নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে ৯৭ শতাংশ নারী চা-শ্রমিকের কোনো নিয়োগপত্র নেই। তাঁরা নিয়োগপত্র ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ‘বাংলাদেশের চা খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিক: অধিকার ও শোভন কাজ পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক মতবিনিময় সভায় এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অক্সফাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহঅর্থায়নে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।
আয়োজকেরা জানান, চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মৌলভীবাজারের ৪১টি বাগানের ১৫০ জন নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু মৌলভীবাজারের চা-বাগানগুলোর ৯৭ শতাংশ নারী চা-শ্রমিক নিয়োগপত্র পান না। আর ৮৭ শতাংশ নারী শ্রমিক পরিচয়পত্র পান না।
নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র সম্পর্কে তাঁদের স্পষ্ট ধারণাও নেই। চা-বাগানগুলোতে শ্রমিক উপস্থিতি রেজিস্ট্রারের ব্যবস্থাও নেই। চা-বাগানে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধাও কম। বেশির ভাগ বাগানেই টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৮৮ শতাংশ শ্রমিক খোলা জায়গায় এবং ১২ শতাংশ চা-বাগানে মলত্যাগ করেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, দেশে চা-শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী। চা-শ্রমিকদের মাসিক বর্তমান গড় আয় ৪ হাজার ৯৮২ টাকা। অধিকাংশ শ্রমিকের ক্ষেত্রে মজুরি পরিশোধের আগে কোনো বেতন স্লিপ দেওয়া হয় না। শ্রমিকেরা চাকরিজীবনে কখনো পদোন্নতিও পান না। গড়ে ১৫ বছরের বেশি চাকরি করা সত্ত্বেও ৯৩ শতাংশ নারী শ্রমিক তাঁদের চাকরিজীবনে কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
সভায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, চা-বাগানে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে হাজিরা তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। একজন সুপারভাইজার শ্রমিকদের উপস্থিতি লিপিবদ্ধ করেন। শ্রম ঘণ্টার ক্ষেত্রেও নারী চা-শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার বলে জানান তিনি।
মতিবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, বিলস পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের ফেমিনিস্ট লিডারশিপ অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্পেশালিস্ট শাহজাদি বেগম প্রমুখ।
বাংলাদেশে ৯৭ শতাংশ নারী চা-শ্রমিকের কোনো নিয়োগপত্র নেই। তাঁরা নিয়োগপত্র ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ‘বাংলাদেশের চা খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিক: অধিকার ও শোভন কাজ পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক মতবিনিময় সভায় এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অক্সফাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহঅর্থায়নে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।
আয়োজকেরা জানান, চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মৌলভীবাজারের ৪১টি বাগানের ১৫০ জন নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু মৌলভীবাজারের চা-বাগানগুলোর ৯৭ শতাংশ নারী চা-শ্রমিক নিয়োগপত্র পান না। আর ৮৭ শতাংশ নারী শ্রমিক পরিচয়পত্র পান না।
নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র সম্পর্কে তাঁদের স্পষ্ট ধারণাও নেই। চা-বাগানগুলোতে শ্রমিক উপস্থিতি রেজিস্ট্রারের ব্যবস্থাও নেই। চা-বাগানে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধাও কম। বেশির ভাগ বাগানেই টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৮৮ শতাংশ শ্রমিক খোলা জায়গায় এবং ১২ শতাংশ চা-বাগানে মলত্যাগ করেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, দেশে চা-শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী। চা-শ্রমিকদের মাসিক বর্তমান গড় আয় ৪ হাজার ৯৮২ টাকা। অধিকাংশ শ্রমিকের ক্ষেত্রে মজুরি পরিশোধের আগে কোনো বেতন স্লিপ দেওয়া হয় না। শ্রমিকেরা চাকরিজীবনে কখনো পদোন্নতিও পান না। গড়ে ১৫ বছরের বেশি চাকরি করা সত্ত্বেও ৯৩ শতাংশ নারী শ্রমিক তাঁদের চাকরিজীবনে কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
সভায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, চা-বাগানে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে হাজিরা তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। একজন সুপারভাইজার শ্রমিকদের উপস্থিতি লিপিবদ্ধ করেন। শ্রম ঘণ্টার ক্ষেত্রেও নারী চা-শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার বলে জানান তিনি।
মতিবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, বিলস পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের ফেমিনিস্ট লিডারশিপ অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্পেশালিস্ট শাহজাদি বেগম প্রমুখ।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
৭ মিনিট আগেক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের হামলায় তাঁদের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
১২ মিনিট আগেবরগুনার আমতলীতে এক দিনে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
৩২ মিনিট আগে