স্বামীর লাশ ঝুলছিল ঘরের আড়ার সঙ্গে, বিছানায় স্ত্রীর মরদেহ

গাজীপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় নিজ ঘর থেকে স্বামী–স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ এবং বিছানায় পড়ে থাকা স্ত্রীর মরদেহ পায় পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল শনিবার দিবাগত গভীর রাতে তাঁদের মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন—   গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল নয়াপাড়া এলাকারর মৃত সোহাগ মিয়ার মেয়ে পারভীন আক্তার (৩২) ও তাঁর স্বামী জালাল মিয়া (৪২)। জালাল মিয়া পারভীন আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী। জালাল মিয়া এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। 

দম্পতির ছেলে রাব্বি (১৮) বলেন, প্রায় এক বছর আগে জালাল মিয়ার সঙ্গে আমার মায়ের বিয়ে হয়। এটা মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁরা কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল নয়াপাড়া এলাকায় আমার নানার বাসায় থাকতেন। আমি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বাসা ভাড়া থেকে রিকশা চালাই। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১২টার পর আমার মা ফোন কল করে আমার কাছে ৫০০ টাকা চায়। আমি সকালে দিব বললে ফোন কেটে দিই। 

রাব্বি আরও বলেন, আজ সকালে প্রতিবেশীরা ফোন কল করে জানায়, আমার বাবা–মা আত্মহত্যা করেছে। বাড়িতে এসে দেখি মায়ের লাশ বিছানায় পড়ে আছে, বাবা ধন্নার (ঘরের আড়া) সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আহবারউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে পুলিশ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য
মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 

আহবারউজ্জামান আরও জানান, লাশ উদ্ধারের সময় ভেতর থেকে ঘর বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এ দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাত ২টার পর পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষাক্ত কিছু পান করে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পরে স্বামী স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাঁদের মৃত্যু প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত