজে বের করে হত্যা করতে থাকে বা মৃত্যুদণ্ড দিতে থাকে। এ সময় দুর্ধর্ষ ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তৎপরতা ওঠে তুঙ্গে।

দ্বিতীয় আরব–ইসরায়েল যুদ্ধ
১৯৬৭ সালে আবার মুখোমুখি হয় আরব–ইসরায়েল। ছয় দিনের এই যুদ্ধ শুরু হয় ওই বছরের ৫ জুন। ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এই যুদ্ধে যা ঘটেছিল, তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল পরবর্তীকালে।
ইসরায়েল বিপুলভাবে জয়ী হয় এই যুদ্ধে। তারা গাজা ও সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়, যা ১৯৪৮ সাল থেকে মিসরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরও তারা দখল করে নেয় জর্ডানের কাছ থেকে। সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে গোলান মালভূমি। এই সময় আরও ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি-ঘর ফেলে পালাতে হয়।

মার্কিন দূতাবাসের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ গাজা উপত্যকার ইসরায়েলি-গাজা সীমান্তে অবস্থান নিলে তাঁদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়

ইয়োম কিপুর যুদ্ধ
আরব-ইসরায়েল সংঘাতের ইতিহাসে এর পরের যুদ্ধটি ‘ইয়োম কিপুর’ যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের এই যুদ্ধে একদিকে ছিল মিসর আর সিরিয়া, অন্য পক্ষে ইসরায়েল। মিসর এই যুদ্ধে সিনাই অঞ্চলে তাদের কিছু হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করে। তবে গাজা বা গোলান মালভূমি থেকে ইসরায়েলকে হটানো যায়নি। এ যুদ্ধের ফলে সৌদি সরকার ১৯৭৩ সালের তেল সংকট সূচনা করে। ১৯৭৪ সালে স্বাধীন ফিলিস্তিন গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৈরি রাজনৈতিক সংগঠন (পিএলও) জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক দেশের মর্যাদা পায়। ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থান চলেছিল।

১৯৯৩ সালে অসলো প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) মধ্যে যে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়, তার ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসন কায়েম হয়। তবে এটি ছিল নামকাওয়াস্তে। তত দিনে অবশ্য সেই অঞ্চলের একটি বড় অংশ ইসরায়েলের অবৈধ বসতির কবলে অথবা সরাসরি সামরিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

নতুন শতাব্দী ও দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় ২০০০ সালে এবং এটি ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই সময়ে অন্তত ৩ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি ও ১ হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়। ২০০৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর হামাস ও ফাতাহর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি আইনসভার নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে জয়ী হয় হামাস। এরপর তারা গাজা উপত্যকা দখল করে নেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান ও আরব রাষ্ট্রগুলো ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয় এবং হামাসকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে ১৯৫৯ সালে গঠিত দল আল–ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাস, সালাহ খালাফ, খালিল আল–ওয়াজির, আহমদ শাকির, নায়েফ হাওয়াতমেহ ও আবদুল মোহসেন আবু মাইজার দলটির প্রথম প্রজন্মের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।

হামাস–ফাতাহ জোট
২০১৪ সালে ফাতাহ ও হামাস একত্রে সরকার গঠন করতে রাজি হয়। তখন ইসরায়েল শান্তিচুক্তির আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই হামাসের রকেট হামলার উত্তরে ইসরায়েল গাজা এলাকায় বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে মার্কিন দূতাবাস ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করে মার্কিন প্রশাসন। ২০১৯ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন পদক্ষেপই ইসরায়েল নিয়ে এযাবৎকালে গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন পদক্ষেপ। 

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের সামনে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ

সংঘাত নিরসন দূর অস্ত
২০১৮ সালের ১৪ মে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকট নতুন মাত্রা পেল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়েছে গাজায়। সেদিন অন্তত ৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয় ইসরায়েলি হামলায়। আহত হয় ৩ হাজারের বেশি। ওই ঘটনার পর শতাধিক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলি ও বোমায় নিহত হয়। ফিলিস্তিনিরা তাদের এই বিক্ষোভের নাম দিয়েছে ‘গ্রেট মার্চ টু রিটার্ন’। অর্থাৎ নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার মিছিল।

এর সর্বশেষ মঞ্চায়ন দেখা গেছে এ বছরই। চলতি বছর জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাত হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পাঠানো বিশেষ দূতের মাধ্যমে হওয়া আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিরস্ত হয় ইসরায়েলি বাহিনী। বরাবরের মতোই ক্ষয়ক্ষতির পাল্লা ফিলিস্তিনিদের দিকেই ভারী।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই তার মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান করেছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মতো এমন ‘চক্ষুলজ্জাবিহীন অন্ধ পক্ষপাত’ হয়তো কখনোই করা হয়নি। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’ প্রকাশ করেন। ট্রাম্পের মধ্যস্থতাতেই আরব রাষ্ট্র বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে। গুঞ্জন রয়েছে সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।

আরব মানচিত্রে ইসরায়েলকে সৌদি আরবের দুধ ভাই বলা যায়। প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষ না নিলেও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থের অন্যতম রক্ষক এই রাষ্ট্র প্রকারান্তরে বারবার বিভিন্ন সংকটকালে ইসরায়েলেরই পক্ষ নিয়েছে। শুধু আরব অনৈক্যই নয়, এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা অর্থকরীও বটে। সে অর্থের হিসাব অন্য কোনো দিন হবে। আপাতত ইতিহাসের নানা বাঁকে থাকা এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের উপাদানগুলোর গল্পই থাকল।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত