Ajker Patrika

কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও উড়ল ফানুস, আতশবাজি আর বারবিকিউ পার্টিতে নতুন বছর বরণ

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪: ০০
কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও উড়ল ফানুস, আতশবাজি আর বারবিকিউ পার্টিতে নতুন বছর বরণ

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, পার্টি, ফানুস উড়ানোসহ উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

কিন্তু এর মধ্যে ঠিকই উড়েছে ফানুস, রাত ১২টা বাজার বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো, এমনকি রাত ৩টার পরও শোনা গেছে মুহুর্মুহ পটকার শব্দ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফানুস উড়িয়ে বর্ষবরণ। ছবি: আজকের পত্রিকাথার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে রাজধানীর গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশি কড়াকড়ি দেখা গেছে। কিন্তু সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রেই (টিএসসি) ফানুস উড়িয়ে বরণ করা হয়েছে নতুন বছর। 

শুধু তাই নয়, ফানুস উড়িয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বারবিকিউ পার্টি করে ২০২৩ সালকে বরণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

নতুন বছর বরণে বহু শিক্ষার্থী জড়ো হন টিএসসি এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকাসন্ধ্যা ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্টগুলোতে চেক পোস্ট বসায় পুলিশ, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যেও পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস উড়াতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকা ভাসমান পথশিশুদের এই ফানুস বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদের কাছ থেকেই কিনেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বর্ষ বরণের পার্টিও করেছেন অনেকে। ছবি: আজকের পত্রিকাএ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, 'একটি চক্র পথশিশুদের দিয়ে এসব করাচ্ছে। আমি নিজেও টিএসসিতে গিয়ে অনেককে বারণ করেছি।'

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাত ৪টা পর্যন্ত চলেছে আতশবাজি, পটকা ফোটানো। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে অন্যান্য বছরের মতো অতটা ঘটা করে ক্যাম্পাসে ফানুস ওড়াতে ও আতশবাজি ফুটাতে দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা, আতশবাজি ও ফানুসের নেতিবাচক দিক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লেখালেখি করেছেন, সেটিরই প্রভাব এটি।

এদিকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের মল চত্বর, সবুজ চত্বরে ও বিভিন্ন হলের ছাদে বারবিকিউ পাটিরও আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বর্ষবরণে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বারবিকিউ পার্টি। ছবি: আজকের পত্রিকাসবুজ চত্বরে বারবিকিউ পার্টিতে অংশ নেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, 'নতুন বছরকে বরণ করে নিতে গিয়ে ফানুস ওড়ালে ঝুঁকি আছে। শহরের অনেক মানুষ এখন ঘুমন্ত, অনেকে অসুস্থ। তাই আমরা আতশবাজি করব না। আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে স্মৃতি ধরে রাখতে বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করেছি।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত