অজপাড়া গাঁয়ে নান্দনিক কারুকাজের মন্দির দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

হারুনূর রশিদ, রায়পুরা, নরসিংদী
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ০৭
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ০২

ফটকে ঢুকতেই চোখে পড়বে সাদা, টেরাকোটা আর সোনালি রঙের চোখ ধাঁধানো কারুকাজে গড়া মন্দির। এর ওপরের অংশে কষ্টিপাথরের তৈরি মহাদেবর মূর্তি। দুপাশে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। এক পাশে রাধা ও স্বর্গীয় মহীন্দ্র চন্দ্র পাল এবং সুরুচি বালা পালের ফলক। রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ঝরনা ও রং-বেরঙের ফুলের বাগান। 

এটি নরসিংদীর রায়পুরার দড়ি পড়ার মন্দির অক্ষয় ধাম। অজপাড়া গাঁয়ে এমন দৃষ্টি আকর্ষণীয় মন্দির দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এমনকি দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় মন্দিরটি সিসি টিভির নিয়ন্ত্রিত। 

নরসিংদীর রায়পুরার দড়ি পড়ার মন্দির অক্ষয় ধামমন্দির কমিটি ও স্থানীয়রা জানান, পূর্বপুরুষের পৈতৃক ভিটের স্মৃতি রক্ষার্থে অজপাড়া গাঁয়ে মন্দিরটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন তাঁরই দুই ছেলে এক ব্যাংকের সিএফও ড. তাপস চন্দ্র পাল ও অভিষেক চন্দ্র পাল। বিদেশি বিভিন্ন মন্দিরের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগৃহীত কারুকাজে ১ বছরের কর্মযজ্ঞে স্থাপন করে এই অক্ষয় ধাম মন্দিরটি। বাড়তি আকর্ষণ নিয়ে সাজানো মন্দিরটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সী ভক্ত ও অনুসারীদের ভিড়। 

মণ্ডপে প্রতিমার সামনে প্রার্থনা করছেন পুণ্যার্থীরা। মনের বাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষা দেব-দেবীকে প্রণাম করছেন কেউ কেউ। সবার চাওয়া এই পূজা অশুভ শক্তির অবসান ঘটাক এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজে মানুষকে সমৃদ্ধ করুক। ধর্মীয় ওই উপাসনালয়ে শামিল হয়েছেন অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষও। 

বিভিন্ন এলাকা থেকে মন্দির দেখতে আসা মনি পাল, সঞ্জয় পাল, কাকলী বিশ্বাস, স্বপন বিশ্বাস, জুয়েল ভৌমিকসহ অনেক জানান, অনেকের মুখে শুনে এ মন্দিরে এসেছেন। এটা দেখার আগ্রহ দৃষ্টি নন্দিত অক্ষয় ধাম মন্দিরটি দর্শনার্থীদের ব্যতিক্রম কিছু নজর কেড়েছে। দেখে ভালো লেগেছে। এ ধরনের মন্দির দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। 

মন্দির স্থাপত্যের শৈল্পিক অভিষেক চন্দ্র পাল বলেন, ‘বাপ দাদার পূর্ব পুরুষের স্মৃতি রক্ষার্থে বড় দাদা তাপস চন্দ্র পালের সহযোগিতায় মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরের চিত্র নেটে দেখে পুরোনো মন্দিরের বর্ধিত অংশে বিভিন্ন অংশ সংযোজন-বিয়োজন করে দক্ষ কারিগরের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে মন্দিরটি। মন্দিরে পাশে অতিথি শালাও রয়েছে। মন্দির তৈরিতে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। এক বছর সময় লেগেছে মন্দির তৈরিতে। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। মন্দিরটি পরিপূর্ণ কাজ শেষ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত