অনলাইন ডেস্ক
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী নীতি সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে, ৫৮টি উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশের সুদের হার গড়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে এসে তা ৭ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই দেশগুলোর মোট ঋণ সর্বোচ্চ ২৯৮ ট্রিলিয়ন বা সম্মিলিত জিডিপির ৩৪২ শতাংশে পৌঁছেছে। যা করোনা মহামারির আগে ছিল ২৫৫ ট্রিলিয়ন বা জিডিপির ৩২০ শতাংশের কিছু বেশি।
উচ্চ সুদে ঋণের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ৫৮টি দেশের সরকারি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। এই তিন খাতে একত্রে আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯০ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে এসব দেশের সুদের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা জিডিপির ১২ শতাংশ। ২০২২ সাল নাগাদ এটি ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১৩ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছায়। যা সম্মিলিত জিডিপির ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ ও সুদের এই হিসাব অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে। বাস্তবে উচ্চ সুদের হার ঋণ-পরিষেবা ব্যয় দ্রুত বাড়ায় না। সরকারি ঋণের মেয়াদ সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে থাকে। অপরদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিক ঋণ স্বল্পমেয়াদে নেওয়া হয়। সরকারি ঋণের জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে এবং বেসরকারি ও পারিবারিক ঋণের জন্য দুই বছর সময়কালের মধ্যে সুদের হার বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। ধারণা করা হয়, নমিনাল আয় (মুদ্রাস্ফীতি বাদে আয়) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী বাড়ে।
ইকোনমিস্টের বিশ্লেষকদের পরামর্শ, যদি সুদের হার সরকারি বন্ড বাজারের পথ অনুসরণ করে, তাহলে সুদের আকার ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপির প্রায় ১৭ শতাংশে দাঁড়াবে। এখন প্রশ্ন হলো, যদি বন্ড বাজার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে কতটা কঠিন করে তুলছে তা অবমূল্যায়ন করে তাহলে কী হবে? বিশ্লেষকদের মতে, এ ক্ষেত্রে সুদের হার জিডিপির ২০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
নমিনাল কর রাজস্ব, ব্যক্তিগত আয় এবং করপোরেট মুনাফা বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির বোঝা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। জিডিপির একটি অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ঋণ ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ৩৫৫ শতাংশের থেকে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ বছরের ট্রেজারি মুদ্রাস্ফীতি সুরক্ষা বিলের পরিমাপ করা আসল হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। ২০১৯ সালে গড়ে এটি ছিল শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সুদের বোঝা কে বহন করছে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, উদীয়মান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বড় আকারের প্রভাব পড়বে উচ্চ সুদ হার। তারা ঋণের বোঝা মোকাবিলা করতে সংকটজনক অবস্থায় পড়বে। দুর্বল মুদ্রানীতি, প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে থাকায় পরবর্তী দুই বছরে এই দেশগুলোতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ঋণের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বেশির ভাগই ভালো করছে। ইতালিতে অন্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বন্ড বেশি বেড়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক সার্বভৌম বন্ড কেনা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মার্চ মাসে ব্যালেন্স-শিট সংকুচিত করতে শুরু করবে। এটি সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
কিছু দেশের সরকারের ভাগ্য বদলাতে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিক ঋণের এমনকি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সমর্থনের প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে চীনের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে এটি। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন এখন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারকে এদিকে নজর দিতে হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এদিকে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে একযোগে সুদ হার বাড়াচ্ছে, তা গত পাঁচ দশকে আর দেখা যায়নি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকা ও বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর নড়বড়ে অবস্থানের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানোর প্রবণতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক জানায়, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। এটি ২০০৯ ও ২০২০ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় বাদ দিলে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি হার। ১৯৭০ সালের মন্দার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুতি এবং ঋণ সংকট মোকাবিলার জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। সহজ শর্তে অর্থায়ন ও অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি মূলধন ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মানবসম্পদ তৈরি ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন তামান্না-ই-জাহান
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী নীতি সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে, ৫৮টি উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশের সুদের হার গড়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে এসে তা ৭ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই দেশগুলোর মোট ঋণ সর্বোচ্চ ২৯৮ ট্রিলিয়ন বা সম্মিলিত জিডিপির ৩৪২ শতাংশে পৌঁছেছে। যা করোনা মহামারির আগে ছিল ২৫৫ ট্রিলিয়ন বা জিডিপির ৩২০ শতাংশের কিছু বেশি।
উচ্চ সুদে ঋণের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ৫৮টি দেশের সরকারি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতে সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। এই তিন খাতে একত্রে আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯০ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে এসব দেশের সুদের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা জিডিপির ১২ শতাংশ। ২০২২ সাল নাগাদ এটি ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১৩ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছায়। যা সম্মিলিত জিডিপির ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ ও সুদের এই হিসাব অনুমানের ভিত্তিতে করা হয়েছে। বাস্তবে উচ্চ সুদের হার ঋণ-পরিষেবা ব্যয় দ্রুত বাড়ায় না। সরকারি ঋণের মেয়াদ সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে থাকে। অপরদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিক ঋণ স্বল্পমেয়াদে নেওয়া হয়। সরকারি ঋণের জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে এবং বেসরকারি ও পারিবারিক ঋণের জন্য দুই বছর সময়কালের মধ্যে সুদের হার বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। ধারণা করা হয়, নমিনাল আয় (মুদ্রাস্ফীতি বাদে আয়) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী বাড়ে।
ইকোনমিস্টের বিশ্লেষকদের পরামর্শ, যদি সুদের হার সরকারি বন্ড বাজারের পথ অনুসরণ করে, তাহলে সুদের আকার ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপির প্রায় ১৭ শতাংশে দাঁড়াবে। এখন প্রশ্ন হলো, যদি বন্ড বাজার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে কতটা কঠিন করে তুলছে তা অবমূল্যায়ন করে তাহলে কী হবে? বিশ্লেষকদের মতে, এ ক্ষেত্রে সুদের হার জিডিপির ২০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
নমিনাল কর রাজস্ব, ব্যক্তিগত আয় এবং করপোরেট মুনাফা বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির বোঝা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। জিডিপির একটি অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ঋণ ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ৩৫৫ শতাংশের থেকে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ বছরের ট্রেজারি মুদ্রাস্ফীতি সুরক্ষা বিলের পরিমাপ করা আসল হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। ২০১৯ সালে গড়ে এটি ছিল শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সুদের বোঝা কে বহন করছে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, উদীয়মান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বড় আকারের প্রভাব পড়বে উচ্চ সুদ হার। তারা ঋণের বোঝা মোকাবিলা করতে সংকটজনক অবস্থায় পড়বে। দুর্বল মুদ্রানীতি, প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে থাকায় পরবর্তী দুই বছরে এই দেশগুলোতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ঋণের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বেশির ভাগই ভালো করছে। ইতালিতে অন্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বন্ড বেশি বেড়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক সার্বভৌম বন্ড কেনা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মার্চ মাসে ব্যালেন্স-শিট সংকুচিত করতে শুরু করবে। এটি সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
কিছু দেশের সরকারের ভাগ্য বদলাতে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পারিবারিক ঋণের এমনকি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সমর্থনের প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে চীনের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে এটি। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন এখন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারকে এদিকে নজর দিতে হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এদিকে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে একযোগে সুদ হার বাড়াচ্ছে, তা গত পাঁচ দশকে আর দেখা যায়নি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকা ও বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর নড়বড়ে অবস্থানের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানোর প্রবণতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক জানায়, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। এটি ২০০৯ ও ২০২০ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় বাদ দিলে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি হার। ১৯৭০ সালের মন্দার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুতি এবং ঋণ সংকট মোকাবিলার জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। সহজ শর্তে অর্থায়ন ও অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি মূলধন ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মানবসম্পদ তৈরি ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন তামান্না-ই-জাহান
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৭ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে