Ajker Patrika

১৩৩ কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

১৩৩ কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর এসব অপকর্মের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তৌহিদুল আলম জেনিথসহ আরও পাঁচ-সাতজন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে এক সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব।

একরামুল হাবিব বলেন, ইমরান হোসেনকে মানি লন্ডারিং, অর্থ পাচার, অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু আমদানি এবং বিভিন্ন জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর মালিবাগ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১৩৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর এই কাজে সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম জেনিথসহ আরও পাঁচ-সাতজন জড়িত। তাঁদের নামেও মোহাম্মদপুর থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বাকিদের নাম এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিক্রি করেছেন।

এ ছাড়া তিনি ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করেন। দেশীয় গরু-ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে কোরবানির পশুর হাটে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন। এমন অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সিআইডি জানায়, ইমরান সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করতে চুক্তিবদ্ধ হন। তবে গরুগুলো জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নেন। ইমরান তাঁর অন্য সহযোগীরা অবৈধভাবে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজা ২০০ টাকা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে। তাঁর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে ডিএমপির জমি দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ জড়িত এমন কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচ-সাতজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করা এই মুহূর্তে সঠিক হবে না।

তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বেও ড. খলিলুর রহমান

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর আপাতত ভরসা ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দর

নির্বাচন ঘিরে মাঠ প্রশাসন গোছাচ্ছে সরকার

একমাত্র বিদেশি ‘বীর প্রতীক’ ঔডারল্যান্ড, যাঁর জন্য মুক্তিযুদ্ধের অংশ হলো বাটা

বাথরুমে গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মচারী আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত