নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা এমনি-এমনি আসে নাই। একজন ঘোষণা দিলেন আর স্বাধীন হয়েছে আমরা সেটাও দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। তখন থেকেই আবার আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। এ সময় আমাদের দিকনির্দেশনা দিতেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আমরা পাকিস্তানি উপনিবেশে পরিণত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি, তাঁদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বাংলাদেশকে এমন পর্যায়ে রেখে যেতে চাই যাতে তারা বলতে পারে আমরা বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দিন বদলের ঘোষণা দিয়ে দেশকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে ৩০ লাখ মানুষ কীভাবে শহীদ হন। আমি বলব যাঁরা এটা বলেন, যশোরের চুকনগরে যান। সবখানে এক দিনে ২২ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের সীমান্ত এলাকায় যান আমরা অনেককে কবর দিতে পারি নাই।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৫৩ বছর আমরা অতিক্রম করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। আমাকেও হত্যার তালিকায় রেখে ছিল। এটা কল্পনা করা যায় মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকেও বহুবার হত্যার পরিকল্পনা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা আশ্বস্ত হই, শুধু আমরা নই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে।’
ঢাকা বিভাগের কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সরকারের যেই পরিকল্পনা আছে, আমরা চেষ্টা করছি কাজ করার। এখন গৃহহীন কোনো মানুষ নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা এগুলো করতে পারছি।’
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাস রচনা করেছেন। আর আমরা আপনাদের ইতিহাসের ধারক।’
ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান শহীদ, সাবেক সহকারী কমান্ডার প্রমুখ।
এর আগে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।
১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা এমনি-এমনি আসে নাই। একজন ঘোষণা দিলেন আর স্বাধীন হয়েছে আমরা সেটাও দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। তখন থেকেই আবার আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। এ সময় আমাদের দিকনির্দেশনা দিতেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আমরা পাকিস্তানি উপনিবেশে পরিণত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি, তাঁদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বাংলাদেশকে এমন পর্যায়ে রেখে যেতে চাই যাতে তারা বলতে পারে আমরা বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দিন বদলের ঘোষণা দিয়ে দেশকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে ৩০ লাখ মানুষ কীভাবে শহীদ হন। আমি বলব যাঁরা এটা বলেন, যশোরের চুকনগরে যান। সবখানে এক দিনে ২২ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের সীমান্ত এলাকায় যান আমরা অনেককে কবর দিতে পারি নাই।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৫৩ বছর আমরা অতিক্রম করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। আমাকেও হত্যার তালিকায় রেখে ছিল। এটা কল্পনা করা যায় মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকেও বহুবার হত্যার পরিকল্পনা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা আশ্বস্ত হই, শুধু আমরা নই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে।’
ঢাকা বিভাগের কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সরকারের যেই পরিকল্পনা আছে, আমরা চেষ্টা করছি কাজ করার। এখন গৃহহীন কোনো মানুষ নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা এগুলো করতে পারছি।’
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাস রচনা করেছেন। আর আমরা আপনাদের ইতিহাসের ধারক।’
ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান শহীদ, সাবেক সহকারী কমান্ডার প্রমুখ।
এর আগে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে