নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ফারজানা রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যাঁরা অনুষ্ঠানে এনেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আলোচিত ফারজানা রহমান সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চাচাশ্বশুর আনিছুর রহমানের মেয়ে। একই সঙ্গে তিনি সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনুর ভাতিজি। তবে ফারজানার দাবি, তিনি আওয়ামী লীগ বা এর কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য নন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঞ্চের ডান পাশে আমন্ত্রিতদের সারিতে বসা ছিলেন ফারজানা রহমান। অনুষ্ঠান শুরু হলে মঞ্চে থাকা উপস্থাপক চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন। ফারজানা মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে থাকা চেয়ারে রাজশাহী নিউ ডিগ্রি সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জার্জিস কাদিরের পাশে বসেন। এরপর প্রধান ও অন্য অতিথিরা সভায় উপস্থিত হলে সভা শুরু হয়।
সভা শেষে রাতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদের অনুসারীরা সভামঞ্চে বিএনপিকর্মীদের পাশে বসা ফারজানা রহমানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করেন। ফারজানার সঙ্গে তাঁর ভগ্নিপতি জুনাইদ আহমেদ পলকের ছবি পোস্ট করে তাঁরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় কারা ফারজানাকে সভায় ডেকেছেন তা খুঁজে বের করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তাঁরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া পৌর বিএনপির সদস্যসচিব তায়েজুল ইসলাম বলেন, ফারজানা রহমানকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যেত। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি ফেসবুক থেকে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন বা ‘হাইড’ করেছেন। কার সহযোগিতায় তিনি মঞ্চে উঠেছেন তার তদন্ত হওয়া দরকার। তাঁর মতো ফ্যাসিস্টকে মঞ্চে দেখে বিএনপির কর্মীরা রীতিমতো হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফারজানা রহমান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা কর্মী দাবি করা হয়েছে, এটা আমার জন্য বিব্রতকর। আমার পেশাগত ও সামাজিক পরিচয় আড়াল করে আমাকে রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত করার একটি অপপ্রয়াস চালাচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত কিছু কর্মী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অপপ্রচার চালিয়েছে। এখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ অপপ্রচার শুরু করেছে।’
বিএনপির সভামঞ্চে উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের দিন আমি আমার চিকিৎসালয়ে যাওয়ার পথে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের ডাকে সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে অনেকেই ছিলেন, যাঁরা রাজনীতি করেন না। যখন বিএনপি নেতাদের দেখেছি, তখন মঞ্চ থেকে নেমে এসেছি। আমি যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম, সমাবেশের আয়োজকেরা আমাকে মঞ্চে রাখতেন না।’
ফারজানা রহমানের চাচা সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘আমি আমার ভাতিজিকে মঞ্চে ডাকিনি। সমাবেশে অনেক মানুষ ছিল। কাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাও জানি না।’
এ বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন, ‘ফারজানা রহমান যদি আওয়ামী লীগের কেউ হন, তাহলে তাঁকে মঞ্চে ডেকে আয়োজকেরা ঠিক করেননি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। দলের কাউকে জড়িত পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমানের উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ফারজানা রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যাঁরা অনুষ্ঠানে এনেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আলোচিত ফারজানা রহমান সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চাচাশ্বশুর আনিছুর রহমানের মেয়ে। একই সঙ্গে তিনি সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনুর ভাতিজি। তবে ফারজানার দাবি, তিনি আওয়ামী লীগ বা এর কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য নন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঞ্চের ডান পাশে আমন্ত্রিতদের সারিতে বসা ছিলেন ফারজানা রহমান। অনুষ্ঠান শুরু হলে মঞ্চে থাকা উপস্থাপক চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন। ফারজানা মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে থাকা চেয়ারে রাজশাহী নিউ ডিগ্রি সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জার্জিস কাদিরের পাশে বসেন। এরপর প্রধান ও অন্য অতিথিরা সভায় উপস্থিত হলে সভা শুরু হয়।
সভা শেষে রাতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদের অনুসারীরা সভামঞ্চে বিএনপিকর্মীদের পাশে বসা ফারজানা রহমানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি দাবি করেন। ফারজানার সঙ্গে তাঁর ভগ্নিপতি জুনাইদ আহমেদ পলকের ছবি পোস্ট করে তাঁরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় কারা ফারজানাকে সভায় ডেকেছেন তা খুঁজে বের করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তাঁরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া পৌর বিএনপির সদস্যসচিব তায়েজুল ইসলাম বলেন, ফারজানা রহমানকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যেত। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি ফেসবুক থেকে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন বা ‘হাইড’ করেছেন। কার সহযোগিতায় তিনি মঞ্চে উঠেছেন তার তদন্ত হওয়া দরকার। তাঁর মতো ফ্যাসিস্টকে মঞ্চে দেখে বিএনপির কর্মীরা রীতিমতো হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফারজানা রহমান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি বা কর্মী দাবি করা হয়েছে, এটা আমার জন্য বিব্রতকর। আমার পেশাগত ও সামাজিক পরিচয় আড়াল করে আমাকে রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত করার একটি অপপ্রয়াস চালাচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত কিছু কর্মী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অপপ্রচার চালিয়েছে। এখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ অপপ্রচার শুরু করেছে।’
বিএনপির সভামঞ্চে উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের দিন আমি আমার চিকিৎসালয়ে যাওয়ার পথে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের ডাকে সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে অনেকেই ছিলেন, যাঁরা রাজনীতি করেন না। যখন বিএনপি নেতাদের দেখেছি, তখন মঞ্চ থেকে নেমে এসেছি। আমি যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম, সমাবেশের আয়োজকেরা আমাকে মঞ্চে রাখতেন না।’
ফারজানা রহমানের চাচা সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘আমি আমার ভাতিজিকে মঞ্চে ডাকিনি। সমাবেশে অনেক মানুষ ছিল। কাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাও জানি না।’
এ বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন, ‘ফারজানা রহমান যদি আওয়ামী লীগের কেউ হন, তাহলে তাঁকে মঞ্চে ডেকে আয়োজকেরা ঠিক করেননি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। দলের কাউকে জড়িত পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমানকে লাঞ্ছনার নেপথ্যে রয়েছে ১৯ কোটি টাকার কাজের ভাগ-বাঁটোয়ারা। এই কাজের ভাগ চেয়ে সাড়া না পেয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত এক নেতার ছেলের নেতৃত্বে রোববার সন্ধ্যায় শহীদুর রহমানকে তাঁর কার্যালয়েই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে...
৩০ মিনিট আগেবগুড়ায় যুবলীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিলেমিশে যমুনা নদীর বিভিন্ন চর থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতার নামে ইজারা নেওয়া বালুমহাল ছাড়াও বিভিন্ন চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। যদিও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা উচ্চ আদালতে রিট করে...
৩৬ মিনিট আগেবরগুনার বেতাগী উপজেলার ইটভাটাগুলোয় জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব কাঠ সামাজিক বনায়ন থেকে সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পরিবেশ। জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো ইটভাটাগুলো বেশির ভাগ জনবসতিপূর্ণ এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে থাকায় কালো ধোঁয়া ও দূষণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে‘আগে যে সরকার ছিল, তারা অনেক আশা দিছে। আমার মেয়ে হত্যার বিচার করবে, আমাদের পরিবারের ভরণপোষণ দেবে, বাচ্চাকাচ্চা পড়াশোনা করলে চাকরি দেবে। কিন্তু আইজ পর্যন্ত সরকারের একজন লোকও আসে নাই, মেয়ে হত্যার বিচারটাও পাই নাই। এখন তো নতুন সরকার আসল। এখন যদি বিচারের ব্যবস্থাটা করে।
২ ঘণ্টা আগে