গাজীপুরে ১২৩ কারখানায় ভাঙচুর, ২২ মামলায় গ্রেপ্তার ৮৮

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ২১
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৭

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে ১২৩টি কারখানায় কমবেশি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিকদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তুসুকা কারখানা পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংকালে জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।

শিল্প পুলিশের ডিআইজি বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকের মজুরি বাড়ানোকে কেন্দ্র করে এখানে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে ১২৩টি কারখানায় কমবেশি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলন কোনাবাড়ীতে বেশি। শিল্প পুলিশ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাব, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই আমরা এ পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা হয়েছে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যে মজুরি ঘোষণা করেছেন এবং আমাদের ধারণা এর পেছনে একটা গ্রুপ এদেরকে উসকানি দিচ্ছে আন্দোলন করার জন্য। এখানে যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা এই ধ্বংসাত্মক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যেসব শ্রমিক এবং ওই শ্রমিকদের সঙ্গে বহিরাগত যারা যুক্ত আছে তারাই আতঙ্কগ্রস্ত হবে এবং তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব। গাজীপুর কোনাবাড়ী মিলে ১৭টি কারখানা বন্ধ আছে। মালিক কর্তৃপক্ষ যাতে কারখানা চালু রাখেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি, তারা দ্রুতই উৎপাদনে যাবে।’

এ সময় গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমসহ শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারখানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাসুদ আহমদ, গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাইনুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ প্রমুখ।

জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর ৭ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু ঘোষিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, মহাসড়ক অবরোধ, শ্রমিক-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গত বুধবার নিহত হয়েছেন এক নারী শ্রমিক।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত