৪৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন–উপজেলার ৬ নম্বর বরমী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন ও একই ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুনুর রশিদ।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রদান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করা হয়েছে।’ নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ওই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে আটটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে সাতজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের সব কাজকর্ম বয়কট করে। এ নিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত শুরু করে। বিস্তর তদন্ত শেষে আটটি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার প্রমাণ পেয়েছে মর্মে ৮৫ পৃষ্ঠায় একটি প্রতিবেদন ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর গাজীপুর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের কেবলমাত্র চার নম্বর ওয়ার্ডে আটটি প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। যেসব রাস্তায় প্রকল্প দেখানো হয়েছে, সেসব প্রকল্পের রাস্তার মধ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে এলজিইডির চারটি প্রকল্পের সঙ্গে ওভারল্যাপ করে অর্থাৎ আগে থেকেই এলজিইডি কর্তৃক রাস্তাগুলো পাকা করা ছিল, এমন রাস্তার প্রকল্প দেখানো হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই প্রকল্পসমূহ নেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।

এই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সরকারের কি পরিমাণ অর্থ ও রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে তা জানতে চেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণিত হয়েছে।