সাইফুল মাসুম, ঢাকা
বায়ুদূষণে শীর্ষে, শব্দদূষণও ভয়াবহ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে বহু আগেই বসবাসের অযোগ্য নগরীর তকমা পেয়েছে রাজধানী ঢাকা। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে দূষণের মাত্রা অনেকাংশে কমে এসেছে যান্ত্রিক এই নগরীতে। প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে। মৌসুমি বৃষ্টি ও রাস্তাঘাটে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের চলাচল সীমিত থাকায় দূষিত নগর ফিরে পেয়েছে তার চিরাচরিত নির্মল রূপ।
রাজধানীর রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বলধা গার্ডেন, বাহাদুরশাহ পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ওসমানী উদ্যানে গত দুই দিন ঘুরে চোখে পড়েছে সবুজের সমারোহ। গাছগাছালি, লতাগুল্ম যেন দ্যুতি ছড়াচ্ছে নতুন প্রাণের।
সুযোগ পেলেই প্রকৃতির কাছে ছুটে যান পুরান ঢাকার বাসিন্দা ফারুখ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দূষণের মাত্রা বেশি হওয়ায় ইট–পাথারের এই শহরে ঋতু বদল টেরই পাওয়া যায় না। লকডাউনের কারণে প্রকৃতি অনেক সতেজ হয়ে উঠেছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের পর অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরেনি, শহর এখনো অনেকটা ফাঁকা। বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন চলাচলও সীমিত রয়েছে। এসব কারণে বায়ুর মান বেড়েছে এবং কমেছে শব্দদূষণ। সতেজ হয়ে উঠছে জীববৈচিত্র্য।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বায়ুর মান সূচক ছিল ২১। গত ২২ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত গড়ে বায়ুর মান ছিল ২৫ পয়েন্ট। অন্য সময়ে প্রায় প্রতিদিনই ৩০০ থেকে ৩৫০–এর মধ্যে থাকত। বায়ুদূষণের এই মাত্রা ৩০০–এর ওপরে থাকলে মানবদেহের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, জুলাই মাসের প্রথমে বায়ুর মান ছিল ১০০–এর ওপরে। মাসের শেষে বায়ুর মান আগের চেয়ে তিন গুণ ভালো হয়েছে। প্রকৃতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। গাছের পাতায় কোনো ধুলোবালু নেই। জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার বাতাসে প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন ধুলোবালু পড়ত। সেখানে এখন গাছের পাতায় ৫০ মেট্রিক টনও ধুলোবালু নেই।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘তিন কারণে ঢাকার পরিবেশ ভালো রয়েছে। তা হচ্ছে চলমান লকডাউন, ঈদের কারণে শহরে মানুষ কম ও প্রচুর বৃষ্টি। বর্তমানে ঢাকার বায়ু অত্যন্ত নির্মল। প্রকৃতির পরশে ঢাকাবাসী নির্মল বায়ুর এক জাদুকরী সপ্তাহ পার করেছে।’
তবে কয়েক দিনের বায়ুর মান নিয়ে স্বস্তির কারণ নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়ি কম চললে, কলকারখানা বন্ধ থাকলে বায়ুর মান বাড়বে, শব্দদূষণ কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র না। বিধিনিষেধ শেষে পরিবেশের অবস্থা আগের মতো হয়ে যাবে।’
বায়ুদূষণে শীর্ষে, শব্দদূষণও ভয়াবহ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে বহু আগেই বসবাসের অযোগ্য নগরীর তকমা পেয়েছে রাজধানী ঢাকা। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে দূষণের মাত্রা অনেকাংশে কমে এসেছে যান্ত্রিক এই নগরীতে। প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে। মৌসুমি বৃষ্টি ও রাস্তাঘাটে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের চলাচল সীমিত থাকায় দূষিত নগর ফিরে পেয়েছে তার চিরাচরিত নির্মল রূপ।
রাজধানীর রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বলধা গার্ডেন, বাহাদুরশাহ পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ওসমানী উদ্যানে গত দুই দিন ঘুরে চোখে পড়েছে সবুজের সমারোহ। গাছগাছালি, লতাগুল্ম যেন দ্যুতি ছড়াচ্ছে নতুন প্রাণের।
সুযোগ পেলেই প্রকৃতির কাছে ছুটে যান পুরান ঢাকার বাসিন্দা ফারুখ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দূষণের মাত্রা বেশি হওয়ায় ইট–পাথারের এই শহরে ঋতু বদল টেরই পাওয়া যায় না। লকডাউনের কারণে প্রকৃতি অনেক সতেজ হয়ে উঠেছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের পর অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরেনি, শহর এখনো অনেকটা ফাঁকা। বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন চলাচলও সীমিত রয়েছে। এসব কারণে বায়ুর মান বেড়েছে এবং কমেছে শব্দদূষণ। সতেজ হয়ে উঠছে জীববৈচিত্র্য।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বায়ুর মান সূচক ছিল ২১। গত ২২ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত গড়ে বায়ুর মান ছিল ২৫ পয়েন্ট। অন্য সময়ে প্রায় প্রতিদিনই ৩০০ থেকে ৩৫০–এর মধ্যে থাকত। বায়ুদূষণের এই মাত্রা ৩০০–এর ওপরে থাকলে মানবদেহের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, জুলাই মাসের প্রথমে বায়ুর মান ছিল ১০০–এর ওপরে। মাসের শেষে বায়ুর মান আগের চেয়ে তিন গুণ ভালো হয়েছে। প্রকৃতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। গাছের পাতায় কোনো ধুলোবালু নেই। জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার বাতাসে প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন ধুলোবালু পড়ত। সেখানে এখন গাছের পাতায় ৫০ মেট্রিক টনও ধুলোবালু নেই।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘তিন কারণে ঢাকার পরিবেশ ভালো রয়েছে। তা হচ্ছে চলমান লকডাউন, ঈদের কারণে শহরে মানুষ কম ও প্রচুর বৃষ্টি। বর্তমানে ঢাকার বায়ু অত্যন্ত নির্মল। প্রকৃতির পরশে ঢাকাবাসী নির্মল বায়ুর এক জাদুকরী সপ্তাহ পার করেছে।’
তবে কয়েক দিনের বায়ুর মান নিয়ে স্বস্তির কারণ নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাড়ি কম চললে, কলকারখানা বন্ধ থাকলে বায়ুর মান বাড়বে, শব্দদূষণ কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র না। বিধিনিষেধ শেষে পরিবেশের অবস্থা আগের মতো হয়ে যাবে।’
সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে আদালতের মুন্সি সমিতি (অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন) সহায়তা করেছে এমন দাবি তুলে কার্যালয় ভাঙচুর
৯ মিনিট আগেশেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে একজন মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে এবং সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি-উন্মাদনা-হামলা রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বুধবার বিকেলে বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে নগরের আম্বরখানার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। ওই বহরে থাকা চট্টগ্রামের আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি অভিযোগ করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
৩ ঘণ্টা আগে