২৩ নাবিককে নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করল এমভি আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, ২১: ০৯
Thumbnail image

ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের বিশাল নীল জলরাশি পেরিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পয়েন্টে নোঙর করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুতুবদিয়া পয়েন্টে জাহাজটি নোঙর করে।

আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে লাইটারেজ জাহাজে করে ২৩ নাবিককে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাটের কেএসআরএমের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসা হবে। 

জাহাজে থাকা নাবিক মো. নুরুদ্দিন এসব তথ্য জানান। 

সদরঘাটে নেমে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর নাবিকেরা নিজেদের বাড়িতে চলে যাবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক দিন সময় কাটানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন জাহাজ মালিকপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম। 

কুতুবদিয়ায় নোঙর করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে কুতুবদিয়ায় নোঙর করা জাহাজের ২৩ নাবিক ও দেশে থাকা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জনদের সঙ্গে সাক্ষাতে উন্মুখ হয়ে আছেন। প্রিয়জনদের কাছে পাওয়ার অপেক্ষা ফুরিয়ে আসার আনন্দে নাবিকদের পরিবারে ফিরেছে অন্য রকম স্বস্তি। গেল ঈদে এসব পরিবারে আনন্দ না থাকলেও এখন যেন ঈদ আনন্দ বইছে পরিবারগুলোতে। কুতুবদিয়ায় নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে নাবিকদের মাঝে অন্য রকম এক আনন্দ ও স্বস্তি দেখা যাওয়ার কথা সরাসরি এ প্রতিবেদককে জানান নাবিক মো. নুরুদ্দিন। 

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে রয়েছেন জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. সালেহ আহমদ, মো. শরিফুল ইসলাম ও মো. নুরুদ্দিন। 

কুতুবদিয়ায় নোঙর করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকাগত ১২ মার্চ বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অপহরণের দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়। মুক্তির পর জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এরপর গত ২৯ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরেক বন্দর মিনা সাকারা থেকে ৫৬ হাজার ৩৯১ টন চুনাপাথর নিয়ে আসা এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করল।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং জাহাজটি গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় এমভি আবদুল্লাহকে। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত