নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় হামুনের মাত্র দুই ঘণ্টার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কক্সবাজার। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলার ৩৭ হাজার ৮০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি বাড়ি। এ ছাড়া জেলাব্যাপী ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। ঘূর্ণিঝড়ে দেয়াল ও গাছচাপা পড়ে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক, মহেশখালী এলাকার হারাধন দে ও চকরিয়ার বদরখালী এলাকার আসকর আলী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানে। তাতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়ে ১৫ টির বেশি গাছ। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
শুধু এই সড়কই নয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে উপড়ে পড়েছে বিশাল আকৃতির গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়েছে সড়কে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় ৩৭ হাজার ৮০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ৫ হাজার ১০৫টি বাড়ি। এ ছাড়াও জেলাব্যাপী ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। তবে আজ বুধবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন রুবেল বলেন, বাতাসের তাণ্ডবে উপকূলীয় ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘর ভেঙে গেছে। আসকর আলীর মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি।
বখতিয়ার উদ্দিন রুবেল বলেন, আবহাওয়ার বার্তা ও প্রশাসনে প্রস্তুতি মিলে অনেক আগেই আঘাত এনেছে হামুন। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কল্পনার বেশি। এ ছাড়াও পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, ডেমুশিয়া, ও কোনাখালী ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের টিন, গাছপালা উড়ে পড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
মহেশখালীর কুতুবজোম ইউপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ কামাল বলেন, মহেশখালীর কুতুবজোম, হোয়ানক, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কালারমারছড়া ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে একাকার হয়ে গেছে। ধলঘাটার কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছিল। পরে নেমে গেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান সড়ক ও উপসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে অনেক অংশ এখনো বন্ধ। তা সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। পৌরসভায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে গেছে আড়াই শতাধিক ঘর। সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, নাজিরারটেক এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তাঘাট ও বসতিতে পড়ে রয়েছে। এখন হুট করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলে প্রাণহানি ঘটতে পারে, তাই আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
আব্দুল কাদের গণি বলেন, এখন তিনটি সাব-স্টেশন চালু করা হয়েছে। প্রধান সড়কগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান সড়কে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হবে। আর পুরো কক্সবাজারে বিদ্যুৎ চালু হতে অন্তত দুই দিন সময় লাগবে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের মাত্র দুই ঘণ্টার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কক্সবাজার। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলার ৩৭ হাজার ৮০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি বাড়ি। এ ছাড়া জেলাব্যাপী ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। ঘূর্ণিঝড়ে দেয়াল ও গাছচাপা পড়ে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক, মহেশখালী এলাকার হারাধন দে ও চকরিয়ার বদরখালী এলাকার আসকর আলী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানে। তাতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়ে ১৫ টির বেশি গাছ। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
শুধু এই সড়কই নয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে উপড়ে পড়েছে বিশাল আকৃতির গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়েছে সড়কে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় ৩৭ হাজার ৮০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ৫ হাজার ১০৫টি বাড়ি। এ ছাড়াও জেলাব্যাপী ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। তবে আজ বুধবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন রুবেল বলেন, বাতাসের তাণ্ডবে উপকূলীয় ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘর ভেঙে গেছে। আসকর আলীর মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি।
বখতিয়ার উদ্দিন রুবেল বলেন, আবহাওয়ার বার্তা ও প্রশাসনে প্রস্তুতি মিলে অনেক আগেই আঘাত এনেছে হামুন। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কল্পনার বেশি। এ ছাড়াও পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর, ডেমুশিয়া, ও কোনাখালী ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের টিন, গাছপালা উড়ে পড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
মহেশখালীর কুতুবজোম ইউপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ কামাল বলেন, মহেশখালীর কুতুবজোম, হোয়ানক, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কালারমারছড়া ইউনিয়ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে একাকার হয়ে গেছে। ধলঘাটার কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছিল। পরে নেমে গেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান সড়ক ও উপসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে অনেক অংশ এখনো বন্ধ। তা সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। পৌরসভায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে গেছে আড়াই শতাধিক ঘর। সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, নাজিরারটেক এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তাঘাট ও বসতিতে পড়ে রয়েছে। এখন হুট করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিলে প্রাণহানি ঘটতে পারে, তাই আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
আব্দুল কাদের গণি বলেন, এখন তিনটি সাব-স্টেশন চালু করা হয়েছে। প্রধান সড়কগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান সড়কে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হবে। আর পুরো কক্সবাজারে বিদ্যুৎ চালু হতে অন্তত দুই দিন সময় লাগবে।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
১ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের’ হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
২ ঘণ্টা আগে