নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীককে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন ঘাতক রেজাউল করিম।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের কাছে রেজাউল করিম জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রেজাউল আদালতকে বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি জান্নাতকে খুনের পরিকল্পনা করে আসছিলেন এবং সুযোগ খুঁজছিলেন। গত বুধবার জন্মদিন পালনের কথা বলে জান্নাতকে পান্থপথের ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট হোটেলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। জান্নাতকে খুনের জন্য ব্যাগে করে একটি ছুরি নিয়ে যান তিনি।
রেজাউল আরও জানান, জান্নাতের সঙ্গে ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে উভয়ের পরিবারকে না জানিয়ে তাঁরা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। এই বিয়ে জান্নাতের পরিবার মেনে নেয়নি। আবার রেজাউলের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে বলে জানতে পারেন জান্নাত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। জান্নাত রেজাউলকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোঝাতে থাকেন। সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু রেজাউল জান্নাতের কথামতো সঠিক পথে না আসায় তাঁর জীবনের ‘বাধা’ দূর করতে জান্নাতকে সুবিধাজনকস্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার দিন সকালে হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সেখানে অন্য নারীর সঙ্গে রেজাউলের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। একসময় রেজাউল তাঁর ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে চিকিৎসক জান্নাতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করেন। পরে গলা কেটে চিকিৎসকের মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনি গোসল করে গায়ের রক্ত ধুয়ে ফেলেন। তারপর জান্নাতের মোবাইল নিয়ে বাইরে থেকে ওই কক্ষে তালা দিয়ে চলে যান।
রেজাউল স্বীকারোক্তিতে আরও বলেন, হোটেল থেকে বেরিয়ে তিনি মালিবাগে তাঁর বাসায় যান। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে একটি হাসপাতালে যান। ধস্তাধস্তিতে তাঁর হাত কেটে গিয়েছিল, সেখানে সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে বাসে করে চট্টগ্রামে চলে যান। চট্টগ্রামে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার হোটেল পক্ষ থেকে জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর কলাবাগান থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-২ ও র্যাব-৭-এর সদস্যরা যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার একটি মেস থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। চট্টগ্রাম থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তারকালে হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর পরনে থাকা রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ও ব্যবহৃত ব্যাগ এবং জান্নাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার রেজাউল কক্সবাজারের নবী হোসাইনের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন। এমবিএ চলাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরে কিছুদিন একটি বেসরকারি ব্যাংকেও চাকরি করেন। সবশেষ গত জুনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।
রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীককে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন ঘাতক রেজাউল করিম।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের কাছে রেজাউল করিম জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রেজাউল আদালতকে বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি জান্নাতকে খুনের পরিকল্পনা করে আসছিলেন এবং সুযোগ খুঁজছিলেন। গত বুধবার জন্মদিন পালনের কথা বলে জান্নাতকে পান্থপথের ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট হোটেলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। জান্নাতকে খুনের জন্য ব্যাগে করে একটি ছুরি নিয়ে যান তিনি।
রেজাউল আরও জানান, জান্নাতের সঙ্গে ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে উভয়ের পরিবারকে না জানিয়ে তাঁরা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। এই বিয়ে জান্নাতের পরিবার মেনে নেয়নি। আবার রেজাউলের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে বলে জানতে পারেন জান্নাত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। জান্নাত রেজাউলকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোঝাতে থাকেন। সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু রেজাউল জান্নাতের কথামতো সঠিক পথে না আসায় তাঁর জীবনের ‘বাধা’ দূর করতে জান্নাতকে সুবিধাজনকস্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার দিন সকালে হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সেখানে অন্য নারীর সঙ্গে রেজাউলের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। একসময় রেজাউল তাঁর ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে চিকিৎসক জান্নাতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করেন। পরে গলা কেটে চিকিৎসকের মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনি গোসল করে গায়ের রক্ত ধুয়ে ফেলেন। তারপর জান্নাতের মোবাইল নিয়ে বাইরে থেকে ওই কক্ষে তালা দিয়ে চলে যান।
রেজাউল স্বীকারোক্তিতে আরও বলেন, হোটেল থেকে বেরিয়ে তিনি মালিবাগে তাঁর বাসায় যান। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে একটি হাসপাতালে যান। ধস্তাধস্তিতে তাঁর হাত কেটে গিয়েছিল, সেখানে সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে বাসে করে চট্টগ্রামে চলে যান। চট্টগ্রামে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার হোটেল পক্ষ থেকে জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর কলাবাগান থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-২ ও র্যাব-৭-এর সদস্যরা যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার একটি মেস থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। চট্টগ্রাম থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তারকালে হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর পরনে থাকা রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ও ব্যবহৃত ব্যাগ এবং জান্নাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার রেজাউল কক্সবাজারের নবী হোসাইনের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন। এমবিএ চলাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরে কিছুদিন একটি বেসরকারি ব্যাংকেও চাকরি করেন। সবশেষ গত জুনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৮ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৯ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৯ ঘণ্টা আগে