ববিতে পুলিশি বাধায় সংহতি সমাবেশ পণ্ড, ১২ শিক্ষার্থীকে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ১৮
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৫১

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ‘ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশ’ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ছাত্রলীগের একদল কর্মীকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেখা গেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ববি সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে বন্দর থানায় নিয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছাত্র–শিক্ষক সংহতি সমাবেশের নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ১১টায়। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে আন্দোলনকারীরা সমবেত হতে পারেননি। দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। 
এর আগে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগের একদল কর্মীকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেখা গেছে। 

পুলিশ সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সুজয় শুভ ও তমাল, অর্থনীতি বিভাগের ভূমিকা সরকার ও শেখ ইমন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাহমুদুল হাসান সজীব, ইংরেজি বিভাগের অনিকা সিথি ও সিবাত আহমেদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুজন আহমেদসহ ১২ জন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সংহতির কর্মসূচিতে যোগ দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন তাঁরা। এ সময় মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সাতজনকে হেফাজতে নেয়। পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশকালে আরও পাঁচজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। 

তাঁরা আরও জানান, তাঁদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। একই সময় ক্যাম্পাসের সামনে ছাত্রলীগ নেতা রক্তিম হাসানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতা–কর্মী অবস্থান নেন। 

ববিতে পুলিশি বাধায় শিক্ষার্থীদের সংহতি সমাবেশ পণ্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু তারা আমাদের শিক্ষার্থী সেহেতু আমি পুলিশকে বলেছি, তাদের ছেড়ে দিতে। আর এ জন্য শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি থানায় তাদের মুক্ত করে আনতে পাঠানো হয়েছে।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কর্মসূচি আহ্বান করেছিল। এ কর্মসূচি নিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থির পরিবেশ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে আন্দোলনকারী ১২ শিক্ষার্থীকে থানায় আনা হয়েছিল। বিকেলে তাদের শিক্ষক প্রতিনিধিদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত