নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা বেজে ৪০ মিনিট। জাহাঙ্গীর খুব চিন্তা আর উদ্বেগ নিয়ে দুটি তার সংযুক্ত করছে ব্যাটারির সঙ্গে। তবে প্রথম চেষ্টায় কাজ হলো না। এদিকে হাতে বেশি সময়ও নেই। তবে প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আশাহত হলেও দ্বিগুণ মনোযোগী হয়ে আবারও চেষ্টা শুরু করল সে। নাহ! হচ্ছে না। হাল না ছেড়ে কিছুক্ষণ শান্ত থেকে টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে আবারও চেষ্টা করল। সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলে উঠল রাস্তার সব লাইট।
এবার জাহাঙ্গীরের মুখে জয়ের হাসি। কাগজের তৈরি পিলারের দুইদিকের মাথায় বসানো ছোট ছোট লাইটগুলো আলোকিত করেছে তার হাতে তৈরি রাস্তাটিকে।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় জাহাঙ্গীর ইসলাম সিয়ামের মতো আরও অনেক খুদে বিজ্ঞানী তাদের উদ্ভাবনী প্রদর্শনের জন্য নিয়ে এসেছিল। ‘বিজ্ঞান হোক অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাঁচজন বিজ্ঞানীর স্মরণে আয়োজিত হচ্ছে এই বিজ্ঞান মেলা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী জাহাঙ্গীর জানায়, তার তৈরি প্রজেক্টটির নাম ‘সোলার সিস্টেম অটোমেটিক স্ট্রিট লাইট’ যা বাঁচাতে পারে বিদ্যুৎ। সোলার সিস্টেমের শক্তিতে সারা দিন ব্যাটারি চার্জ হয়ে তার মাধ্যমেই রাতে রাস্তার লাইটগুলো জ্বলতে পারে নির্বিঘ্নে।
নবম শ্রেণি পড়ুয়া জাহাঙ্গীর বলে, ‘আমাদের দেশে রাস্তায় যেই লাইটগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। সোলারের সাহায্যে ব্যাটারিচালিত লাইট ব্যবহার করলে আমরা বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারি। ব্যাটারিগুলো ১ বছর ধরে এই সার্ভিস দিতে পারবে।’
বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তিতে আসক্ত বলে মনে করেন প্রবীণেরা। এমন আয়োজনগুলোতে দেখা মেলে এই চিত্রের ঠিক বিপরীত চিত্র। ল্যাপটপে আসক্ত ছেলে-মেয়েরা যখন নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে হাজির হয়, তখন প্রশংসা করতে পিছু হটেন না প্রবীণেরা।
খুদে বিজ্ঞানীদের একটি দল বানিয়েছে এমন একটি শিক্ষার্থী কার্ড সিস্টেম, যার সাহায্যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনায়াসে তাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য রাখতে পারে। এমন যন্ত্র তো থাকলেও এই শিক্ষার্থীদের তৈরি নতুন যন্ত্রটি বানাতে খরচ হবে মাত্র দেড় হাজার টাকা।
দলের সদস্য হাসিবুজ্জামান বলে, ‘আমাদের দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। এমন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই উচিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থিতি তথ্য সংরক্ষণ করা। তাই আমরা একটি যন্ত্র বানিয়েছি, যা খুব কম খরচেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল এটেন্ডেন্স পদ্ধতি চালু করতে পারে।’
এই আয়োজনে শুধু নতুন উদ্ভাবন নয়, শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে রচনা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন ও পোস্টার প্রদর্শনীতেও। পোস্টারগুলোতে ফুটে উঠেছে দূষণের মারণাস্ত্রে কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে ভবিষ্যৎ পৃথিবী। পোস্টারের লেখায় উঠে এসেছে ‘ধরণি সুস্থ হও’, ‘আমার পৃথিবী আমি বাঁচাব’ এমন সব স্লোগান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আঁকা ছবিতে ফুটে উঠেছে পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয়ের ভয়ংকর সব চিত্র। কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ বিশ্ব পরিবেশ দূষণের কারণে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে, খুদে আঁকিয়েদের চিত্রে ফুটে উঠেছে তারই গল্প।
অংশগ্রহণকারী ইলোরা জাহান বলে, ‘কলকারখানাগুলো আমাদের পৃথিবীর আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে স্থায়ী যেই ক্ষতিটা হচ্ছে সেটা হলো, আমাদের প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম এর কুফল ভোগ করব। আমি আমার আঁকা ছবিতে সেই ভয়াবহ রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
এই শিক্ষার্থী বলে, রচনায় ফুটে উঠেছে বিজ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন সব ভাবনা। শুধু আবিষ্কার করতেই নয়, আবিষ্কারকদের ইতিহাস সম্পর্কেও তো জানতে হবে ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীদের। আর কুইজ প্রতিযোগিতায় ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শোভন রহমান জানান, মোট ৩৫টি স্কুলের ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে এই আয়োজনে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্কুলে ক্যাম্পেইন করেছি আর অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমেও সবাইকে জানিয়েছি। এখানে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এসেছে। যারা তিনটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিয়েছে। বিচার-বিবেচনা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন।’
ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা বেজে ৪০ মিনিট। জাহাঙ্গীর খুব চিন্তা আর উদ্বেগ নিয়ে দুটি তার সংযুক্ত করছে ব্যাটারির সঙ্গে। তবে প্রথম চেষ্টায় কাজ হলো না। এদিকে হাতে বেশি সময়ও নেই। তবে প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আশাহত হলেও দ্বিগুণ মনোযোগী হয়ে আবারও চেষ্টা শুরু করল সে। নাহ! হচ্ছে না। হাল না ছেড়ে কিছুক্ষণ শান্ত থেকে টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে আবারও চেষ্টা করল। সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলে উঠল রাস্তার সব লাইট।
এবার জাহাঙ্গীরের মুখে জয়ের হাসি। কাগজের তৈরি পিলারের দুইদিকের মাথায় বসানো ছোট ছোট লাইটগুলো আলোকিত করেছে তার হাতে তৈরি রাস্তাটিকে।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় জাহাঙ্গীর ইসলাম সিয়ামের মতো আরও অনেক খুদে বিজ্ঞানী তাদের উদ্ভাবনী প্রদর্শনের জন্য নিয়ে এসেছিল। ‘বিজ্ঞান হোক অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাঁচজন বিজ্ঞানীর স্মরণে আয়োজিত হচ্ছে এই বিজ্ঞান মেলা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী জাহাঙ্গীর জানায়, তার তৈরি প্রজেক্টটির নাম ‘সোলার সিস্টেম অটোমেটিক স্ট্রিট লাইট’ যা বাঁচাতে পারে বিদ্যুৎ। সোলার সিস্টেমের শক্তিতে সারা দিন ব্যাটারি চার্জ হয়ে তার মাধ্যমেই রাতে রাস্তার লাইটগুলো জ্বলতে পারে নির্বিঘ্নে।
নবম শ্রেণি পড়ুয়া জাহাঙ্গীর বলে, ‘আমাদের দেশে রাস্তায় যেই লাইটগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। সোলারের সাহায্যে ব্যাটারিচালিত লাইট ব্যবহার করলে আমরা বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারি। ব্যাটারিগুলো ১ বছর ধরে এই সার্ভিস দিতে পারবে।’
বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তিতে আসক্ত বলে মনে করেন প্রবীণেরা। এমন আয়োজনগুলোতে দেখা মেলে এই চিত্রের ঠিক বিপরীত চিত্র। ল্যাপটপে আসক্ত ছেলে-মেয়েরা যখন নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে হাজির হয়, তখন প্রশংসা করতে পিছু হটেন না প্রবীণেরা।
খুদে বিজ্ঞানীদের একটি দল বানিয়েছে এমন একটি শিক্ষার্থী কার্ড সিস্টেম, যার সাহায্যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনায়াসে তাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য রাখতে পারে। এমন যন্ত্র তো থাকলেও এই শিক্ষার্থীদের তৈরি নতুন যন্ত্রটি বানাতে খরচ হবে মাত্র দেড় হাজার টাকা।
দলের সদস্য হাসিবুজ্জামান বলে, ‘আমাদের দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। এমন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই উচিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থিতি তথ্য সংরক্ষণ করা। তাই আমরা একটি যন্ত্র বানিয়েছি, যা খুব কম খরচেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল এটেন্ডেন্স পদ্ধতি চালু করতে পারে।’
এই আয়োজনে শুধু নতুন উদ্ভাবন নয়, শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে রচনা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন ও পোস্টার প্রদর্শনীতেও। পোস্টারগুলোতে ফুটে উঠেছে দূষণের মারণাস্ত্রে কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে ভবিষ্যৎ পৃথিবী। পোস্টারের লেখায় উঠে এসেছে ‘ধরণি সুস্থ হও’, ‘আমার পৃথিবী আমি বাঁচাব’ এমন সব স্লোগান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আঁকা ছবিতে ফুটে উঠেছে পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয়ের ভয়ংকর সব চিত্র। কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ বিশ্ব পরিবেশ দূষণের কারণে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে, খুদে আঁকিয়েদের চিত্রে ফুটে উঠেছে তারই গল্প।
অংশগ্রহণকারী ইলোরা জাহান বলে, ‘কলকারখানাগুলো আমাদের পৃথিবীর আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে স্থায়ী যেই ক্ষতিটা হচ্ছে সেটা হলো, আমাদের প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম এর কুফল ভোগ করব। আমি আমার আঁকা ছবিতে সেই ভয়াবহ রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
এই শিক্ষার্থী বলে, রচনায় ফুটে উঠেছে বিজ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন সব ভাবনা। শুধু আবিষ্কার করতেই নয়, আবিষ্কারকদের ইতিহাস সম্পর্কেও তো জানতে হবে ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীদের। আর কুইজ প্রতিযোগিতায় ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শোভন রহমান জানান, মোট ৩৫টি স্কুলের ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে এই আয়োজনে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্কুলে ক্যাম্পেইন করেছি আর অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমেও সবাইকে জানিয়েছি। এখানে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এসেছে। যারা তিনটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিয়েছে। বিচার-বিবেচনা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয় বিজ্ঞান মেলার আয়োজন।’
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৭ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৮ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৮ ঘণ্টা আগে