অ্যান্টিভেনম প্রয়োগে সুস্থ হলেন ‘রাসেলস ভাইপারের’ ছোবলে আহত ব্যক্তি

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৮: ২১

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপের ছোবলে আক্রান্ত এক রোগী অ্যান্টিভেনম (বিষ প্রতিষেধক) প্রয়োগের ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত সোমবার উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চরজানাজাত ইউনিয়নে পাট জাগ দিতে গিয়ে কৃষক সুলতান ব্যাপারী (৫২) ওই সাপের ছোবলে আহত হন।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুলতান ব্যাপারী উপজেলার চর জানাজাত ইউনিয়নের রশিদ মোল্লারকান্দি গ্রামের মৃত কাশেম ব্যাপারীর ছেলে। জমির পাট কেটে পাশের পদ্মানদীতে জাগ দিতে যান তিনি। পানিতে নামতেই রাসেলস ভাইপার তাঁকে ছোবল দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ‘বিষধর’ সাপের কামড় বলে নিশ্চিত হন। তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়। অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের পর রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

সুলতান ব্যাপারী বলেন, ‘পদ্মার চরে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। সতর্ক থেকে কাজ করার পরও সাপের কামড়ের শিকার হই। পাট জাগ দেওয়ার সময় হাতে সাপটি কামড় দেয়। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হাতের বিভিন্ন স্থানে তিনটি বাঁধ দেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যায। চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন আমি আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি।’

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘গত সোমবার দুপুরে ওই রোগী হাসপাতালে আসেন। তখন তিনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারি, বিষধর সাপে তাঁকে কামড় দিয়েছে। তা ছাড়া রোগী নিজেই সাপটি দেখেছেন। সাপটি রাসেলস ভাইপার। এরপর চিকিৎসকেরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোগীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখি। তিন-চার ঘণ্টা পর রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

ইব্রাহিম হোসেন আরও বলেন, ‘সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়-ফুঁকের জন্য গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ যেকোনো সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগেও বেশ কয়েকজন সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতিমা মাহজাবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বুধবার সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় সাপের কামড়ে আহত ওই রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছি। আগামী শনিবার ফলোআপের জন্য তাঁকে আসতে বলা হয়েছে।’

ফাতিমা মাহজাবিন আরও বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম রয়েছে। শেষ হওয়ার আগেই আমরা চাহিদা দিয়ে থাকি। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এলে যথাযথ চিকিৎসার মধ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তা ছাড়া রোগীর অবস্থা খুব বেশি খারাপ না হলে আমরা অন্যত্র পাঠাই না। এখানেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত