Ajker Patrika

গণহত্যায় সমর্থনের অভিযোগে চবি শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ 

চবি সংবাদদাতা
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ৪৩
গণহত্যায় সমর্থনের অভিযোগে চবি শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ 

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণহত্যায় সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তুলে সহপাঠীকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর বহিষ্কার দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। 

তাঁকে বহিষ্কার করা না হলে আমরণ অনশনেরও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটি বরাবর তাঁকে বহিষ্কার দাবিতে একটি লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। 

অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট করেছিল ওই ছাত্রী। ফলে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাকে সে সময় বয়কট করে। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে ব্যাচের বাকিরা পরীক্ষায় বসবে না বলেও বিভাগকে অবগত করেছিল শিক্ষার্থীরা। 

তবে পরবর্তীকালে শিক্ষকদের অনুরোধে ওই ছাত্রীর ক্ষমা চাওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষায় বসতে দিতে সম্মত হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওই ছাত্রী ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যাচের বাকি শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই তার সঙ্গে পরীক্ষায় বসতে রাজি হয়নি। এতে গত রোববার ১০১ কোর্সের পরীক্ষাসহ বাংলা বিভাগের সব বর্ষের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করেছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্নির সহপাঠী আহসান হাবীব লিয়ন বলেন, ‘জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মুন্নি ছাত্রলীগের দোসর হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মৌন সম্মতি এবং আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়াতে হুমকি দিয়ে আন্দোলনকে ব্যাহত করতে চেষ্টা করেছে। আমরা চাই সে যেহেতু আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে কাজ করেছে, সে স্বাধীন বাংলায় এখন আমাদের সঙ্গে কোনোভাবে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমাদের দাবি তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার করতে হবে। যদি প্রশাসন বহিষ্কার না করে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, ‘এ রকম একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুন্নি বলেন, ‘আমি জানি না তাঁরা (সহপাঠী) কেন আমার বহিষ্কার চাচ্ছে। আমি বহিষ্কার হওয়ার মতো কোনো কাজ করিনি।’ 

এ বিষয়ে জানতে বাংলা বিভাগের সভাপতি ড. তাসলিমা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। 

উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর মুন্নি প্রথম বর্ষের সমাপনীর ১০১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা দিতে আসলে সহপাঠীরা পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকা মুন্নি পরীক্ষায় বসলে অন্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। একই দিন আগে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত