টেকনাফে অপহৃত ১৮ জনকে ‍উদ্ধার, আটক ২

কক্সবাজার প্রতিনিধি
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে বনবিভাগের বাগান পরিচর্যার কাজ করার সময় অপহৃত ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার পশ্চিমের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র্যাব ১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপহরণের সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপহরণ চক্রটিও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

বনবিভাগের টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, গতকাল সোমবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া পাহাড়ে বনবিভাগের জমিতে গাছের চারা রোপণ করতে গিয়ে বনকর্মীসহ ১৯ জনকে অপহরণ করা হয়। রাতে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ফোন দিয়েছিল। পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, অপহৃতদের উদ্ধারের পর থানায় আনা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে অপহৃত ১৯ জনের মধ্যে একজন পালিয়ে আসেন। আজ বাকি ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও ৯ জন অপহরণের অভিযোগ

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে দুইটি অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানান শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান মো. আবদুর রহিম। তিনি বলেন, হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে পৌঁছালে ডাকাতদলের সদস্যরা দুটি সিএনজির চালকসহ ৮ জনকে অপহরণ করেছে।

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানিয়েছেন, দুইটি অটোরিকশা থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে অভিযান চালানো হচ্ছে। কতজন অপহরণ হলেন সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। অটোরিকশাটি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তার মাথা এলাকায় নিজ মুদির দোকান থেকে জসিমকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপহরণের পর এখনও সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

জসিমকে উদ্ধারেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য মতে, উদ্ধার ১৮ জন এবং অপহৃত থাকা ৯ জন ছাড়াও চলতি বছর টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে ৯৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৯ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ থানায় ১৮ আগষ্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপহরণের মামলা হয়েছে ১৪টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬৫ জন। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত