পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত: ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবার মামলা

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ০১
Thumbnail image
নিহত এমরান হোসেন রিফাত। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত (১৯) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

অবৈধ চোরাচালানের পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে রিফাতকে হত্যা করা হয় বলে তাঁর বাবা ইসমাইল হোসেন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রফিকুল ইসলাম রনি নামের এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে পরশুরাম থানায় এই হত্যা মামলা করেন।

আসামিরা হলেন—উপজেলার দক্ষিণ কেতরাঙ্গা হাবিব উল্যাহ ছেলে রফিকুল ইসলাম রনি (১৯), মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে ইয়াকুব নবী স্বপন (২৫), আবুল হাশেমের ছেলে শাকিল (২৩), মোহাম্মদ রুহুল আমিনের ছেলে ইসমাইল (৪৫), মোহাম্মদপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৪৫) ও সাতকুচিয়া গ্রামের করিম (৪৫)। এ ছাড়া ৪–৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার আবুল কাশেম ও স্বপনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে রিফাত হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ কেতরাঙ্গা মাস্টার পাড়া নূরানী মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত রিফাত পরশুরাম সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তাঁর বাড়ি উপজেলার বক্স মাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাতরাঙ্গা গ্রামে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম রনি ওই কলেজছাত্রের বাড়ির পাশ দিয়ে ভারত সীমান্ত পথে চোরাচালানের পণ্য আনা নেওয়া করত। গত মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা রনির বেশ কিছু চোরাই পণ্য জব্দ করে। এই ঘটনায় রনি কলেজছাত্র রিফাতকে সন্দেহ করেন। একপর্যায়ে ৭–৮ জন সহযোগীকে নিয়ে ওই দিনই সন্ধ্যায় রিফাতের বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি-ধমকি দেন রনি। এ সময় রিফাতকে রাতে ঘর থেকে বের হলে হত্যারও হুমকি দেন রনি।

রিফাতের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রনি ও তাঁর সহযোগীরা চোরাকারবারি দলের সদস্য। আমার এলাকা দিয়ে চোরাচালান করে থাকেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান রনি ও পক্ষের লোকজন। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিজিবির সদস্যরা চোরাকারবারিদের বেশ কিছু মালামাল জব্দ করে। এ ঘটনার পেছনে আমার ছেলের হাত রয়েছে–এমন সন্দেহে রনি ও লোকজন বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে কৌশলে ঢেকে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে আমার ছেলের সঙ্গে রনির কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আমার ছেলের দুই হাত চেপে ধরে রনি ছুরি দিয়ে রিফাতের বুকে আঘাত করে হত্যা করেন।’

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম বলেন, কলেজছাত্র রিফাত হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত