মুন্সিগঞ্জ ও মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাবলা ডাকাতকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকেরচর এলাকায় বাবলার দোতলা ভবনের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি জেলার গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মল্লিকেরচর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজ সকাল ৮টার দিকে আমি গরুর ঘাস কাটার জন্য নৌকা নিয়ে বাবলার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি দুটি স্পিডবোট ও দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেট পরে ২০ থেকে ২৫ জন বাবলার বাড়ির সামনে এসে নামে। এ সময় তারা স্পিডবোট ও ট্রলার থেকে নেমে বাবলার বাড়ির সামনে গুলি করে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। পরে বাবলার পাকা ভবনের দোতলায় উঠে বাবলাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ করে চার থেকে পাঁচজনকে আটক করে স্থানীয়রা। এখনো তারা ওই ভবনে আটক আছে বলে জানা গেছে। তবে আটকদের পরিচয় জানি না।’
ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জসিম বলেন, ‘মল্লিকের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বাবলার সঙ্গে অপর একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল।’ অপর গ্রুপের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য জসিম আরও বলেন, ‘নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। বৈধ ইজারাদাররা বালু তুললেও তাঁকে চাঁদা দিত হতো। মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া, মতলব, চাদঁপুর, শরীয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে তিনি গড়ে তোলেন সশস্ত্র ডাকাত চক্র।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাবলা একজন কুখ্যাত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩২টি ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলাকায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ পাঠাতে দেরি হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছে।’
এদিকে বাবলাকে হত্যার খবরে তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় অনেকেই গুলিবিদ্ধসহ তাঁর বাহিনীর হামলার শিকার হতো।
এ ছাড়াও চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড, তেলবাহী জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার ও নদীতে মাছ ধরার জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ সবকিছুই বাবলা বাহিনী হাতের মুঠে থাকত।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাবলা ডাকাতকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকেরচর এলাকায় বাবলার দোতলা ভবনের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি জেলার গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মল্লিকেরচর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজ সকাল ৮টার দিকে আমি গরুর ঘাস কাটার জন্য নৌকা নিয়ে বাবলার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি দুটি স্পিডবোট ও দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেট পরে ২০ থেকে ২৫ জন বাবলার বাড়ির সামনে এসে নামে। এ সময় তারা স্পিডবোট ও ট্রলার থেকে নেমে বাবলার বাড়ির সামনে গুলি করে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। পরে বাবলার পাকা ভবনের দোতলায় উঠে বাবলাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ করে চার থেকে পাঁচজনকে আটক করে স্থানীয়রা। এখনো তারা ওই ভবনে আটক আছে বলে জানা গেছে। তবে আটকদের পরিচয় জানি না।’
ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জসিম বলেন, ‘মল্লিকের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বাবলার সঙ্গে অপর একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল।’ অপর গ্রুপের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য জসিম আরও বলেন, ‘নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। বৈধ ইজারাদাররা বালু তুললেও তাঁকে চাঁদা দিত হতো। মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া, মতলব, চাদঁপুর, শরীয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে তিনি গড়ে তোলেন সশস্ত্র ডাকাত চক্র।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাবলা একজন কুখ্যাত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩২টি ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলাকায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ পাঠাতে দেরি হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছে।’
এদিকে বাবলাকে হত্যার খবরে তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় অনেকেই গুলিবিদ্ধসহ তাঁর বাহিনীর হামলার শিকার হতো।
এ ছাড়াও চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বাল্কহেড, তেলবাহী জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার ও নদীতে মাছ ধরার জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ সবকিছুই বাবলা বাহিনী হাতের মুঠে থাকত।
মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা মিসবাহ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় লেবুবাগান পাহারা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার সরফভাটার সীমান্তবর্তী বোয়ালখালীর দুইজ্জাখালের লেমু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেলালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ ওরফে মুন্সী রাশেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৫ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘সশস্ত্র ডাকাতেরা মালামাল লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওয়্যারলেস নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠিয়েছে। তবে ডাকাতির শিকার ট্রলারগুলো এখন কোন অবস্থায়, কোথায় আছে—তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা শোনার পর...
৩৪ মিনিট আগে