পাহাড় ধস ও নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-লংগদুর যোগাযোগ বন্ধ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ২২
Thumbnail image

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ইতিমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১ হাজার পরিবার। এদিকে বেইলি সেতু ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি-লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 
 
আজ মঙ্গলবার সকালে ভারী বর্ষণের কারণে পৌর শহরের কলাবাগান, শালবন ও সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ২৫টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দীঘিনালাসহ আরও ৭ উপজেলায় অন্তত ২৫টির বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। 

অব্যাহত বর্ষণে ধসে গেছে সড়কের মাটি। হরকা বানে বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সংস্কারকাজ করেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ। এতে প্রায় ৬ ঘণ্টার বেশি যান চলাচল বন্ধ ছিল। 

ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের বেইলি সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকাখাগড়াছড়ির মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। মেরুং ইউনিয়নে বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি-লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার রাত থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি। 

চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি আরও বলেন, মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পানি কমবে না। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ২৫টি পরিবার। 

এ ছাড়া মাইনী নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির সাজেক সড়কের কবাখালী বাজার এলাকা, লংগদু সড়কের বড় মেরুং, মেরুং বাজার ও দাঙাবাজার এলাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশ তলিয়ে গেছে। 

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাতুল আলম জানান, পানিবন্দী মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। এর মধ্যে ১৫ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাঁরা এসেছেন তাঁদের রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত