রিক্তা রিচি
মা
আমার মা জানেন সংসারের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ
জানেন তেল, নুন মসলার বাটিগুলোর মাপ।
বুকে পাথর রেখে হাসি বিলি করার নামতাও
কেবল মা জানেন।
আমার মায়ের দৈবশক্তি আছে জানেন,
তিনি কখনো অসুস্থ হন না।
ঘরের সবার মৌসুমি জ্বর হয়, ঠান্ডা লাগে, মন খারাপ হয়,
কিন্তু মায়ের কিছুই হয় না।
মাঝে মাঝে আমার পুরোনো দুঃখগুলো
গরম তেলের মতো তেজ দেখালে
মা সেখানেও মমতার পরশ বুলিয়ে দেন।
আমাকে শেখান—কীভাবে বিষাদের চোখগুলোকে—
সেলাই করতে হয়।
শেখান—কীভাবে প্রচণ্ড ঝড়ে ভয় না পেয়ে—
নিজেকে শান্ত রাখতে হয়।
মা বরাবরই আমাকে স্বপ্ন দেখতে বলেন,
অনেক অনেক বড় স্বপ্ন।
আমার স্বপ্ন আর সফলতাগুলোকে তিনি বুকে টেনে নেন।
কিন্তু মায়ের আলাদা কোনো স্বপ্ন নেই।
অথচ একদিন তিনি আকাশ হতে চাইতেন,
কখনো কখনো পাখি হয়ে পুরো আকাশজুড়ে
বিচরণ করতে চাইতেন।
আজ মা কেবলই বাবার শাসন, চোখ রাঙানো,
সংসারের অভাব, সমাজের সংকীর্ণতা সহ্য করার মতো
একটি মাটির পুতুল।
যা সাতাশ বছর আগে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শক্ত করা হয়েছিল।
যেতে চাইলে যাও
যেতে চাইলে ভালোবাসার শিকড়—
উপড়ে দিয়ে চলে যাও
আর কখনো, কোনো দিন ফিরে আসবে না।
সাত হাজার চৌদ্দ ঘণ্টাকে চিতার অনলে পুড়িয়ে
শেষ বিকেলের পাখি হয়ে চলে যাও।
সমস্ত উঠোন, সদর দরজা সব খোলা
চাইলেই যেতে পারো।
তবে মনে রেখো,
আমাকে পেঁয়াজের মতো—
কুচিকুচি করে চলে গেলেও
আমি কাঁদব না।
রাতের কামিজ জড়িয়ে,
তোমার জন্য অপেক্ষার ডালা সাজাব না।
একা নিজের জন্য বাঁচতে শিখে যাব
কলার মোচার মতো ভেঙে গেলেও,
বারংবার সবুজ চারা হয়ে জেগে উঠব।
মনে রেখো,
একদিন তুমি কাঁদবে, কাতরাবে,
বাইন মাছের মতো ছটফট করবে।
এক বুক ভালোবাসার বিশ্বাস,
আমাকে হারানোর অপরাধে
এক পৃথিবী ভরা দীর্ঘশ্বাস—
নিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।
শূন্যের নামতা
রাত বাড়ছে
গাড়ির হর্নগুলো দ্বিরুক্ত আওয়াজ তুলছে
অন্ধকার এক গালিচায় আমরা হেঁটে চলছি,
এক পথ থেকে আরেক পথের দিকে।
শূন্যের নামতা ধরে আরও কত শত—
মানুষ হেঁটে যায়!
কেউবা মাঝপথে হারিয়ে যায়।
কেউবা শেষ গোধূলির সাথে মিশে যায়।
থেকে যায় কিছু ঝরে যাওয়া পাতা।
ভোরে সেগুলোও নিয়ে যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
শব্দহীন বাঁচা
শব্দদূষণের এই শহরে
কেউ কেউ শব্দহীন হয়ে বাঁচে
আঘাতে আঘাতে ক্ষয়ে গেছে যে পাহাড়
সে এখন বাঁচে বুকভরা ঝরনা নিয়ে
তুমি ও তোমরা যার রূপ দেখে মুগ্ধ হও
তার রাতভোরে শব্দহীন ক্ষরণ দেখোনি
দেখোনি কতটা পুড়ে, কতটা ক্ষয়ে, কতটা জল ঝরিয়ে
সে তোমায় দোলনচাঁপার মতো সৌন্দর্য বিলায়।
যে হরিণ-শাবকের চোখ ও শরীর দেখে মুগ্ধ হও
সেও বাঁচার জন্য সমস্ত শক্তি নিয়ে দৌড়ায়
দৌড়ায় কোনো এক হৃদয়বান্ধব আশ্রয়ের খোঁজে।
কখনো পায়, কখনো পায় না, ধরা পড়ে জালে।
জীবন সরলরেখা নয়, ব্যাকরণও মানে না সে।
সংগ্রামী দু'হাত জানে, জানে পথে কত শত বাধা!
মা
আমার মা জানেন সংসারের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ
জানেন তেল, নুন মসলার বাটিগুলোর মাপ।
বুকে পাথর রেখে হাসি বিলি করার নামতাও
কেবল মা জানেন।
আমার মায়ের দৈবশক্তি আছে জানেন,
তিনি কখনো অসুস্থ হন না।
ঘরের সবার মৌসুমি জ্বর হয়, ঠান্ডা লাগে, মন খারাপ হয়,
কিন্তু মায়ের কিছুই হয় না।
মাঝে মাঝে আমার পুরোনো দুঃখগুলো
গরম তেলের মতো তেজ দেখালে
মা সেখানেও মমতার পরশ বুলিয়ে দেন।
আমাকে শেখান—কীভাবে বিষাদের চোখগুলোকে—
সেলাই করতে হয়।
শেখান—কীভাবে প্রচণ্ড ঝড়ে ভয় না পেয়ে—
নিজেকে শান্ত রাখতে হয়।
মা বরাবরই আমাকে স্বপ্ন দেখতে বলেন,
অনেক অনেক বড় স্বপ্ন।
আমার স্বপ্ন আর সফলতাগুলোকে তিনি বুকে টেনে নেন।
কিন্তু মায়ের আলাদা কোনো স্বপ্ন নেই।
অথচ একদিন তিনি আকাশ হতে চাইতেন,
কখনো কখনো পাখি হয়ে পুরো আকাশজুড়ে
বিচরণ করতে চাইতেন।
আজ মা কেবলই বাবার শাসন, চোখ রাঙানো,
সংসারের অভাব, সমাজের সংকীর্ণতা সহ্য করার মতো
একটি মাটির পুতুল।
যা সাতাশ বছর আগে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শক্ত করা হয়েছিল।
যেতে চাইলে যাও
যেতে চাইলে ভালোবাসার শিকড়—
উপড়ে দিয়ে চলে যাও
আর কখনো, কোনো দিন ফিরে আসবে না।
সাত হাজার চৌদ্দ ঘণ্টাকে চিতার অনলে পুড়িয়ে
শেষ বিকেলের পাখি হয়ে চলে যাও।
সমস্ত উঠোন, সদর দরজা সব খোলা
চাইলেই যেতে পারো।
তবে মনে রেখো,
আমাকে পেঁয়াজের মতো—
কুচিকুচি করে চলে গেলেও
আমি কাঁদব না।
রাতের কামিজ জড়িয়ে,
তোমার জন্য অপেক্ষার ডালা সাজাব না।
একা নিজের জন্য বাঁচতে শিখে যাব
কলার মোচার মতো ভেঙে গেলেও,
বারংবার সবুজ চারা হয়ে জেগে উঠব।
মনে রেখো,
একদিন তুমি কাঁদবে, কাতরাবে,
বাইন মাছের মতো ছটফট করবে।
এক বুক ভালোবাসার বিশ্বাস,
আমাকে হারানোর অপরাধে
এক পৃথিবী ভরা দীর্ঘশ্বাস—
নিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে।
শূন্যের নামতা
রাত বাড়ছে
গাড়ির হর্নগুলো দ্বিরুক্ত আওয়াজ তুলছে
অন্ধকার এক গালিচায় আমরা হেঁটে চলছি,
এক পথ থেকে আরেক পথের দিকে।
শূন্যের নামতা ধরে আরও কত শত—
মানুষ হেঁটে যায়!
কেউবা মাঝপথে হারিয়ে যায়।
কেউবা শেষ গোধূলির সাথে মিশে যায়।
থেকে যায় কিছু ঝরে যাওয়া পাতা।
ভোরে সেগুলোও নিয়ে যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
শব্দহীন বাঁচা
শব্দদূষণের এই শহরে
কেউ কেউ শব্দহীন হয়ে বাঁচে
আঘাতে আঘাতে ক্ষয়ে গেছে যে পাহাড়
সে এখন বাঁচে বুকভরা ঝরনা নিয়ে
তুমি ও তোমরা যার রূপ দেখে মুগ্ধ হও
তার রাতভোরে শব্দহীন ক্ষরণ দেখোনি
দেখোনি কতটা পুড়ে, কতটা ক্ষয়ে, কতটা জল ঝরিয়ে
সে তোমায় দোলনচাঁপার মতো সৌন্দর্য বিলায়।
যে হরিণ-শাবকের চোখ ও শরীর দেখে মুগ্ধ হও
সেও বাঁচার জন্য সমস্ত শক্তি নিয়ে দৌড়ায়
দৌড়ায় কোনো এক হৃদয়বান্ধব আশ্রয়ের খোঁজে।
কখনো পায়, কখনো পায় না, ধরা পড়ে জালে।
জীবন সরলরেখা নয়, ব্যাকরণও মানে না সে।
সংগ্রামী দু'হাত জানে, জানে পথে কত শত বাধা!
ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আলোকচিত্রী সাংবাদিক, গবেষক সাহাদাত পারভেজ সম্পাদিত ‘আলোকচিত্রপুরাণ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
১৮ ঘণ্টা আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
১১ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
১১ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
১২ দিন আগে