জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর মহাখালী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। 

গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মামুন হোসেন, আবু বক্কর ও হাসিবুল ইসলাম। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

আজ বুধবার এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। 

তিনি বলেন, অনলাইনে মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানী ও তামিম আল আদনানির বক্তব্য শুনে তাঁরা উগ্রবাদের দিকে আকৃষ্ট হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন আইডির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের হয়ে কাজ শুরু করে। সংগঠনের সদস্য নাজমুল হাসান ওরফে ওসমান ও আবু কায়সার ওরফে রনির সঙ্গে মামুনের অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। রনি মামুনকে জানায় ‘পটাশিয়াম নাইট্রেট’ দিয়ে বিস্ফোরক বা বোমা বানানো যায়। সেই সঙ্গে আলী বাবা ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করার জন্যও মামুনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

ডিসি ফারুক হোসেন জানান, নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে এবং নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়। এ সংক্রান্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার সহযোগী নাহিদ ফেরদৌস মালয়েশিয়ায় এবং জ্যাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তখন তাঁদের চিহ্নিত কিংবা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সে ঘটনার পর মামুন গ্রেপ্তার হয়। পরে কারামুক্ত হয়ে ২ জুলাই অপর গ্রেপ্তার আবু বক্করের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। নাহিদ ফেরদৌস সংগঠনের জন্য বিদেশ থেকে আবু বক্করের কাছে নিয়মিত অর্থ পাঠায়। আবু বক্কর এই অর্থ সংগঠনের কাজে ব্যবহার করে।  

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত