খেলার মাঠে ৫ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ২০: ১২
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ২০: ৪০

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় মেরুং খেলার মাঠ দখল করে ৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে মেরুং কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণের বিরোধীতা করে পোস্ট দিয়েছেন।

ফেসবুক কেএম ইসমাইল হোসেন লিখেছেন, ‘দখল হয়ে যাচ্ছে কিনা দীঘিনালার ছোট মেরুং ফুটবল মাঠের জায়গাও। মেরুং কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির অফিস নির্মাণের নামে স্কেবিউটার দিয়ে মাটি কেটে মাঠের জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার। ১৯৮৯ বা ১৯৯০ সালে তৎকালীন মেরুং সেনা জোন, ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মেরুং ফুটবল মাঠটি নির্মাণ করে দেন। যার সীমানা-উঃ সরকারি পাকা সেচ ড্রেন, দঃ মেইন রোড, পূঃ পুলিশ ফাঁড়ির সীমানা প্রাচীর, পঃ সরকারি পাকা সেচ ড্রেন। সর্বজনীন এ মাঠটি রক্ষায় সকলের সার্বিক আন্তরিকতা কামনা করছি। ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন, মাঠে একটি অতিথি বা ঘোষণা মঞ্চ আছে এবং এটি দেখলেই বুঝবেন মাঠটি সত্যিই দখল হচ্ছে কিনা? তবে কারও নিজস্ব জায়গায় ঘর তুললে আমার আপত্তি নেই।’ 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মেরুং ইউপির মেরুং খেলার মাঠের পাশেই ৫ তলা ভবনের কাজ শুরু করেছে মেরুং কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। খেলার মাঠের পাশেই ভবনের কাজ শুরু হওয়া নিয়ে স্থানীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ৷ এদিকে খেলার মাঠের জায়গায় ভবন নির্মাণ করা হলে, খেলার মাঠের দর্শক গ্যালারি মাঠের আড়ালে পড়ে যাবে। 

স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন মাস্টার বলেন, ‘খেলার মাঠটি ১৯৯০ সালে মেরুং সেনা জোনের ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি খেলার মাঠটি নির্মাণ করে দেন। মাঠের পাশেই অতিথি কক্ষ গুলোও মাঠের জায়গায় করা হয়েছিল। এখন যে ৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে তা মূলত খেলার মাঠে।’ 

মেরুং কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ-কোরুনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জায়গায় মেরুং কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির ৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি, এটি মাঠের জায়গা না।’ 

এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘মেরুং খেলার মাঠের আলোচ্য জমিটি ব্যক্তিগত জমি দাবি করায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জায়গার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পর্যালোচনা এবং শুনানি গ্রহণ করবেন। পরে সার্ভেয়ার দিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে এবং সমগ্র বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে কালেক্টর তথা জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হবে নির্দেশনা চেয়ে। নির্দেশনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত স্থাপনা তৈরির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত