নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খাবারের দাম কমিয়ে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবিতে আজ সোমবার বেলা ১টায় ডাকসু ক্যানটিনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে হল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং পরিচালনা, খাবারের মান ও ক্যানটিনের পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানানো হয়।
সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, করোনায় বন্ধ থাকার পর হল খুললে সব খাবারের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বেড়ে গেছে। এই বাড়তি ব্যয় বহন শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হচ্ছে। তিনি বলেন, হলের ভেতরে ২৫-২৮ টাকার মধ্যে খাবারের দাম না রাখলে করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের পক্ষে এই খরচ বহন করা অনেক কঠিন হয়ে উঠছে। করোনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল সে সময় তো বাড়তি কোনো খরচ হয়নি প্রশাসনের। সেই টাকা দিয়ে এখন ভর্তুকি দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সভাগুলোতে এ বিষয়টি বিবেচনায় আনার দাবি জানান উমামা।
জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মহিন শিহাব বলেন, ‘আমরা অনেকেই প্রাইভেট পড়াতাম। কিন্তু করোনার পর এসে এখন আর আগের টিউশনিগুলো নেই। নতুন করে খুঁজতে হচ্ছে। প্রতিটি খাবারের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়ালে তিনবেলার খাবারে ১০-২০ টাকা বেশি দরকার হচ্ছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। হলের খাবার খেয়ে অনেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ হলের জিসান অর্ক বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চলে জনগণের টাকায়। আমাদের থাকা ও খাওয়া নিশ্চিত হয় তাদের টাকায়। তাঁরা আশা করেন, আমরা লেখাপড়া করে তাঁদের জন্য, দেশের জন্য কিছু করতে পারি। আমরা এখানে এসে যদি নিদ্রাহীনতা পুষ্টিহীনতায় ভুগী তাহলে এটা কীভাবে চলবে?
করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন। এর ফলে করোনার আগের সময়ের ক্যান্টিনের খাবারের দাম দেওয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে প্রতি খাবারেই এমন দাম বৃদ্ধি এখানে বিলাসিতা- এমন অভিযোগ করে বিজয় একাত্তর হলের কাজি রাকিব হোসেন বলেন, আমরা একটি মহামারির সময় পার করছি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। প্রান্তিক মানুষের হাতে টাকা নেই। এমন অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। এই পরিবারগুলো থেকে আমরা এখানে পড়তে আসি। আমাদের খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মান নিশ্চিত না করে, খাদ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, অনেক সময় ক্যান্টিনকেও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছে স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ।
বক্তব্য শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বলবে এটা স্বাভাবিক। এটা শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে প্রতিটি হলে নির্দিষ্ট প্রশাসন রয়েছে। হল অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম ও মান নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করুক- এটাই আমার পরামর্শ।
খাবারের দাম কমিয়ে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবিতে আজ সোমবার বেলা ১টায় ডাকসু ক্যানটিনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে হল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং পরিচালনা, খাবারের মান ও ক্যানটিনের পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানানো হয়।
সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, করোনায় বন্ধ থাকার পর হল খুললে সব খাবারের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বেড়ে গেছে। এই বাড়তি ব্যয় বহন শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হচ্ছে। তিনি বলেন, হলের ভেতরে ২৫-২৮ টাকার মধ্যে খাবারের দাম না রাখলে করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের পক্ষে এই খরচ বহন করা অনেক কঠিন হয়ে উঠছে। করোনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল সে সময় তো বাড়তি কোনো খরচ হয়নি প্রশাসনের। সেই টাকা দিয়ে এখন ভর্তুকি দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সভাগুলোতে এ বিষয়টি বিবেচনায় আনার দাবি জানান উমামা।
জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মহিন শিহাব বলেন, ‘আমরা অনেকেই প্রাইভেট পড়াতাম। কিন্তু করোনার পর এসে এখন আর আগের টিউশনিগুলো নেই। নতুন করে খুঁজতে হচ্ছে। প্রতিটি খাবারের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়ালে তিনবেলার খাবারে ১০-২০ টাকা বেশি দরকার হচ্ছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। হলের খাবার খেয়ে অনেকে পেটের সমস্যায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ হলের জিসান অর্ক বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চলে জনগণের টাকায়। আমাদের থাকা ও খাওয়া নিশ্চিত হয় তাদের টাকায়। তাঁরা আশা করেন, আমরা লেখাপড়া করে তাঁদের জন্য, দেশের জন্য কিছু করতে পারি। আমরা এখানে এসে যদি নিদ্রাহীনতা পুষ্টিহীনতায় ভুগী তাহলে এটা কীভাবে চলবে?
করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন। এর ফলে করোনার আগের সময়ের ক্যান্টিনের খাবারের দাম দেওয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে প্রতি খাবারেই এমন দাম বৃদ্ধি এখানে বিলাসিতা- এমন অভিযোগ করে বিজয় একাত্তর হলের কাজি রাকিব হোসেন বলেন, আমরা একটি মহামারির সময় পার করছি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। প্রান্তিক মানুষের হাতে টাকা নেই। এমন অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। এই পরিবারগুলো থেকে আমরা এখানে পড়তে আসি। আমাদের খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মান নিশ্চিত না করে, খাদ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, অনেক সময় ক্যান্টিনকেও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছে স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ।
বক্তব্য শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বলবে এটা স্বাভাবিক। এটা শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে প্রতিটি হলে নির্দিষ্ট প্রশাসন রয়েছে। হল অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম ও মান নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করুক- এটাই আমার পরামর্শ।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৪৪ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে