কুবি প্রতিনিধি
‘আপনাদের বলতে চাই, আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি, এটা মূলত ৫ মে হেফাজতের যে রক্ত ঝরেছিল, সেই রক্ত থেকে আমরা এই সংগ্রামের (কোটা আন্দোলন) প্রেরণা পেয়েছি।’
গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) কুমিল্লা শহরের মাদ্রাসায়ে আশরাফিয়া নামক একটি মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের একজন আবু মুহাম্মদ রায়হান। এই বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবেদনের স্বার্থে ভিডিওটি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি বশীরুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনীর হোসাইন কাসেমীসহ কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সমন্বয়কেরা।
এই অনুষ্ঠানে রায়হান আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে আমি খুব গর্বিত অনুভব করতেছি। আসলে এর আগেও বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে, সব জায়গায় না গেলেও আলেম-ওলামাদের সম্মানে এই দাওয়াত কবুল করেছি আমরা। আর আপনাদের বলতে চাই, আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি, এটা মূলত ৫ মে হেফাজতের যেই রক্ত ঝরেছিল, সেই রক্ত থেকে আমরা সংগ্রামের প্রেরণা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশ আলেম-ওলামার দেশ। এই দেশে কোনো ভারতীয় অ্যাজেন্ডা আমরা বাস্তবায়ন করতে দেব না। দেশে আলেম-ওলামা বা ছাত্রদের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্ত আমরা একসাথে রুখে দেব, ইনশা আল্লাহ। আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আপনারা হেফাজত, চরমোনাই, জামায়াত—সবাই এক হয়ে যান। আমরা ছাত্রসমাজ আপনাদের পক্ষে আছি। অন্য যত অপশক্তি আছে সবাই আমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কিন্তু আমরা আলেম-ওলামারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। আমরা চাই, আগামী দিনের বাংলাদেশ আলেম-ওলামার নেতৃত্বে গড়ে উঠবে, ইনশা আল্লাহ। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবু মুহাম্মদ রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচ ও ২০১৪-১৫ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশন ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাহিম আবরার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ মে হেফাজতের আন্দোলন থেকে আমরা এই গণ-আন্দোলনের অনুপ্রেরণা পেয়েছি—এটি সম্পূর্ণ বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছেন আবু রায়হান ভাই। জনগণের স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা জাগ্রত হওয়ার পুরো স্বত্ব তিনি একটি গোষ্ঠীকে দিয়ে দিলেন।’
এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশন ও শেখ হাসিনা হলের (যেটির নাম শিক্ষার্থীরা পাল্টে ‘সুনীতি-শান্তি হল’ দিয়েছেন) আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই আন্দোলনের শুরুটা কোটা নিয়ে, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই একত্র হয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে এক দফা আন্দোলনে উপনীত হয়েছে। হেফাজত, জামায়াত, শিবিরসহ অন্যান্য অনেকেরই ভূমিকা আছে, তা অস্বীকার করব না। কিন্তু ২০১৩ সালের ৫ মের ওপর ভিত্তি করে এই আন্দোলন শুরু হয়নি। তবে কুবি সমন্বয়ক আবু রায়হান আবেগের তাড়নায় বা অন্য কোনো কারণে দাবি করছে ৫ মের হেফাজতের ঝরানো রক্তই নাকি আমাদের ৫ আগস্টের বিজয়ের প্রেরণা। সমন্বয়ক হিসেবে সে সব সময় নিজেকে জাহির করায় ব্যস্ত।’
এ ছাড়া আবু রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘রায়হান ভাই হলের নামকরণ নিয়ে করা পোস্টে মন্তব্য করেন—‘‘হলের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ছিল, ওরা কি দেশ স্বাধীন করেছে?’ ’ এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর হিসেবে, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন করেনি। অথচ, জুনের শুরু থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত হলের শিক্ষার্থী ছাড়া কুমিল্লায় বাইরের কেউ আন্দোলনে যোগ দেয়নি, এমনকি আবু রায়হানকে দেখা গেছে ১৫ তারিখের পর। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। কুবির সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর তাঁর দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা চাই না সমন্বয়ক পরিচয়ে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর প্রেশার দিক।’
শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আমেনা বলেন, ‘আন্দোলনে প্রধান ভূমিকায় থাকা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন রায়হান ভাই। বলেছেন, হলের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ছিল, তাঁরা কী দেশ স্বাধীন করেছে! এ ছাড়া অনলাইন-অফলাইনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন উনি। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত হলেই ছাত্রলীগ ট্যাগ দিচ্ছেন।’
বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে সমন্বয়ক আবু মুহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘আমি বক্তব্যটা আলেম সমাজের সঙ্গে ছাত্রসমাজ আছে এবং তাদের ওপরে যে হত্যাকাণ্ড স্বৈরাচারী সরকার চালিয়েছিল তাঁর প্রতিবাদের ভিত্তিতে বলেছি।’
আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের বিষয় রায়হান বলেন, ‘আমি ওই মন্তব্য করেছি, তবে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে নয়। যারা সে সময় আন্দোলনে না গিয়ে বরং অন্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল, যে নাম থাকলে সমস্যা হবে বা এমন তাঁদের উদ্দেশ করে বলেছি।’
রায়হান আরও জানান, শিক্ষার্থীরা যখন সিনিয়র কাউকে আন্দোলনের নেতৃত্বে চেয়েছিল, তখনই তিনি এসেছিলেন। এখন যদি তাঁকে সিনিয়র হিসেবে শিক্ষার্থীরা না চায়, তাহলে তিনি সরে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ ঘোষিত হওয়ার পরপরই আলোচনায় আসে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ সংগঠনটি। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে এ সংগঠন। দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা ১৩ দফা উত্থাপন করে। ১৩ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রথমে সংগঠনটি ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকা অবরোধ করে। পরবর্তী সময়ে আবার ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডাকে। একপর্যায়ে সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়, ডাক দেওয়া হয় সরকার পতনের। সেই রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই অভিযানে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
‘আপনাদের বলতে চাই, আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি, এটা মূলত ৫ মে হেফাজতের যে রক্ত ঝরেছিল, সেই রক্ত থেকে আমরা এই সংগ্রামের (কোটা আন্দোলন) প্রেরণা পেয়েছি।’
গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) কুমিল্লা শহরের মাদ্রাসায়ে আশরাফিয়া নামক একটি মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের একজন আবু মুহাম্মদ রায়হান। এই বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবেদনের স্বার্থে ভিডিওটি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি বশীরুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনীর হোসাইন কাসেমীসহ কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সমন্বয়কেরা।
এই অনুষ্ঠানে রায়হান আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে আমি খুব গর্বিত অনুভব করতেছি। আসলে এর আগেও বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে, সব জায়গায় না গেলেও আলেম-ওলামাদের সম্মানে এই দাওয়াত কবুল করেছি আমরা। আর আপনাদের বলতে চাই, আমরা ৫ আগস্ট আমাদের সংগ্রামের যে সফলতা পেয়েছি, এটা মূলত ৫ মে হেফাজতের যেই রক্ত ঝরেছিল, সেই রক্ত থেকে আমরা সংগ্রামের প্রেরণা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশ আলেম-ওলামার দেশ। এই দেশে কোনো ভারতীয় অ্যাজেন্ডা আমরা বাস্তবায়ন করতে দেব না। দেশে আলেম-ওলামা বা ছাত্রদের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্ত আমরা একসাথে রুখে দেব, ইনশা আল্লাহ। আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আপনারা হেফাজত, চরমোনাই, জামায়াত—সবাই এক হয়ে যান। আমরা ছাত্রসমাজ আপনাদের পক্ষে আছি। অন্য যত অপশক্তি আছে সবাই আমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কিন্তু আমরা আলেম-ওলামারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। আমরা চাই, আগামী দিনের বাংলাদেশ আলেম-ওলামার নেতৃত্বে গড়ে উঠবে, ইনশা আল্লাহ। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবু মুহাম্মদ রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচ ও ২০১৪-১৫ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশন ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাহিম আবরার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ মে হেফাজতের আন্দোলন থেকে আমরা এই গণ-আন্দোলনের অনুপ্রেরণা পেয়েছি—এটি সম্পূর্ণ বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছেন আবু রায়হান ভাই। জনগণের স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা জাগ্রত হওয়ার পুরো স্বত্ব তিনি একটি গোষ্ঠীকে দিয়ে দিলেন।’
এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশন ও শেখ হাসিনা হলের (যেটির নাম শিক্ষার্থীরা পাল্টে ‘সুনীতি-শান্তি হল’ দিয়েছেন) আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই আন্দোলনের শুরুটা কোটা নিয়ে, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই একত্র হয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে এক দফা আন্দোলনে উপনীত হয়েছে। হেফাজত, জামায়াত, শিবিরসহ অন্যান্য অনেকেরই ভূমিকা আছে, তা অস্বীকার করব না। কিন্তু ২০১৩ সালের ৫ মের ওপর ভিত্তি করে এই আন্দোলন শুরু হয়নি। তবে কুবি সমন্বয়ক আবু রায়হান আবেগের তাড়নায় বা অন্য কোনো কারণে দাবি করছে ৫ মের হেফাজতের ঝরানো রক্তই নাকি আমাদের ৫ আগস্টের বিজয়ের প্রেরণা। সমন্বয়ক হিসেবে সে সব সময় নিজেকে জাহির করায় ব্যস্ত।’
এ ছাড়া আবু রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘রায়হান ভাই হলের নামকরণ নিয়ে করা পোস্টে মন্তব্য করেন—‘‘হলের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ছিল, ওরা কি দেশ স্বাধীন করেছে?’ ’ এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর হিসেবে, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন করেনি। অথচ, জুনের শুরু থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত হলের শিক্ষার্থী ছাড়া কুমিল্লায় বাইরের কেউ আন্দোলনে যোগ দেয়নি, এমনকি আবু রায়হানকে দেখা গেছে ১৫ তারিখের পর। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। কুবির সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর তাঁর দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা চাই না সমন্বয়ক পরিচয়ে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর প্রেশার দিক।’
শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আমেনা বলেন, ‘আন্দোলনে প্রধান ভূমিকায় থাকা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন রায়হান ভাই। বলেছেন, হলের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ছিল, তাঁরা কী দেশ স্বাধীন করেছে! এ ছাড়া অনলাইন-অফলাইনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন উনি। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত হলেই ছাত্রলীগ ট্যাগ দিচ্ছেন।’
বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে সমন্বয়ক আবু মুহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘আমি বক্তব্যটা আলেম সমাজের সঙ্গে ছাত্রসমাজ আছে এবং তাদের ওপরে যে হত্যাকাণ্ড স্বৈরাচারী সরকার চালিয়েছিল তাঁর প্রতিবাদের ভিত্তিতে বলেছি।’
আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের বিষয় রায়হান বলেন, ‘আমি ওই মন্তব্য করেছি, তবে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে নয়। যারা সে সময় আন্দোলনে না গিয়ে বরং অন্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল, যে নাম থাকলে সমস্যা হবে বা এমন তাঁদের উদ্দেশ করে বলেছি।’
রায়হান আরও জানান, শিক্ষার্থীরা যখন সিনিয়র কাউকে আন্দোলনের নেতৃত্বে চেয়েছিল, তখনই তিনি এসেছিলেন। এখন যদি তাঁকে সিনিয়র হিসেবে শিক্ষার্থীরা না চায়, তাহলে তিনি সরে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ ঘোষিত হওয়ার পরপরই আলোচনায় আসে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ সংগঠনটি। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে এ সংগঠন। দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা ১৩ দফা উত্থাপন করে। ১৩ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রথমে সংগঠনটি ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকা অবরোধ করে। পরবর্তী সময়ে আবার ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডাকে। একপর্যায়ে সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়, ডাক দেওয়া হয় সরকার পতনের। সেই রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই অভিযানে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৫ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেমূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
৩২ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
২ ঘণ্টা আগে