Ajker Patrika

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে দুবাই পর্যন্ত ‘নিরাপত্তা পাস’ দেয় দস্যুরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৩৪
এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে দুবাই পর্যন্ত ‘নিরাপত্তা পাস’ দেয় দস্যুরা 

অবশেষে ২৩ জন নাবিকসহ জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেনের হাতে একটি চিঠি দেয় জলদস্যুদের প্রধান। স্থানীয় ভাষায় লেখা সেই চিঠিটি দুবাই পর্যন্ত যাওয়ার পথে নিরাপত্তা পাস হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে তারা। 

পথে যদি আবার কোনো দস্যুর কবলে পড়ে, তাহলে ওই চিঠি দেখালেই তাদের ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে সোমালি ওই দস্যুপ্রধান। এ তথ্য আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। 

মেহেরুল করিম বলেন, ‘জাহাজটি এখন দুবাইয়ের পথে। দুবাইয়ে পৌঁছতে ১৯-২০ এপ্রিল লাগতে পারে। তারপর সেখান থেকে মূলত দেশে ফিরবেন নাবিকেরা।’ 

মেহেরুল করিম আরও বলেন, ‘শিপ থেকে নামার আগে ক্যাপ্টেনকে একটি চিঠি দিয়েছে জলদস্যুদের প্রধান। স্থানীয় ভাষায় লেখা ওই চিঠিটি অর্থ মূলত এ রকম— এ আপনারা এখন নিরাপদ। দুবাই পর্যন্ত আপনারা নিরাপদে যেতে পারবেন। নতুন করে আর দস্যুদের কবলে পড়তে হবে না। পড়লেও এ চিঠি দেখালে তারা ছেড়ে দেবে।’ 

মেহেরুল করিম জানান, মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার সোমালিয়ান সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে একে একে নেমে যায় জলদস্যুরা। তখন জাহাজটির ৬৫ জন দস্যু নেমে বোট নিয়ে চলে যায়। নামার আগে দস্যুদের প্রধান জাহাজের ক্যাপ্টেনকে চিঠিটি ধরিয়ে দেন। 

এদিকে মুক্তিপণ হিসেবে কী পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে, সে বিষয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে মুক্তি মিলেছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি। 

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের ওই জাহাজ। এর পর থেকে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের উদ্ধারে নানা তৎপরতা শুরু হয়। অবশেষে ৩৩ দিন পর উদ্ধার হলো জাহাজটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত