নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রাম নগরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। সিটি করপোরেশন বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কোনো অনুমোদন না থাকলেও মাত্র ৬০ বর্গমাইলের এ নগরীতে প্রতিদিনই বাড়ছে এর সংখ্যা। বর্তমানে ৫০-৬০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। প্যাডেলচালিত বৈধ রিকশা রয়েছে ৭০ হাজার। অবৈধ রয়েছে আরও ৫০-৬০ হাজার। ব্যাটারি ও প্যাডেল মিলিয়ে রিকশায় ‘হযবরল’ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে নগরীতে। কারণে-অকারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর যেকোনো রাস্তায় আচমকাই বেরিয়ে পড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। দিনের বেশির ভাগ সময় চলে নগরীর অলিগলিতে। আর সন্ধ্যার পর অলিগলি ছেড়ে মূল সড়কে চলে আসে এসব রিকশা। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটে চলায় অন্যান্য যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এসব রিকশা। কারণ, এসব রিকশা যে কাঠামোতে তৈরি, এর সঙ্গে গতি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুতগতির এ রিকশার চালকেরা যে যার মতো করে দাপিয়ে বেড়ান নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি। এ কারণে রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। সড়কে নষ্ট হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নগর পুলিশ এসব রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে; কিন্তু তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আর চালকেরা বলছেন, শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধের বিষয়টি তাঁরা জানেন না।
এদিকে, যানজট নিরসনে নগরীর প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ ক্ষেত্রে কোন কোন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নগরীর যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। কোন কোন সড়কে ব্যাটারি রিকশা চলতে পারবে না তা, ঘোষণা দেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শৃঙ্খলার জন্য রোডগুলো আমরা বলে দিয়েছি, তা মেইনটেইন করা হবে।’
ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ও প্যাডেল রিকশামালিক পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীতে ৫০-৬০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। প্যাডেলচালিত বৈধ রিকশা রয়েছে ৭০ হাজার। অবৈধ রয়েছে আরও ৫০-৬০ হাজার।
এ বিষয়ে প্যাডেল রিকশামালিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত যানবাহন। অথচ প্রশাসনের সামনে এসব রিকশা পুরো নগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে এসব রিকশা। এসব রিকশা চলার অনুমতি দেওয়া মানে, আদালত অবমাননা করা।
রবিউল আলম নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালক বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ট্রাফিক পুলিশ ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করলেও এখন খুব বেশি ঝামেলা করে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একটি শহরকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন। তবে চট্টগ্রামে সড়ক রয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের জায়গার সংকট। তার ওপর রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা না থাকলে নগরীর যানজট নিরসন মোটেও সম্ভব হবে না।’
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘সব যানবাহনকে যেকোনো মূল্যে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে আদালত, সিটি করপোরেশন ও বিআরটিএসহ কোনো সংস্থা থেকেই বৈধতা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে রিট পিটিশন করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও প্যাডেলচালিত রিকশার পক্ষে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিদ্দিক মিয়া এ রিট করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতি। আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রাম নগরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। সিটি করপোরেশন বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কোনো অনুমোদন না থাকলেও মাত্র ৬০ বর্গমাইলের এ নগরীতে প্রতিদিনই বাড়ছে এর সংখ্যা। বর্তমানে ৫০-৬০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। প্যাডেলচালিত বৈধ রিকশা রয়েছে ৭০ হাজার। অবৈধ রয়েছে আরও ৫০-৬০ হাজার। ব্যাটারি ও প্যাডেল মিলিয়ে রিকশায় ‘হযবরল’ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে নগরীতে। কারণে-অকারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর যেকোনো রাস্তায় আচমকাই বেরিয়ে পড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। দিনের বেশির ভাগ সময় চলে নগরীর অলিগলিতে। আর সন্ধ্যার পর অলিগলি ছেড়ে মূল সড়কে চলে আসে এসব রিকশা। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটে চলায় অন্যান্য যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এসব রিকশা। কারণ, এসব রিকশা যে কাঠামোতে তৈরি, এর সঙ্গে গতি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুতগতির এ রিকশার চালকেরা যে যার মতো করে দাপিয়ে বেড়ান নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি। এ কারণে রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। সড়কে নষ্ট হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নগর পুলিশ এসব রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে; কিন্তু তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আর চালকেরা বলছেন, শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধের বিষয়টি তাঁরা জানেন না।
এদিকে, যানজট নিরসনে নগরীর প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ ক্ষেত্রে কোন কোন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নগরীর যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। কোন কোন সড়কে ব্যাটারি রিকশা চলতে পারবে না তা, ঘোষণা দেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শৃঙ্খলার জন্য রোডগুলো আমরা বলে দিয়েছি, তা মেইনটেইন করা হবে।’
ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ও প্যাডেল রিকশামালিক পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীতে ৫০-৬০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। প্যাডেলচালিত বৈধ রিকশা রয়েছে ৭০ হাজার। অবৈধ রয়েছে আরও ৫০-৬০ হাজার।
এ বিষয়ে প্যাডেল রিকশামালিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত যানবাহন। অথচ প্রশাসনের সামনে এসব রিকশা পুরো নগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে এসব রিকশা। এসব রিকশা চলার অনুমতি দেওয়া মানে, আদালত অবমাননা করা।
রবিউল আলম নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালক বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ট্রাফিক পুলিশ ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করলেও এখন খুব বেশি ঝামেলা করে না।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডিসি (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একটি শহরকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন। তবে চট্টগ্রামে সড়ক রয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের জায়গার সংকট। তার ওপর রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা না থাকলে নগরীর যানজট নিরসন মোটেও সম্ভব হবে না।’
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘সব যানবাহনকে যেকোনো মূল্যে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে আদালত, সিটি করপোরেশন ও বিআরটিএসহ কোনো সংস্থা থেকেই বৈধতা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে রিট পিটিশন করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও প্যাডেলচালিত রিকশার পক্ষে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিদ্দিক মিয়া এ রিট করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতি। আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।মনিরামপুর, যশোর জেলা, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর
১ মিনিট আগেটঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থী নেতা মুয়াজ বিন নূরকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দর হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৮ মিনিট আগেযশোরের চৌগাছা উপজেলার বল্লভপুর বাঁওড়ের ইজারাদার বল্লভপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জলাশয়টি দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা টানা চার মাস লুটপাট চালিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ ধরে নিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে দেশের একমাত্র খেজুরগাছ রিসার্চ গার্ডেন জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছরে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জমে প্রায় সব খেজুরগাছই মরে গেছে। এই অবস্থায় সেখানে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক।
৯ ঘণ্টা আগে