Ajker Patrika

রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিএসপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জশনে জুলুস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৮
রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিএসপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জশনে জুলুস

রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপির চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারির নেতৃত্বে বিশাল জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়। পরে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

আঞ্জুমানে রহমানীয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া এ জশনে জুলুসের আয়োজন করে। ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা থেকে মানুষ জশনে জুলুসে অংশ নেওয়ার জন্য ছুটে আসে। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, কালিমাখচিত পতাকা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে জশনে জুলুসে অংশ নেয় মানুষ। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল ‘ইয়া নবী ছালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসুল ছালামু আলাইকা’। জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা নারায়ে তকবির, নারায়ে রেসালতের স্লোগানে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।

জুলুস শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারি। মুসল্লিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মহানবীর (সা.) দুনিয়ায় শুভাগমন জগদ্‌বাসীর জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ। তিনি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীবাসীকে শান্তি, সাম্য ও মুক্তির পথ দেখান। রাসুলে পাক (সা.) দুনিয়ায় শুভাগমনের মূল উদ্দেশ্যই হলো একটি শান্তি ও সহাবস্থানপূর্ণ মানবিক বিশ্বসমাজ গড়ে তোলা।’

বিএসপির চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারির নেতৃত্বে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: মেহেদী হাসান তিনি  আরও বলেন, ‘ধর্ম মানুষকে সুশৃঙ্খল করে। উগ্রতা, হঠকারিতা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড জ্বালাও-পোড়ার মাধ্যমে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা ধর্মের বিধান নয়। শান্তি, সাম্য, ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করাই ইসলাম তথা প্রিয় নবীর (সা.) মূল আদর্শ। রাসুলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই আজ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিয়ানমারসহ তাবৎ দুনিয়ায় যুদ্ধ-সংঘাত ও রক্তপাতে জর্জরিত। শক্তিধর দেশগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না করে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ খাদ্য, জ্বালানি, মৌলিক অধিকার সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে রাসুলই আমাদের দেখিয়েছেন কীভাবে সমতাভিত্তিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করা যায়।’

পিরজাদা মুফতি মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল-আযহারী ও শায়খ আজমাঈন আসরারের সঞ্চালনায় অতিথি ও আলোচক ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

র‍্যাবের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র সিয়াম মাদক কারবারি নয়, দাবি পরিবারের

চীনা পণ্যে শুল্ক ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণে কমিয়ে সুখে বসবাসের ঘোষণা ট্রাম্পের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত