Ajker Patrika

দেশ কোথায় গেছে যে আওয়ামী লীগকে পালাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ২২: ৪৩
দেশ কোথায় গেছে যে আওয়ামী লীগকে পালাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগে। বাংলাদেশে কী হয়েছে, দেশ কোথায় গেছে যে আওয়ামী লীগকে পালাতে হবে? কে পালাবে? পালানোর মতো কী পরিবেশ হয়েছে? আমাদের কথায় কথায় বলে পালাবার সময় পাব না। আমরা কি চোর, না আমরা ডাকাত?’ 

বিএনপির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) নেতা মামলার আসামি হয়ে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছেন লন্ডনে। আমরা পালাব কেন? আমরা কোথায় পালাব? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই তো দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরাই তো স্বাধীন করেছি। এটা আমাদের দেশ। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির এই দেশ।’ 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের বিজিএমইএর মাহবুব আলী মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিসিআরএসবিডির সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

মন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁরা যে বড় বড় কথা বলছে, কে নেতৃত্বটা দেবেন? ভাঁওতাবাজির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আওয়ামী লীগ কি এমন দল ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে? এত সহজ নয়। আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর বয়স। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আপনারা কীভাবে বলছেন গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। আপনারা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কী করেছিলেন এখনো কেউ ভোলেনি।’ 

চট্টগ্রাম দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী উল্লেখ করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য আছে। অর্থনৈতিকভাবেও সব সময় দেশের বাকি নগর ও শহরগুলোর চেয়ে আমরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছি। এমন একটি সময় ছিল, রাজধানী ঢাকার চেয়েও আমরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলাম। সময়ের কারণে আমাদের মধ্যে একটা গ্যাপ হয়ে গেছে। যে জায়গায় আমরা এসেছি এর চেয়ে ভালো জায়গায় আমরা অবশ্যই থাকতে পারতাম।’ 

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাড়ে ১৪ বছরের শাসনামলে অবশ্যই সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। আমি বলব, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের বিমানবন্দর হয়েছে, আখতারুজ্জামান বাবু ফ্লাইওভার হয়েছে, এম এ মান্নান ফ্লাইওভার হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে। যেটা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। আমাদের শাসনামলে হয়ে যাবে টানেল। এটা উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।’ 

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বেশি সময় ফেসবুকে নষ্ট করবেন না। ফেসবুক শুধু বাংলাদেশের জন্য খোলা হয়নি। ফেসবুক-ইউটিউব বিশ্বব্যাপী। ইউরোপ-আমেরিকায় কয়জন ফেসবুকে সারাক্ষণ থাকে।’ 

সিসিআরএসবিডির নির্বাহী পরিচালক চবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহফুজ পারভেজের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির আইন বিভাগের ডিন আবদুল্লাহ ফারুক। প্যানেল আলোচক ছিলেন বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শোভারানী ত্রিপুরা, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের চিফের পরিবারের সদস্য রাজকুমার টুইন ইনপ্রু মারমা, এফবিসিসিআইর পরিচালক মুনাল মাহবুব, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এপ্রিলে আসছে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন, প্রস্তুত মডেল–লোগো

এ কে খন্দকারের নামে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির নামকরণ

বিয়ের ১০ দিন আগে গয়না-নগদ টাকাসহ মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল

পাঠানো ছবি ও ভিডিও অন্যের ফোনে সেভ হওয়া ঠেকাতে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত