ঢাবির বঙ্গমাতা ও কুয়েত মৈত্রী হলে এখনো পানিবন্দী শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৩
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৫৩

বৃষ্টি থেমে সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। পার হয়েছে কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু রাজধানীর অনেক এলাকার মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এলাকা থেকে এখনো বৃষ্টির পানি নামেনি। এতে খাবার, সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে এই দুই হলে দিনভর বিদ্যুৎও নেই।   

রাজধানী ঢাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হয়। এতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। গতকাল মধ্যরাতে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকার অনেক এলাকায় পানি আটকে থাকতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়—নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউমার্কেট এলাকায় এখনো হাঁটু সমান পানি। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শাহনেওয়াজ হোস্টেলও বৃষ্টির পানি আটকে আছে। নিচু এলাকা হওয়ায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন কুয়েত-মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। 

বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের অনেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, এক রাতের বৃষ্টিতে গর্বিত ঢাবিয়ানদের হলের অবস্থা যা হয়ে যায়। খাবার নেই, খাবার পানি নেই, ওয়াশ রুমে পানি নেই, কারেন্ট নেই। একটু পরে ফোনেও চার্জ থাকবে না। 

একই হলের আরেক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হল থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। এখনো পানি নামেনি। হলে বিদ্যুৎ নেই, ফোনেও চার্জ নেই। অনেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় পরিবারের লোকজনও চিন্তা করছে।’ 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শেখ লাবণ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীদের অনেকেই রান্নাবান্না করে খায়। কিন্তু হলে পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই এবং বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে হলের ক্যানটিনে একটু বেশি ভিড় ছিল। হল প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, দ্রুততম সময়ে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’ 

বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার লক্ষণ দেখছি না। পাওয়ার স্টেশন গতকাল রাতেই বিস্ফোরিত হয়। আমাদের সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংক এখনো পানির নিচে। সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গমাতা হলের পানি মৈত্রী হলের ভেতর দিয়ে বিজিবি হয়ে বুড়িগঙ্গায় যায়। হলের ৪০ জন কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে নিচতলার কক্ষগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় অনেক ফাইল নষ্ট হয়ে গেছে।’ 

তিনি আরও জানান, ‘ওয়াসা থেকে বিকল্প ব্যবস্থায় খাবার পানি পাঠানো হচ্ছে। সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে বিকল্প লাইনের মাধ্যমে পরিস্থিতি বিবেচনায় হলে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আবু মুছা চৌধুরী বলেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হলের ১১ হাজার ভোল্টেজের ক্যাবল শর্টসার্কিট হয়ে বিকল হয়ে গেছে। সব সাব স্টেশন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মৈত্রী ও বঙ্গমাতা হলে ইমার্জেন্সি লাইন দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত