সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রতীক না থাকায় এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় গ্রুপিং ও অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এতে দলীয় বিভেদ বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের রাজনৈতিক অবস্থান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই দ্বন্দ্ব ও বিভেদের ছাপ পড়েছে। এমনকি প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। গ্রুপিংকেন্দ্রিক প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। ফলে রাজনীতির গ্রুপিংয়ের ছায়া স্পষ্ট হয়েছে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলেও। পছন্দের প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তিনটি উপজেলাতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন আল মাসুদ খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম।
স্থানীয়রা বলছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ছোট বোন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান বড় ভাই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তখন শুধু তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। দুই ভাই-বোনের সমর্থকেরা একে অপরের প্রতি প্রচার-প্রচারণায় কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার।
অন্যদিকে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা তিনজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বভাবতই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বলয়ের সমর্থন পাচ্ছেন মো. আওলাদ হোসেন। এর বিপরীতে বাকি দুজন সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে প্রকাশ্যে তাঁদের কারও পক্ষে সংসদ সদস্যের অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শরীফ সাদী এবং মো. আব্দুস সাত্তার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের বলয়ের প্রার্থী বলে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারণা রয়েছে। ফলে তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীদের বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এই বিভক্তি নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার সূত্রপাত করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
একই অবস্থা হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায়। হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আশরাফ হোসেন কবির ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারিছ মিয়া। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রৌশনারা ও মো. নাজমুল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা মো. আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, প্রয়াত এমপি এ কে এম শামছুল হক গোলাপ মিঞার ছেলে এ কে এম দিদারুল হক ও হাজি জাফর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান সোহেল। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দীন এবং বিএনপি ঘরানার পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেতিবাচক বার্তা দিলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমার এই সিদ্ধান্ত।’
দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় দলে বিভেদ আরও বাড়বে বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মন্তব্যের প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। জনগণ যার কাছে নিরাপদ, জনগণ তাকেই বেছে নেবে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দলীয় প্রতীক যেহেতু থাকবে না, সেহেতু জনগণ যাকে ভালবাসে, তাকেই নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় বিভেদ বাড়বে না বরং কমবে।’
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ হালিম বলেন, ‘নির্বাচন তো নির্বাচনই। এতে করে দলে বিভেদ বাড়ার কী আছে! বিভেদ বাড়বে না।’
হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মোবারিছ মিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের সবার সাথেই আমাদের সম্পর্ক ভালো। দলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন রয়েছেন।
এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রতীক না থাকায় এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় গ্রুপিং ও অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এতে দলীয় বিভেদ বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের রাজনৈতিক অবস্থান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই দ্বন্দ্ব ও বিভেদের ছাপ পড়েছে। এমনকি প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। গ্রুপিংকেন্দ্রিক প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। ফলে রাজনীতির গ্রুপিংয়ের ছায়া স্পষ্ট হয়েছে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলেও। পছন্দের প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তিনটি উপজেলাতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন আল মাসুদ খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম।
স্থানীয়রা বলছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ছোট বোন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান বড় ভাই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তখন শুধু তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। দুই ভাই-বোনের সমর্থকেরা একে অপরের প্রতি প্রচার-প্রচারণায় কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার।
অন্যদিকে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা তিনজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বভাবতই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বলয়ের সমর্থন পাচ্ছেন মো. আওলাদ হোসেন। এর বিপরীতে বাকি দুজন সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে প্রকাশ্যে তাঁদের কারও পক্ষে সংসদ সদস্যের অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শরীফ সাদী এবং মো. আব্দুস সাত্তার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের বলয়ের প্রার্থী বলে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারণা রয়েছে। ফলে তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীদের বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এই বিভক্তি নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার সূত্রপাত করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
একই অবস্থা হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায়। হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আশরাফ হোসেন কবির ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারিছ মিয়া। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রৌশনারা ও মো. নাজমুল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা মো. আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, প্রয়াত এমপি এ কে এম শামছুল হক গোলাপ মিঞার ছেলে এ কে এম দিদারুল হক ও হাজি জাফর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান সোহেল। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দীন এবং বিএনপি ঘরানার পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেতিবাচক বার্তা দিলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমার এই সিদ্ধান্ত।’
দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় দলে বিভেদ আরও বাড়বে বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মন্তব্যের প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। জনগণ যার কাছে নিরাপদ, জনগণ তাকেই বেছে নেবে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দলীয় প্রতীক যেহেতু থাকবে না, সেহেতু জনগণ যাকে ভালবাসে, তাকেই নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় বিভেদ বাড়বে না বরং কমবে।’
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ হালিম বলেন, ‘নির্বাচন তো নির্বাচনই। এতে করে দলে বিভেদ বাড়ার কী আছে! বিভেদ বাড়বে না।’
হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মোবারিছ মিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের সবার সাথেই আমাদের সম্পর্ক ভালো। দলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন রয়েছেন।
এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৫ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৬ ঘণ্টা আগে