Ajker Patrika

মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি : প্রধান বিচারপতি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি : প্রধান বিচারপতি 

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি পিপলস জুডিশিয়ারি ধারণাটি সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে। দেশের আদালতগুলো আজ ৪০ লাখ মামলার ভারে জর্জরিত। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা গ্রাউন্ড- ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমর ওপর জোড় দিচ্ছি। মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। দেশের জাতীয় অগ্রগতি, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত।

এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিচারকেরা স্বাধীনভাবে ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজাং রিনজিন ইয়ারগে, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত  নেপালের প্রধান বিচারপতি তাঁকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানন। তিনি বলেন, এ ধরনের সম্মেলন এই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

ভুটান হাইকোর্টের বিচারপতি তার বক্তব্যে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।

এ–দুটি বাস্তবায়ন করা না হলে আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন এবং এ ধরনের সম্মেলন এ অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। এরপরও বিচারকরা আন্তরিক চেষ্টার মাধ্যমে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত