নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
অবশেষে আলোর মুখ দেখছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হতে যাওয়া এ সেতুর কাজ আগামী বছরে শুরু হচ্ছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। ৭৮০ মিটারের এ সেতু ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। উভয়ই চলবে দুই লাইনে। অর্থাৎ ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের যেটা জানানো হয়েছে সেটি হচ্ছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই দুই লাইনের হবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, ভায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্পেন হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’
মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘আগামী আগস্টে ফাইনাল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের বলা হয়েছে টেন্ডারের পর নির্মাণকাল প্রায় চার বছর। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন (ইডিসিএফ) ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো মোট খরচ হবে বলে আমাদের বলা হয়েছে।’
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে কর্ণফুলীর তৃতীয় সেতু উদ্বোধনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। সেদিন আমরা শিকলবাহায় সিডিএ’র মাঠে একটা জনসভা করেছিলাম। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, কালুরঘাটে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেবেন। একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলতে পারবে। আগের এমপি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হয়নি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে বিভিন্ন জটিলতার কারণে একনেকে উঠেও ফেরত এসেছিল। তখন কষ্টও অনেক কম ছিল। মাঝে শুধু জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
সংসদ সদস্য আরও বলেন, প্রস্তাবনায় দুইটি ব্রিজ করার জন্য বলা হয়েছিল। একটা রেলব্রিজ, আরেকটা রোড ব্রিজ। পরবর্তীকালে ডিজাইন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেওয়া হলে তিনি বলেন আমি তো আলাদা সেতুর কথা বলিনি। একটাই ব্রিজ হবে। এতে রেলও থাকবে, রোডও থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের এক নম্বরে ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সচিব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বারবার কথা বলার পর ডিজাইনের জন্য আবার টেন্ডার হয়। ভাগ্যক্রমে আগে যারা ডিজাইন করেছিল তাঁরা কাজ পেয়েছেন।
আগে ছয় মাসের জায়গায় দুই বছর লেগেছিল ডিজাইন করতে। এবার কিন্তু খুব সহজেই ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইনও দিতে এসেছেন। ডিজাইন দেওয়ার আগে রেলসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছে। আগামী আগস্টে তাঁরা সরকারের কাছে জমা দেবেন। এ জন্য রেলের সঙ্গে একটা চূড়ান্ত বৈঠক করা হয়েছে।
মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাব করেছি যে দুপাশে গাড়ি ওঠানামার জায়গা আমরা সশরীরে দেখব। কারণ মানুষের ব্যক্তিগত অনেক জায়গা আছে। যেগুলোতে ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা হয়। সে জন্য বাইরে থেকে যত দূর সম্ভব কম ভূমি অধিগ্রহণ করে রেলওয়ের জায়গা ব্যবহার করা হবে। এভাবে সেতুটি করার জন্য একটা সুপারিশমালা আমরা দিয়েছি। এ জন্য আগামীতে হয়তো আরেকটা বৈঠক হবে। সেটি কালুরঘাট বা জানে আলীহাট থেকে হবে। জানে আলী হাট থেকে অ্যালাইন হবে। এতে কষ্ট বাড়ছে। তবে সুখবর হচ্ছে, সব টাকা কোরিয়ান সরকার দেবে। আমাদের সরকারও প্রস্তুত ছিল।
অবশেষে আলোর মুখ দেখছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হতে যাওয়া এ সেতুর কাজ আগামী বছরে শুরু হচ্ছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। ৭৮০ মিটারের এ সেতু ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। উভয়ই চলবে দুই লাইনে। অর্থাৎ ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের যেটা জানানো হয়েছে সেটি হচ্ছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই দুই লাইনের হবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, ভায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্পেন হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’
মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘আগামী আগস্টে ফাইনাল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের বলা হয়েছে টেন্ডারের পর নির্মাণকাল প্রায় চার বছর। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন (ইডিসিএফ) ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো মোট খরচ হবে বলে আমাদের বলা হয়েছে।’
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে কর্ণফুলীর তৃতীয় সেতু উদ্বোধনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। সেদিন আমরা শিকলবাহায় সিডিএ’র মাঠে একটা জনসভা করেছিলাম। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, কালুরঘাটে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেবেন। একই সঙ্গে গাড়ি ও ট্রেন চলতে পারবে। আগের এমপি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হয়নি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে বিভিন্ন জটিলতার কারণে একনেকে উঠেও ফেরত এসেছিল। তখন কষ্টও অনেক কম ছিল। মাঝে শুধু জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
সংসদ সদস্য আরও বলেন, প্রস্তাবনায় দুইটি ব্রিজ করার জন্য বলা হয়েছিল। একটা রেলব্রিজ, আরেকটা রোড ব্রিজ। পরবর্তীকালে ডিজাইন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেওয়া হলে তিনি বলেন আমি তো আলাদা সেতুর কথা বলিনি। একটাই ব্রিজ হবে। এতে রেলও থাকবে, রোডও থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের এক নম্বরে ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সচিব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বারবার কথা বলার পর ডিজাইনের জন্য আবার টেন্ডার হয়। ভাগ্যক্রমে আগে যারা ডিজাইন করেছিল তাঁরা কাজ পেয়েছেন।
আগে ছয় মাসের জায়গায় দুই বছর লেগেছিল ডিজাইন করতে। এবার কিন্তু খুব সহজেই ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইনও দিতে এসেছেন। ডিজাইন দেওয়ার আগে রেলসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছে। আগামী আগস্টে তাঁরা সরকারের কাছে জমা দেবেন। এ জন্য রেলের সঙ্গে একটা চূড়ান্ত বৈঠক করা হয়েছে।
মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাব করেছি যে দুপাশে গাড়ি ওঠানামার জায়গা আমরা সশরীরে দেখব। কারণ মানুষের ব্যক্তিগত অনেক জায়গা আছে। যেগুলোতে ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা হয়। সে জন্য বাইরে থেকে যত দূর সম্ভব কম ভূমি অধিগ্রহণ করে রেলওয়ের জায়গা ব্যবহার করা হবে। এভাবে সেতুটি করার জন্য একটা সুপারিশমালা আমরা দিয়েছি। এ জন্য আগামীতে হয়তো আরেকটা বৈঠক হবে। সেটি কালুরঘাট বা জানে আলীহাট থেকে হবে। জানে আলী হাট থেকে অ্যালাইন হবে। এতে কষ্ট বাড়ছে। তবে সুখবর হচ্ছে, সব টাকা কোরিয়ান সরকার দেবে। আমাদের সরকারও প্রস্তুত ছিল।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৫ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১৪ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
১৫ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৩৫ মিনিট আগে