Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌ-যান চলাচল শুরু 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ৪৩
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌ-যান চলাচল শুরু 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ প্রভাবে এক দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তেমন প্রভাব পড়েনি জেলার উপকূলীয় এলাকা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জসহ কোনো এলাকায়।

আজ বুধবার সকাল ৭টায় হাতিয়ার চতলার ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বারো আউলিয়া নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। নৌযান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় বারো আউলিয়া নলচিরা ঘাটের উদ্দেশে এবং চেয়ারম্যান ঘাট থেকে মনপুরার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার ও স্পিডবোট ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল ঝুঁকিতে থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতিয়া থেকে সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া হলেও জেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছিলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য জেলায় ৪৮৫টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, যেখানে উপকূলীয় এলাকার ৩ লাখ ৪৮ হাজার লোক আশ্রয় নিতে পারত। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ৮ হাজার ৩৮০ জন, দুই শতাধিক রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী, ১০১টি মেডিকেল টিম ও দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ের জন্য ৪৪৯ মেট্রিকটন খাদ্য ও ১০ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত