শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
গল্প
গল্প
কবিতা
প্রবন্ধ
রম্য
আলোচনা
শিশুতোষ
কারবালার প্রান্তর
বালিহাঁসের মতো চকচকে সাদা রোদ। আকাশের দিকে তাকানো যায় না, চোখ ঝলসে যায়। যেন আকাশ থেকে ঝরনার মতো আগুন ঝরছে! কালো হাতের তালু দিয়ে চোখ দুটো ঢেকে রবি মান্দি সেই নির্দয় আকাশের দিকে তাকায়।
ধার করা খালাম্মা
আমরা ভাইবোনরা ওনাকে ডাকতাম ধার করা খালাম্মা। সব সময় আমাদের বাসায় আসতেন টাকা ধার নেবার জন্য—‘বিশটা টাকা হোবে। কদিন পরেই লিয়ে দোব।’
ক-তে কুকুর
মুরাদ বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করছে, ‘ক-তে কুকুর...ক-তে কুকুর...।’ কুকুরের দলও সোল্লাসে চিৎকার করছে, ওউওওও...। ছেলে ও কুকুরের কণ্ঠের সমবেত ধ্বনি কানে ঢুকতেই হামিদের শিরদাঁড়া মুচড়ে শিরশিরে একটা স্রোত ঘাড়ের দিকে উঠতে থাকে।
মধুডাঙার ঢেউ
অর্ধবৃত্তাকার এক দ্বীপের তিন পাশ নদীবেষ্টিত। যেন একটা সাপ পেঁচিয়ে আছে আড়াআড়ি দ্বিখণ্ডিত বৃক্ষের কোমরে। নদীটার নাম মধুডাঙা। স্বচ্ছ জলের নদী। তবে বারো মাস ঢেউ থাকে। অমাবস্যার রাতে এই নদীর জল মেঘের মতো কালো
এ পৃথিবী একবার পায় তারে
আসমানে উড়ছে একটা নীল বক। আর আসমানটা একেবারে ধবধবে সাদা—যেন এইমাত্র লন্ড্রি থেকে ধুয়ে এনে একটি সাদা চাদর ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে চরাচরজুড়ে। নীল বকটা নিঃশব্দ নয়। উড়ছে তীব্র শো শো শব্দে।
আলুর চিপস
বাইরে থেকে হঠাৎ হাঁক শুনতে পেল চালাকু, ‘চালাকু! ও চালাকু!’ বারান্দায় ছুটে গেল চালাকু। দোতলা থেকে উঁকি মারল রাস্তায়। ছোটমামা! কালো হয়ে গেল চালাকুর মুখ। ছোটমামাকে ও একটুও পছন্দ করে না। কেন? ছোটমামার মতো কিপটে ও দ্বিতীয়টা দেখেনি।
প্রফেসর সৈয়দ আবদুল হাদীর মৎস্য শিকার
দর্শনের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হাদীর একটাই হবি—ফিশিং। ছুটির দিনে ছিপ ফেলে মাছ ধরাটা বলতে গেলে একমাত্র নেশা মিস্টার হাদীর। মফস্বলের বিখ্যাত কলেজের ততোধিক বিখ্যাত অধ্যাপক মিস্টার হাদীকে শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়িতে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
দালাল
চণ্ডীপুর বাজারের এই হাফিজ স্টোরে সিয়ামের বয়সী একটি ছেলেও কাজ করে। ওর নাম জাকির। বাজারের প্রায় সব দোকানেই এ রকম একটি করে ছেলে আছে। সিয়ামের সঙ্গে জাকিরের তেমন ভাব নেই। জাকিরের আদবকেতা সিয়ামের পছন্দ না। জাকির কোনো খদ্দেরকে স্যার ডাকে না। গত ঈদের ছুটিতে নাটোরে মামার বাড়িতে গিয়ে সিয়াম দেখে এসেছে, কেউ জিন
দ্য আদার পার্ট
নাজিম সাহেব আয়েশ করে কফিতে চুমুক দিচ্ছেন, পাশে বডিগার্ড জয়নাল তাঁর জন্য টাওয়েল আর পাইপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি কফিটা শেষ করেই পাইপ নেবেন, গুনে গুনে ৬টা টান দেবেন, তারপর টাওয়েল নিয়ে বাথরুমের
গুলতির মালা
নানা কিছুর মালা হয় পৃথিবীতে। ফুলের মালা, পুঁতির মালা থেকে বিয়েবাড়িতে কনের গলায় সোনার হার—কী না? শিখা গুলতির মালা বানানো প্রথম শেখে হরিদাসী পাগলির কাছ থেকে। হরিদাসী বুড়িকে সবাই ‘পাগলি ‘ডাকে কেন কে জানে! মোটেই সে পাগলি নয়।
প্রেম অথবা রহস্যগল্প
বেশির ভাগ স্বপ্ন মানুষ আর মনে রাখতে পারে না ঘুম ভেঙে গেলে। আর কিছু স্বপ্ন ঘুম ভাঙিয়ে মানুষকে জাগিয়ে রাখে পরের কয়েকটি দিন এবং রাত পর্যন্ত। তার মানে আর সবকিছুর মতো স্বপ্নের গুরুত্বেও অনেক তারতম্য আছে।
অকুপাইড
করোনার কারণে যখন অনেকেই চাকরি হারাচ্ছে, অনেকেরই বেতন কাটা পড়ছে; আফতাব আহমেদের হলো প্রমোশন—বহুল প্রতীক্ষিত বলেই হয়তো সে আলাদা করে কিছু ফিল করছে না। আগের প্রমোশন হওয়ার পর সাত বছর চলে গেছে, প্রতি বছরই আশা করেছে হয়ে যাবে, তবে শেষ দুই বছর আশা করেনি বলা যায়। বিশেষ করে এ বছর তো তার প্রমোশনের বিষয়
কোনো এক দিনে
বৃষ্টিহীন সোমবারের উষ্ণ সকাল। হাতুড়ে দাঁতের ডাক্তার অরিলিও এস্কোবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সকাল ৬টায় তার চেম্বার খুলল। গ্লাসকেস থেকে কিছু নকল দাঁত হাতে নিল যেগুলোর শরীরের উঁচু অংশে এখনো কিছুটা চুনকামের ছাঁচ অবশিষ্ট আছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতি রাখা টেবিলের ওপর দাঁতগুলো বড় থেকে ছোট আকারে সাজাল, দেখে মনে হ
মতভেদের কেন্দ্রে মহামিলনের গল্প
ভাষায় রূপকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক রায়হান রাইন ‘এক মুঠো রূপক’ প্রবন্ধে লেখেন, ‘ইতিহাসের একটা পর্যায় পর্যন্ত শিল্পের অঙ্গনে ধর্মীয় রূপক ও আখ্যানের বিচরণই ছিল প্রধান।... তবে পরবর্তীকালে শিল্প-সাহিত্যে কিছু রূপকের তাৎপর্য বদলে গেছে। এমন একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটে গেছে যে শিল্প-সা
ইশকুলে গেল পেট মোটা ব্যাগ শাকিব হুসাইন
আজ আমি অনেক খুশি। কারণটা কী তোমরা জানো? জানবেই বা কেমন করে? আমি তো তোমাদের বলিইনি। হি হি হি হি! আজকে আমি তুবার সঙ্গে পেট মোটা করে ইশকুলে যাব। ইয়ে! কী মজা! কী মজা! ও হ্যাঁ, আমার পরিচয়টা তো তোমাদের দেওয়াই হলো না।
ব্যবধান কমছে দ্রুত
কই যাস? পথিক থমকে দাঁড়ায়। চারদিকে তাকায়, কাউকে দেখে না কোথাও। দূরের আকাশে কালো কাক উড়ছে, ডানা মেলে। কোন শালায় কথা কয়? খিক খিক হাসি কানে আসে পথিকের, আমি, আমি কথা কই! আবার ঘুরে তাকায় পথিক, দেখি না তো কাউরে। কোন শালায় কয় কথা? ওপরের দিকে না তাকাইয়া নিচের দিকে তাকা।
স্বীকারোক্তি
-নাম কী তোর? -রানা। -বয়স কত? -সতারো। -পড়াশোনা করোস? -ক্লাস সেবেন পর্যন্ত করসি। এহন ইস্কুলে যাই না। -বাড়িতে কে কে আছে? -মা আর রুবেল ভাইজান। -তোর একটাই ভাই?