Ajker Patrika

পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবি: খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন চালক হুমায়ুনের, পরিবারে আহাজারি

শহিদুল ইসলাম, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবি: খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন চালক হুমায়ুনের, পরিবারে আহাজারি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় রজনীগন্ধা ফেরি ডুবিতে নিখোঁজ ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবিরের সন্ধান মেলেনি তিন দিনেও। তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারে চলছে শোক ও আহাজারি। উদ্ধার সংশ্লিষ্ট কাজে গাফিলতি রয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হুমায়ুনের পরিবারের সদস্য। 

হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে যোগদান করেন। ২০২২ সালে বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া শাখার সভাপতি নিযুক্ত হন। 

নিখোঁজ হুমায়ুনের বড় মেয়ে ভান্ডারিয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কামরুন্নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা গত মঙ্গলবার রাতে বলেছিলেন পরিবারের সবাইকে শীতের নতুন পোশাক কিনে দেবেন। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি বাবা। তার কিছু হলে পরিবার কীভাবে চলবে তা বলতেই ফোনে হাইমাউ করে কেঁদে ওঠেন।’ 

হুমায়ুনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার সন্তানদের বুকে জড়িয়ে নিশ্চুপ হয়ে আছেন। কারও সঙ্গে কোনো কথাই বলছেন না তিনি। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে আহাজারি করেন। 

হুমায়ুনের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম শাওন দুর্ঘটনার পর থেকেই পদ্মায় ট্রলার নিয়ে ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কয়েকটি ট্রাক উদ্ধার করা হলেও তার ভাইয়ের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। 

রফিকুল কান্না জড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার তিনদিন পার হলো। আমার ভাইকে তো আর জীবিত পাওয়া যাবে না। অন্তত লাশটি উদ্ধার করে দেন।’ 

ভান্ডারিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর আলী বলেন, ‘হুমায়ুন চাকরির সুবাদে বাইরে থাকলেও এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুল ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। গরিব দুঃখী মানুষকেও বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন সে। দুর্ঘটনার খবরে পুরো গ্রাম জুড়ে শোকের মাতম বইছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত