জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ওয়াসিমের নামে চালু হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শহীদদের স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের স্মরণে রাখতেই এই নামকরণ বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নগরীর পতেঙ্গায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার ছাড়া মোট ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার ৮০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০, মিনিবাস ২০০, বাস ২৮০, চার চাকার ট্রাক ২০০, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যানকে ৪৫০ টাকা হারে টোল দিতে হবে।

ইতিপূর্বে প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নামে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। সেটি এখন জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের নামে করা হয়েছে। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক’।

এ নামকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘চট্টগ্রামে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম শাহাদাতবরণ করেছিলেন যিনি, সেই ওয়াসিম আকরামের নামে এই উড়ালসড়ক। সারা দেশে যাঁরা এই জুলাই অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি, যেন সারা দেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পারে।’

আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যে সংগ্রামে শামিল হয়েছেন, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের যেন পরবর্তী প্রজন্ম সব সময় স্মরণ করতে পারে, সে জন্য আমরা উদ্যোগ চালিয়ে যাব।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি এবং সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নতুন নামকরণের পর প্রথম দিন শহীদ ওয়াসিম আকরাম এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম টোল দেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। এরপর সিডিএ চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিম টোল দিয়ে পার হন।

উল্লেখ্য, ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে সিডিএ। গত বছরের নভেম্বরে এটি উদ্বোধন করা হলেও যান চলাচলের জন্য তখন পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়নি।