মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
দর্শকখরার কারণে চাঁদপুর জেলার একমাত্র সিনেমা হল ‘কাজলী’ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একসময় জেলায় আটটি সিনেমা হল থাকলেও এখন শুধু ‘কাজলী’ কোনোমতে টিকে আছে। বছরের পর বছর লোকসান গুনছে মালিকপক্ষ। যেকোনো সময় এটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একসময় ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই ছবির নাম জানিয়ে মাইকিং করা হতো গ্রামগঞ্জে। ঈদের দিনসহ পরের কয়েক দিন ব্ল্যাকে ছাড়া টিকিট পাওয়া যেত না। ছবি দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক ভিড় করত। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পরিবার নিয়ে আসত অনেকে।
কাজলী সিনেমা হলের নিয়মিত দর্শক রিপন কসাই বলেন, ‘হলে গিয়ে ছবি দেখা আমার শখ। জেলার মোট আটটি সিনেমা হলেই আমি ছবি দেখেছি। কিন্তু গত ১০ বছরে একবারও হলে যাইনি। ভালো ছবির পাশাপাশি সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো হলে মানুষ হলমুখী হবে।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া একাধিক সিনেমা হলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার চিত্রলেখা ও ছায়াবাণী হলই ছিল জেলার দর্শকদের পছন্দের তালিকায়। এসব হলে প্রতি শোতে ৪০০-৫০০ টিকিট বিক্রি হতো। অন্য সিনেমা হলগুলোতে দর্শকসমাগম কিছুটা কম হতো। তবে সেগুলোতেও প্রতি শোতে যথেষ্ট দর্শকের সমাগম ঘটত। মতলব দক্ষিণ উপজেলার দুটি সিনেমা হলে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার দর্শক বিনোদনের সুবিধা পেত।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার রাজমহল সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের পাশে রাজমহল সিনেমা হলটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। করোনার আগ পর্যন্ত চালু ছিল জেলা শহরের কোহিনুর সিনেমা হল। গত কয়েক বছর লোকসান হলেও কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে মালিকপক্ষ এটি চালু রাখে। কিন্তু করোনায় হল বন্ধ হলে তাঁরা অন্য পেশায় চলে যান। মালিকপক্ষ শিগগিরই হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করবেন।
সরেজমিন কাজলী সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে কাজলী সিনেমা হলে চলছে শাকিব খানের অ্যাকশন ও রোমান্টিক ছবি ‘বিদ্রোহী’। দর্শক মাত্র ২০-২৫ জন। টিকিট কিনে কেবিনে ঘুমিয়ে আছেন এক দর্শক। নিয়মিত দর্শক না থাকায় আসন ধুলোয় ঢাকা পড়েছে। কিছু আসন ভেঙে গেলেও সংস্কার করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে।
কাজলী সিনেমা হলের মালিক স্বপন মিয়ার ভাই বলেন, ‘একটা আবেগের কারণে এখন সিনেমা হল চালাই। প্রতি মাসেই লোকসান হয়। অন্য ব্যবসা এরই মধ্যে শুরু করেছি। একটা সময় তো ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘রূপবান’-এর মতো সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হতো। ভালো ছবিগুলো দুই-তিন মাস চালানোর পরও দর্শকের কমতি ছিল না।
হলের ক্যাশিয়ার আক্তার বলেন, ‘কাজলীতে একসময় চারটি শো চালানো হতো। দর্শক না থাকায় এখন দু-তিনটি চালানো হয়। হলটিতে ১০০ টাকা করে আটটি ভিআইপি সিট, ৮০ টাকা করে ২০ জনের কেবিন, ৭০ টাকা করে ৬০ জনের বেলকনি ও ৬০ টাকা করে ৮০ জনের প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। গত কয়েক বছর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।’
আক্তার আরও বলেন, ‘২৫ বছর আগে কাজলী হলে আচার ও চকলেট বিক্রি করতাম। এ দিয়ে সংসার চলত। বিশ্বস্ত হওয়ায় মালিকপক্ষ আমাকে নিয়োগ দেয়। দর্শক না থাকায় এখন হলের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থেকেও সংসার চালানো যাচ্ছে না। আগে কাজলী হলে টিকিটের দাম ছিল ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। তখন টিকিট কেনার দর্শকদের লম্বা লাইনের কথা এখনো মনে পড়ে।’
অভিনয়শিল্পী ও সংগঠক শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব ও ভালো চলচ্চিত্র না হওয়ায় সিনেমা হলগুলো বিলুপ্তির পথে। সরকার হলের মালিকদের নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে এই সংস্কৃতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি সরকারিভাবে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় কম মূল্যে সিনেমা দেখানো গেলে মানুষ হলের দিকে ঝুঁকবে।’
চাঁদপুর জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চাঁদপুর উর্বর স্থান। এখানে সিনেমা হলের সংস্কৃতি বিলুপ্তির বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। সরকার এই শিল্পকে রক্ষা ও ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিলে আমরা সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করব। সরকার এই খাতকে গণমুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আধুনিক হল নির্মাণ ও সংস্কারে কেউ এগিয়ে এলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
দর্শকখরার কারণে চাঁদপুর জেলার একমাত্র সিনেমা হল ‘কাজলী’ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একসময় জেলায় আটটি সিনেমা হল থাকলেও এখন শুধু ‘কাজলী’ কোনোমতে টিকে আছে। বছরের পর বছর লোকসান গুনছে মালিকপক্ষ। যেকোনো সময় এটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একসময় ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই ছবির নাম জানিয়ে মাইকিং করা হতো গ্রামগঞ্জে। ঈদের দিনসহ পরের কয়েক দিন ব্ল্যাকে ছাড়া টিকিট পাওয়া যেত না। ছবি দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক ভিড় করত। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পরিবার নিয়ে আসত অনেকে।
কাজলী সিনেমা হলের নিয়মিত দর্শক রিপন কসাই বলেন, ‘হলে গিয়ে ছবি দেখা আমার শখ। জেলার মোট আটটি সিনেমা হলেই আমি ছবি দেখেছি। কিন্তু গত ১০ বছরে একবারও হলে যাইনি। ভালো ছবির পাশাপাশি সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো হলে মানুষ হলমুখী হবে।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া একাধিক সিনেমা হলের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার চিত্রলেখা ও ছায়াবাণী হলই ছিল জেলার দর্শকদের পছন্দের তালিকায়। এসব হলে প্রতি শোতে ৪০০-৫০০ টিকিট বিক্রি হতো। অন্য সিনেমা হলগুলোতে দর্শকসমাগম কিছুটা কম হতো। তবে সেগুলোতেও প্রতি শোতে যথেষ্ট দর্শকের সমাগম ঘটত। মতলব দক্ষিণ উপজেলার দুটি সিনেমা হলে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার দর্শক বিনোদনের সুবিধা পেত।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার রাজমহল সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের পাশে রাজমহল সিনেমা হলটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। করোনার আগ পর্যন্ত চালু ছিল জেলা শহরের কোহিনুর সিনেমা হল। গত কয়েক বছর লোকসান হলেও কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে মালিকপক্ষ এটি চালু রাখে। কিন্তু করোনায় হল বন্ধ হলে তাঁরা অন্য পেশায় চলে যান। মালিকপক্ষ শিগগিরই হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করবেন।
সরেজমিন কাজলী সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে কাজলী সিনেমা হলে চলছে শাকিব খানের অ্যাকশন ও রোমান্টিক ছবি ‘বিদ্রোহী’। দর্শক মাত্র ২০-২৫ জন। টিকিট কিনে কেবিনে ঘুমিয়ে আছেন এক দর্শক। নিয়মিত দর্শক না থাকায় আসন ধুলোয় ঢাকা পড়েছে। কিছু আসন ভেঙে গেলেও সংস্কার করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে।
কাজলী সিনেমা হলের মালিক স্বপন মিয়ার ভাই বলেন, ‘একটা আবেগের কারণে এখন সিনেমা হল চালাই। প্রতি মাসেই লোকসান হয়। অন্য ব্যবসা এরই মধ্যে শুরু করেছি। একটা সময় তো ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘রূপবান’-এর মতো সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হতো। ভালো ছবিগুলো দুই-তিন মাস চালানোর পরও দর্শকের কমতি ছিল না।
হলের ক্যাশিয়ার আক্তার বলেন, ‘কাজলীতে একসময় চারটি শো চালানো হতো। দর্শক না থাকায় এখন দু-তিনটি চালানো হয়। হলটিতে ১০০ টাকা করে আটটি ভিআইপি সিট, ৮০ টাকা করে ২০ জনের কেবিন, ৭০ টাকা করে ৬০ জনের বেলকনি ও ৬০ টাকা করে ৮০ জনের প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। গত কয়েক বছর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।’
আক্তার আরও বলেন, ‘২৫ বছর আগে কাজলী হলে আচার ও চকলেট বিক্রি করতাম। এ দিয়ে সংসার চলত। বিশ্বস্ত হওয়ায় মালিকপক্ষ আমাকে নিয়োগ দেয়। দর্শক না থাকায় এখন হলের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থেকেও সংসার চালানো যাচ্ছে না। আগে কাজলী হলে টিকিটের দাম ছিল ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। তখন টিকিট কেনার দর্শকদের লম্বা লাইনের কথা এখনো মনে পড়ে।’
অভিনয়শিল্পী ও সংগঠক শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব ও ভালো চলচ্চিত্র না হওয়ায় সিনেমা হলগুলো বিলুপ্তির পথে। সরকার হলের মালিকদের নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে এই সংস্কৃতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি সরকারিভাবে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় কম মূল্যে সিনেমা দেখানো গেলে মানুষ হলের দিকে ঝুঁকবে।’
চাঁদপুর জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য চাঁদপুর উর্বর স্থান। এখানে সিনেমা হলের সংস্কৃতি বিলুপ্তির বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। সরকার এই শিল্পকে রক্ষা ও ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিলে আমরা সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করব। সরকার এই খাতকে গণমুখী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আধুনিক হল নির্মাণ ও সংস্কারে কেউ এগিয়ে এলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
২ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
২৬ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে